5 Votes

– বদহজম অথবা ডিসপেপসিয়া ( indigestion )

Medical School ( Uni of Bristol ) — Indigestion Research Studies ( BMJ UK ) – Indigestion medicines & Herbs ( Glaxo Lab, UK )

বদহজম বলতে পেটের এক ধরনের অস্বস্তিকর অবস্থা। যা খাবার গ্রহণে অনিচ্ছা, পেট ভারী বোধ, যন্ত্রণাদায়ক ব্যথা ও ওপরের পেটে ব্যথার সৃষ্টি করে সেই সাথে বমি বমি ভাব বা বমি হয়ে থাকে । ৮০% বেলায় খাবারের সমস্যা জনিত কারনেই হয়ে থাকে এবং ২০% বেলায় পরিপাক তন্ত্রের যে কোন ধরনের ইনফেকশন , প্রদাহ , ঔষধ অথবা হজম জনিত যে কোন কারনে হতে পারে ।
গরিব দেশ সমুহে পরিবেশ দূষণ ও ভেজাল খাবার কে বেশী দায়ী করা হয় – কেন না বদ হজম অসুখে একনাগাড়ে কয়েক সপ্তাহ আক্রান্ত থাকলে ১০০% সম্বাভনা আছেই পরিপাক তন্রের অন্য কোন মারাত্মক অসুখ হওয়ার বা মঝে মাঝে এই সমস্যা লুকায়িত ও বড় কোন অসুখের উপসর্গ হিসাবে ও কাজ করে।
ind 124
তার আগে জেনে নিন খাদ্য হজম করতে প্রধান এনজাইম সমূহ কি কি ?
স্যালিভা গ্ল্যান্ড ঃ– স্যাল্ভিয়া গ্ল্যান্ড ( এই গ্রন্থি সমূহ মুখ গহ্বরে ছোঁয়ালের পিছিন দিকে অবস্থিত ) থেকে এমাইলেজ এনজাইম উৎপাদন করে , এমাইলেজ থেকে মল্টোজ উৎপাদন হয়
পাকস্থলীরঃ– পাকস্থলীর গ্যাস্ট্রিক জুস থেকে প্যাপ্সিন এনজাইম এবং হাইড্রোক্লোরিক এসিড উৎপাদন হয় যা প্রোটেন খাদ্য সমূহ কে পরিপাক করতে সহায়তা করে ।
অগ্নাশয় ঃ– অগ্নাশয় জুস থেকে ট্রিস্পিন, লাইপেজ এবং এমাইলেজ এনজাইম উৎপাদিত হয় যার দ্বারা এমাইনোএসিড, ফ্যাটি এসিড এবং মল্টোজ উৎপাদন হয়ে থাকে
অন্ত্র ( ক্ষুদ্রান্ত্র ও বৃহদান্ত্র ) ঃ– অন্ত্র থেকে পেপটাইড, সুক্রোজ, ল্যাক্টোজ ও মল্টোজ এনজাইম উৎপাদিত হয় যা থেকে শরীরের সবচেয়ে প্রয়োজনিয় — এমাইনো এসিড, গ্লকোজ, ফ্রোক্টুজ এবং গ্ল্যাকটুজ উৎপাদন হয়ে থাকে
যকৃৎ ঃ– যকৃৎ থেকে পিত্ত লবন যা চর্বির গুটি সমূহ কে ভেঙ্গে ফোটা আকারে রূপান্তরিত করে ।
ফিজিওলজি অনুসারে উপরোক্ত এনজাইম ও জুস সমূহ নিঃসরণে যে কোন ধরনের গোলা যোগ দেখা দিলেই মানব দেহের বদ হজম বা ডিসপেপসিয়া দেখা দেয় ।


কারন ঃ-
বদ হজম দেখা দিলে প্রথমেই চিন্তা করা উচিৎ আপনি কি খাবার-দাবার খেলেন সে দিকে অর্থাৎ গ্যাস উৎপাদক বা খাদ্যের এলারজি জনিত কোন প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে কি-না
যেমন, অভ্যাসগত এবং খাদ্য জনিত ( প্রদাহ ছাড়া ) ঃ- দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার পরে এক সাথে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলা অথবা গভীর রাতে বা খুব ভোরে একসাথে অনেক বেশি খেলে ( ঠিক মত হজম না হতে পারা ) , খুব তাড়াহুড়া করে খাওয়া , ফ্যাটি বা চর্বিযুক্ত খাবার ( বিশেষ করে তৈল জাতীয় ) , বেশী মসলা যুক্ত খাবার, ক্যাফিন, এলকোহল , চকলেট , কোমল পানিয় ( পি জী ড্রিংক ) , দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবারের অসহিষ্ণুতা (lactose intolerance).মানসিক আঘাত, ধুমপান , ইত্যাদি —-
অসুখ জনিত বা প্রদাহ জনিত ঃ– অতিরিক্ত কোষ্ঠ্যকাঠিন্য, পিত্ত পাথর, পাকস্থলীর প্রদাহ ( গ্যাস্ট্রিক ), হাইপার এসিডিটি , হায়টাস হার্নিয়া , হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ( আলাসার ), আই বি এস, স্নায়বিক দুর্বলাবস্থা , অতিরিক্ত মেদ ভুড়ি , অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ ( রক্তে চিনির মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় হজম শক্তি দূর্বল হয়ে পড়ে – সে জন্য ডায়াবেটিস টাইপ-২ রোগীদের বেলায় ঘন ঘন বদ হজম দেখা দিয়ে থাকে ) , হেপাটাইটিস ( জণ্ডিস ) , বৃহদঅন্ত্রের ক্যানসার, পাকস্থলীর ক্যানসার , মহিলাদের হরমোন লেভেল পরিবর্তনের যে কোন কারনে ( শিশু গর্ভে আসার পর ) , সেলিয়াক ডিজেজ ইত্যাদি
অথবা কিছু ঔষধ সেবনের ফলে ( বিশেষ করে কিছু এন্টিবায়োটিক , বেদনা নাশক , থিওপাইলিন, ডিগক্সিন , স্টেরয়েড, আয়রন ও পটাসিয়াম জাতীয় কিছু ঔষধ )
তারপর ও যখন চিকিৎসকরা বদ হজমের প্রকৃত কারন খোঁজে না পান তখন অনেক সময় ফাংশনাল ডিসপেপসিয়া বলে থাকেন ( কারন বিহীন )


লক্ষণ ঃ
প্রাথমিক অবস্থায় যে লক্ষণ দেখা দেয় ,
প্রধান লক্ষণ ৩ টি – বমি বা বমি বমি ভাব, ঢেঁকুর উঠা ( খাবার দাবার হজম জনিত কারনের ঢেঁকুরে পচা ডিমের গন্ধের মত কিছু মনে হয় ) । পেট ভারী বোধ ও ফোলা বা ফাফা ভাব এবং সেই সাথে পেটে অস্বস্তি বা ব্যাথা ইত্যাদি ।
( সে সময় মনে রাখা ভাল- হার্ট বার্ন এবং বদ হজম, মুলত পৃথক দুটি বিষয় হলেও হার্ট বার্নের সাথে বদ হজমের পার্থক্য – হার্ট বার্নে বুক জ্বলবে যা হাইড্রোক্লোরিক এসিডের কারনে হয়ে থাকে কিন্তু পিত্ত রস বা অন্যান্য এনজাইমের কারনে বুক জ্বলা থাকবেনা , অন্য দিকে অনিয়ন্ত্রিত পায়খানার জন্য ( irritable bowel syndrome ) হলে প্রায়ই পেট মোচড় দিয়ে বা কামড়ে ধরে দিনে দু-তিনবার নরম-পিচ্ছিল আমযুক্ত মল হয়। কখনো আবার কয়েক দিন হয়-ই না— ফুড পয়জন বা ডায়রিয়া জনিত হলে ৩০ মিনিট থেকে ৩ ঘন্টার ভিতর বারে বারে মল ত্যাগ হয়ে থাকে — ইত্যাদি )
সেই সাথে কখনো কখনো মুখ দিয়ে টক পানি আসে, কখনো কখনো পেটের উপরিভাগে ব্যথাও হয়। তবে বুকের নিচের অংশেও ব্যথা থাকতে পারে বা নাও হতে পারে । পেটে গ্যাস জমে বা কখনো কখনো তা পায়ুপথে নির্গত হয় সেই সাথে অন্ত্রের গঢ় গঢ় বা বুট বুট আওয়াজ থাকতে পারে ।


পুরাতন ডিসপেপসিয়ায় যে সকল লক্ষণ দেখা যায় ( ৮০% বেলায় আলসার ও আই বি এস সহ অন্যান্য রোগের সমষ্টিগত লক্ষণ দেখা দেয় বিধায় চিকিৎসকের পরামর্ষ নেওয়া উচিৎ ) :-
ক্ষুধামন্দা বা ওজন কমে যাওয়া , রক্ত শুন্যতা , কালো পায়খানা , রক্ত বমি, শ্বাসকষ্ট ও ঘেমে যাওয়া , ব্যথা চোয়াল থেকে শুরু হয়ে হাত ও ঘাড়ে ছড়িয়ে যাওয়া, খাবার গিলতে কষ্ট হওয়া, ইত্যাদি লক্ষণ সহ মুল অসুখের অন্যান্য লক্ষণ দেখা দেবেই ।
( মনে রাখবেন, গুরতর বদহজম জনিত পুরাতন সমস্যা হলে অনেক সময় হার্ট অ্যাটাক ,করোনারি হার্ট ডিজেজ, ডায়াবেটিস মেলাইটিস, হাইপার থায়রেডিজম, পুরাতন মূত্রাশয় ও কিডনি জনিত অন্যান্য সিস্টেমেটিক অসুখ সমূহ কে জঠিল অবস্থায় বাড়িয়ে দেয় )


পরিক্ষা-নিরিক্ষা ঃ-
( বিদ্রঃ- প্রাথমিক অবস্তায় বদ হজম জনিত অসুখের জন্য তেমন পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন হয়না , আপনার চিকিৎসক শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা ও ইতিহাস শুনেই নিশ্চিত হতে পারবেন- কি কারনে বদ হজম হইতেছে
তবে পুরাতন বদ হজম জনিত অসুখের জন্য অবশ্যই সঠিক পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন – যদি কোন কারনে বদহজম হইতেছে খোঁজে বাহির করতে না পারেন তা হলে দীর্ঘ দিন যাবত বদহজম জাতীয় সমস্যা কমার কথা নয় বরং ঘা জাতীয় অন্যান্য অসুখ দেখা দেবেই ইহা নিশ্চিত বলতে পারি — )
সর্বপ্রথম আপনার চিকিৎসক শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ৫০-%-৭০% নিশ্চিত হতে পারেন আপনার কি কারনে ক্রনিক বদ হজম হইতেছে – সেই সাথে ৯৬ % নিশ্চিত হওয়ার জন্য নিম্নের যে কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা করার কথা বলতে পারেন – ( একটু বিশধ ভাবে ঐ কারনে উল্লেখ করলাম , ৩০% রোগীরা ভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়ে পড়েন বা চিকিৎসকদের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন – তাই ! )
আলসার ও ইনফেকশন জনিত সমস্যা মনে করা হলে প্রথমেই সাধারণ রক্ত পরীক্ষা সহ ( আয়রন লেভেল এবং ইএসআর খুব জরুরী ) এন্ডোস্কোপি, আলট্রাসনোগ্রাম বা সিটি স্ক্যান , যে কোন একটি করে হ্যালিকোব্যাক্টার সিরেলজি ( ডিউডেনাম আলসারের জন্য ) এবং গ্যাস্ট্রিন ল্যাভেল পরীক্ষা করার কথা বলতে পারেন । সেই সাথে পায়খানা কালচার করালে অনেক সময় কোন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের সম্বাভনা থাকলে তা খুব সহজে শনাক্ত করা সম্বভ ।
রক্ত ও লিভার ফাংশন টেস্ট ঃ- যাদের পিত্ত রস বেশী নিঃসরণ হয় , পিত্ত পাথর বা পিত্ত নালী জনিত সমস্যা, যকৃতের অন্যান্য যে কোন অসুখ ( জণ্ডিস ) সন্ধেহ করা হলে অথবা কিডনি জনিত সমস্যা মনে করলে এই পরীক্ষা করে কিছুটা নিশ্চিত হওয়া সম্বভ । রোগের আক্রমনের উপর নিরভর করে সে সময় আভডম্যানাল আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান করার কথা ও বলতে পারেন ( HIDA scan ) যদি পেটেরি নিছে ডান দিকে আঙ্গুল দিয়ে খোঁচা মারলে ব্যাথা অনুভুত হয় । ( লিভার, বাইল ডাক্ট, প্যাঙ্ক্রিয়াস , কিডনি ও পিত্ত পাথর জনিত সমস্যায় এ জাতীয় পরিক্ষায় খুব সহজেই মুল অসুখ টি ধরা পড়ার কথা )
বেরিয়াম সয়ালো এবং বেরিয়াম মেইল করানোর কথা বলতে পারেন যদি খাদ্য নালী অথবা আপার গ্যাস্ট্র-ইন্টেস্টেনাইল ট্র্যাক্টে কোন সমস্যা মনে করা হয় ।
পরিপাক তন্ত্রের অন্যান্য অংশের সমস্যা মনে করা হলে ( খাদ্য নালী, পাকস্থলী, কুদ্রান্ত্র-ব্রিহদান্ত্র কোলন, রেক্টাম ) সাধারণ বেরিয়াম মেইল এক্সরে, এন্ডোস্কোপি, আলট্রাসনোগ্রাম, সিটি স্ক্যান ইত্যাদির যে কোন একটা রোগের অবস্থার ধরন বুজে করাতে হতে পারে ।
ডায়াবেটিস অসুখ থাকলে গ্যাস্ট্রিক ইম্পেটি সাইন্টিগ্রাফি পরীক্ষা করিয়ে ( Gastric Emptying Scintigraphy ) ও গ্লকোজ লেভেল পরীক্ষা করে বুঝে নিতে পারেন ডায়াবেটিস জনিত কারনে বদ হজম হইতেছে কি-না ।
– খাদ্য এলারজি ও ফুড টলারেন্স জনিত মনে হলে ফুড কালচার সেন্সিভেশন টেস্ট ঃ- হোম ফুড এলারজি টেস্ট , হোম ফুড ইন্টলারেন্স টেস্ট, হোম ওয়াটার টেস্ট , হোম লিড অথবা পয়জনিং টেস্ট করে কোন খাবার দ্বারা হইতেছে তার সঠিক কারন খুঁজে পেতে পারেন ( বিশেষ করে আই বি এস অসুখের এর বেলায়, তা না করালে কোন দিন ই সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়া আসা করা ঠিক নয় )
অনেক সময় বদ হজমের ব্যাথা, হৃদ রোগের সাথে পৃথক করা বেশ জঠিল হয়ে পড়ে বিধায় সাথে ইসিজি ও করে নেওয়া ভাল । টিউমার জাতীয় ক্যানসার বা ভায়েল ক্যান্সারের কারনে হয়ে থাকলে আর অন্যান্য ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করাতে হতে পারে —

ঔষধ ও ব্যাবস্থাপনা ঃ-
প্রাথমিক ভাবে বদ হজম জাতীয় সমস্যা দেখা দিলে ঔষধের কোন প্রয়োজন নেই – শুধু মাত্র নিত্য খাওয়া দাওয়ার পরিবর্তন সহ কিছু বদ অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারলেই এমনিতেই সেরে যায় — সত্য কথা , বদ হজম কমানোর জন্য সরাসরি কোন ঔষধ ও নেই – কেননা বদ হজম অন্য রোগের একটা লক্ষণ হয়ে দাঁড়ায় অনেক সময় —
প্রথমেই খেয়াল করেন গত ৬ থেকে ৮ ঘন্টার ভিতর এমন কোন খাবার বা পানিয় খেয়েছেন কিনা , যা পাকস্থলির জন্য খুবি উক্তেজক । যেমন অতিরিক্ত তেল, মশলা, চর্বি জাতীয় খাবার, অতিরিক্ত ফাস্টফুড, কোমল পানীয়, ব্যাথা নাশক ঔষধ বা আয়রন জাতীয় ঔষধ , অতিরিক্ত মিষ্টি , মদ ইত্যাদি । খেয়ে থাকলে, তা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন
( অভ্যাস জনিত ) কোন অবস্থায় দীর্ঘ সময় পেট খালি রাখা ঠিক নয়, যদি কোন কারনে থেকেই যা তখন কোন অবস্থাতেই ভাঁজা পূরা, মশলা ও চর্বি যুক্ত খাবার থেকে , বিরত থাকার চেষ্টা করবেন , খেতে বসে তাড়াহুড়া করা খাওয়া উচিত নয় এবং খাবার আস্থে আস্থে সম্পূর্ণ চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন , সেই সাথে দাঁড়িয়ে খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন
( রিসার্চ অনুসারে দাঁড়িয়ে খেলে সরাসরি পাকস্থলীর ইপিগ্যাস্ট্রিয়াম অঞ্ছলের পাথলা লাইনার সমুহে খাদ্য ঢিল চুড়ার মত আঘাত করে বিধায় গ্যাস্ট্রিক ফল্ড সমূহ থেকে পর্যাপ্ত এসিড ও অন্যান্য এনজাইম নিঃসরণ করতে বাধা প্রাপ্ত হয়ে পাকস্থলীর পাইলরাস ও উপরের ফান্ডাস অঞ্ছল থেকে প্রচুর গ্যাস্ট্রিক জুস বাহির হয় ( পেপটাইড ) । যার ফলে দাড়িয়া খাওয়ায় অভ্যস্ত যারা , তাদের বদহজম, আলসার , হায়টাস হার্নিয়া ইত্যাদি অন্যান্যদের চাইতে ২৭.৭% বেশী হয়ে থাকে । সুত্রঃ পাব মেডিসিন জার্নাল )
নিত্য সঠিক সময়ে পায়খানা করার অভ্যাস না থাকলে তা নিয়মিত করার অভ্যাস করুন — ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাবার খান– নিয়মিত একই সময়ে খাবার খান– একসঙ্গে বেশি খাবার না খেয়ে বারবার অল্প করে খান– হজমে সহায়ক খাদ্য খাওয়ার চেষ্টা করুন ( বাদামি চাল, লাল আটার রুটি, পাস্তা, ওটস এবং সিরিয়াল ইত্যাদি খাবারে আঁশের পরিমাণ অনেক বেশি , ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারে নিয়মিত পেট পরিষ্কার করে এবং চর্বি মুক্ত করে ) । বদ হজমে ভুক্তভোগিরা খাওয়া শেষ করে প্রচুর পানি পান করা মোটেই উচিৎ নয় … ইত্যাদি
খুব বেশী মানসিক চাপ থাকলে, ভেগাস নার্ভ সমূহ বিনা কারনে উক্তেজিত হয়ে বা অনেক সময় করটিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে হজম প্রক্রিয়ায় গণ্ডগোল ঘটাতে পারে বিধায় যত টুকু পারেন মানসিক চাপ কম করা উচিৎ , বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর সময় । অতিরিক্ত রাত জেগে থাকার অভ্যাস থাকলে তাও পরিহার করার চেষ্টা করে- কমপক্ষে প্রতিদিন ৬/৮ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন ।
শরীরের পরিমাপ থেকে ওজন বেশী থাকলে অথবা মেদ ভুড়ি থাকলে তা কমানোর চেষ্টা করেন শারীরিক ব্যায়ামের মাধ্যমে ( একসাথে ৫-১০ পাউডের উপরে ওজন কমাতে গেলে ও বিপরিত মুখি ভয় আছে গ্যাস্ট্রিক এসিডিটি বেড়ে যাওয়ার )
শরীরের অন্য অঙ্গের অসুখের কারনে ( হার্ট, কিডনি , লিভার, পিত্ত থলি , অগ্নাশয় ইত্যাদি ) বদ হজম দেখা দিলে, সেই অসুখ না কমা পর্যন্ত বদ হজম ভাল হওয়ার কথা নয় , তাই সেই অসুখ টি দূর করার চেষ্টা করুন …
তারপর ও হটাৎ করে বদ হজম দেখা দিলে এবং বুক জ্বলা পোড়ার লক্ষণ থাকলে ( এসিডিটির কারনে ) এন্টাসিড জাতীয় ঔষধ কিছু দিন সেবন করলে তা চলে যায় — সেই সাথে বমি বা বমি বমি ভাব অথবা পেট ফাঁপা থাকলে মেটোকপ্রামাইড বা ডমপেরিডন-জাতীয় ওষুুধ দিনে ৩ বার খাওয়ার আগে ৩/৫ দিন সেবন করলে চলে যাওয়ার কথা । ( এখানে আরেকটি কথা – নিজের বাস্থব অভিজ্ঞতা থেকে বলতেই হয় , পাকস্থলীর গ্যস্ট্রিক জুস হাইড্রোক্লোরিক এসিড ছাড়া অন্যান্য এনজাইম জনিত কারনে বদ হজম দেখা দিলে এন্টাসিড বা ঐ জাতীয় ঔষধ তেমন কাজ করেনা )
এতে যদি কাজ না হয় এবং ব্যাথা বেশী অনুভুত হয় তা হলে প্রটন পাম্প ইনহেবেটর ঔষধ সেবন করতে পারেন ( ওমিপ্রাজল গ্রোফের যে কোন ঔষধ ) সাথে ভীষণতা ভাব বেশী থাকলে এমিট্রিপটাইলিন-জাতীয় ওষুধ সেবন করতে পারেন এবং যদি সাথে তীব্রতর ব্যাথা বা আলসার জনিত ব্যথা হয় তা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে সাথে ভাল এন্টিবায়োটিক এবং এন্টি-স্পাস্মোটিক ড্রাগস সেবন করলে খুব দ্রুত সেরে যাওয়ার কথা বা সাথে সাথে ব্যাথা ও চলে যাবে
( আবার ও অভিযোগ ! যদি পেট খুব বেশী ফাফা বা গ্যাস থাকে তা হলে এন্টি- স্পাস্মোটিক ঔষধ খাওয়া মোটেই ঠিক নয় বরং ভালর চাইতে ক্ষতির পরিমান বেশী দেখা দিবে , সে জন্য গ্যাস যে ভাবে বাহির হয় সেই ব্যাবস্থা গ্রহন করা উচিৎ, প্রয়োজনে হজম ব্রিদ্ধি কারক ঔষধ সেবন করতে পারেন )
তারপর ও যদি দেখেন অসুখের তেমন পরিবর্তন হইতেছেনা তা হলে অবশ্যই ভাল চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে মুল অসুখ বাহির করে, তার যথা যত ব্যাবস্তা গ্রহন করা উচিৎ ।


নিউট্রেশনাল সাপ্লিমেন্টারী ও ভেষজ চিকিৎসা ঃ
মেন্থল ঃ-গবেষণা অনুসারে যদি ও অনেক ভেষজ বদ হজমের বেশ ভাল কাজ করে বলে আমরা সবাই জানি – কিন্তু নতুন গবেষণা অনুসারে দেখানো হয়েছে- বদ হজমের জন্য সবচেয়ে ভাল কাজ করে মেন্থল বা পিপারমেন্ট ( ড্রাগ রিসাচ ল্যাব – গ্ল্যাক্স ইউকে )
বদহজম জাতীয় অসুখে মেন্থল পিত্ত রসকে বেশী পরিমানে প্রবাহিত করে খাবারের চর্বি সমূহ কে কে খুব দ্রুত পাতলা করতে সাহায্য করে । যার ফলে পাকস্থলীর খাবার খুব দ্রুত হজম হয়ে যায় । অন্য দিকে মেন্থল পাকস্থলীর সংকোচন- প্রসারন কে রিলাক্স করতে ভাল একটা সাহায্য করে ( এন্টি- স্পাস্মোটিক্স ড্রাগস, নস্পা, বেল্কোপেন ইত্যাদির মত ) বিধায় পরিপাকতন্ত্রের ফাফা অঙ্গসমূহের একটা ব্যাথা নাশক ড্রাগস হিসাবে বিবেচিত – অর্থাৎ এনজাইম জনিত বদ হজম ও ব্যাথায় মেন্থল একটা উপকারী ভেষজ ) এবং সবচেয়ে ভাল দিক হল , যেখানে পেটে অতিরিক্ত গ্যাস জমার কারনে ব্যাথা নাশক ঔষধ সেবন করা যায়না, সেখানে মেন্থল কুব ভাল একটা সহায়ক ভেষজ ।
তবে সাবধান যদি বদ হজম অসুখটি হার্ট বার্ন বা বুক জ্বলা জনিত কারনে হয়ে থাকে তা হলে মেন্থল ব্যাবহার সম্পূর্ণ ভাবে নিষেধ । বাদ বাকি অন্যান্য কারনে বদ হজম দেখা দিলে ( এনজাইম জনিত ) মেন্থল অন্যান্য যে কোন ঔষধের চাইতে ভাল একটা ফল দায়ক ঔষধ ( মেন্থল কি বিস্থারিত নিম্নে দেখুন ) বা গর্ভবতীদের বেলায় ব্যাবহারে করতে পারেন ।
শুকনা এক চামচ মেন্থল পাতা এক কাপ গরম পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন এবং পরে তা ঠান্ডা করে প্রতিদিন ২/৩ বার খাওয়ার মধ্যেই পান করুন – সাথে সাথে উপসর্গ কমতে থাকবে এবং মাত্র ৩ দিন পর বদ হজম থাকার কথা নয় । ( প্রমাণিত ইউনি অব ম্যারিল্যান্ড ) এ ছাড়া বাতাবি লেবু ও লেমন বাল্ম বদহজম জনিত অসুখে কার্যকরী ভেষজ হিসাবে প্রমাণিত ( রিসার্চ অনুসারে )


ঘরোয়া টুকিটাকি
সাদা ভিনেগারের ঃ-
১ কাপ পানিতে ১ টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার ও ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন দিনে ৩-৪ বার পান করলে সাধারণ বদহজমে ভাল ফল দায়ক ।
আদা ঃ- ১ টেবিল চামচ আদার রস, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ও ১ চিমটি লবণ ভালো করে মিশিয়ে পানি ছাড়াই পান করলে ভাল ফল পাওয়া যায় বা আদা কুচি করে লবণ দিয়ে চিবিয়ে খেলেও কিছুটা উপকার পাওয়া যায় ।
বেকিং সোডা ঃ- পাকস্থলীর হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের অতিরিক্ত নিঃসরণের ফলে যদি বদহজম হয় তা হলে আধা গ্লাস পানিতে আধা চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে পান করলে ভাল ফল পাওয়া যায় ।
খাবার হিসাবে পেঁপে সবচেয়ে ভাল একটি ফল বদহজমের জন্য বা আনারস ও খেতে পারেন তবে রা খাবারের আধা ঘন্টা আগে খেলে ভাল — ধন্যবাদ —


ড্রাগস রিসার্চনুসারে মেন্থলের গুনাগুন ঃ- ( গ্ল্যাক্স ইউকে ) আই ডিঃ- anti-pain channel called TRPM8 –
ind 126

ব্যাবহার ঃ-
অনিয়ন্ত্রিত পায়খানা বা আই বি এস ঃ- – আই বি এস জনিত ব্যথা, ঢেঁকুর উঠা , গ্যাস, ও অনিয়মিত পাতলা পায়খানা ৭৫% কার্যকর একটি ঔষধ যা উন্নত দেশে পিপারমেন্ট ওয়েল ক্যাপস্যুল হিসাবে পাওয়া যায় – ১টা করে ২ বার ৩০ দিন ব্যাবহারের কথা বলা হয়েছে
বদহজম জনিত অসুখে ঃ– বদহজম জনিত অসুখে বাইল সল্টের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়ে পেটের গ্যাস, ঢেঁকুর ইত্যাদি কে নিয়ত্রন করে অর্থাৎ ডাইজেস্টিভ গ্যাস কে খুব সহজেই বাহির করে দেয় ( হাইড্রোক্লোরিক এসিড জনিত বদ হজমে ব্যাবহার অনুপযোগী । বিশেষ করে ফাংশনাল ডিসপেপসিয়া তে ( কারন বিহীন বদ-হজম ) যখন আর কোন উপায় থাকেনা , তখন মেন্থর ই ভাল একটি ঔষধ হিসাবে কাজ করে ।
অন্ত্রের খিচুনি বা কামড়ে ধরায় ঃ– পরিপাক তন্ত্রের মসৃণ মাংস পেশীর ব্যাথা বা খিঁচুনিতে ভাল ফলদায়ক বা অনেক সময় ভাস্কপ্যানের ( বেল্কোপেন ) পরিবরতে ব্যাবহার করা যায় । ( ড্রাগস রিসার্চ অনুসারে ইহা খুবি ভাল একটা চ্যানেল ব্লকার ) ফলে অন্ত্র কামড়ে ধরা, মুচড়ে যাওয়া, খাদ্য নালী , পরিপাক তন্ত্র মুচড়ে যাওয়া, হরমোন জনিত মাসিক ব্যাথা ইত্যাদিতে ব্যাবহার উপযোক্ত ভাল একটি ঔষধ । ( All Smooth muscle spasm )
এলারজিক রানাইটিস এবং ঠান্ডা সর্দি জ্বরে মেন্থর তৈল খুবি ভাল একটা উপকারী ভেষজ যা হিস্টামিন কে নিয়ন্ত্রণ করতে ভাল ভুমিকা আছে অন্য দিকে ফুসফুস থেকে শুকনা কাশি বা মিউকাস বাহির করতে ভাল সহায়ক বিধায় সর্দি কাশি, গলা বসে যাওয়া ইত্যাদি অসুখে ব্যাবহার করা হয়ে থাকে । ( pharyngitis and dry coughs )
মেন্থল তৈল দুশ্চিন্তা জনিত মাথা ব্যথা ও চামড়া জ্বালা ও চুলকানি তে ভাল কাজ করে কারন ইহা একটি ভাল হিস্টামিন বিরোধী ভেষজ । যে সকল মায়ের দুধের নিভুলে ব্যথা এবং ফেটে যায় তাদের জন্য তড়িৎ খুব সুন্দর কাজ করে –
নতুন রিসার্চ অনুসারে প্রমাণিত মেন্থাল একটি এন্টি-মাইক্রোবিয়েল ভেষজ সে জন্য দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত নিরাময়ে ভাল একটি ফলফ্রদ ঔষধ – অবশ্য বিখ্যাত মাল্টি-ন্যাশনাল একটি কোম্পানি মেন্থল এবং দারুচিনি মিশ্রিত রিফাইনিং ক্যাপস্যুল ইতিমধ্যেই দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত নিরাময়ের জন্য বাজারজাত করেছে – ঔষধ টি এখন ও খুব ব্যায়বহুল – তবে পার্স প্রতিক্রিয়া মুক্ত । এ ছাড়া কিছু প্রজাতির ব্যাক্টোরিয়া , ভাইরাস এবং ছত্রাক নাশক ( গবেষণাধীন ) হিসাবে প্রমাণিত ।

ডোজ ঃ
বদ হজমে ঃ- এক চামচ শুকনা মেন্থর পাতা এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে ১০ মিনিট পর মৃদু গরম অবস্থায় খাবারের সময় পান করুন । ( সাথে কয়েক ফোটা লেবুর রস ও মিশ্রিত করতে পারেন ) অথবা ক্যাপস্যুল হিসাবে প্রতিদিন একটি ক্যাপস্যুল সেবন করতে পারেন খাওয়ার এক ঘন্টা আগে বা খালি পেটে । আই বি এসের জন্য ১টা করে ৩ বার (0.2 ml of peppermint oil)
দুশ্চিন্তা জনিত মাথা ব্যথায় ১০% মেন্থর যুক্ত তৈল দিয়ে মাথার সম্মুখ ভাগ মালিশ করতে পারেন এবং চর্মের জ্বালা ও চুল্কানির জন্য পিপারমেন্ট মিশ্রিত ক্রিম বা মলম ব্যাবহার করতে পারেন ।


মেন্থর যাদের ব্যাবহার উচিৎ নয় ঃ-
৭ বছরের নীচের শিশুদের – ডায়াবেটিস রোগীদের বেলায় হঠাত করে সুগারের লেভেল নিছে নেমে যাওয়া (low blood sugar) , এন্টাসিড এবং ওমিপ্রাজল , সাইক্লস্পিরিন ঔষধ সেবন করলে তা সে রকম কাজ করবেনা — হাইটাল হার্নিয়া এবং খাদ্যনালীর জ্বলা পুড়া এবং নিম্ন রক্ত চাপের রোগীরা মেন্থর ব্যাবহার উচিৎ নয় ।


অতিরিক্ত কিছু তথ্য ঃ ( formula CH3COOCH3 )
মেন্থর সম্মন্ধে আগে যা জানতাম, সব ই ভুল ছিল ঃ-
কেমিক্যাল কম্পঞ্জেশন পর্যালোচনা করলে মেন্থর থেকে যা পাওয়া যায় ঃ menthone and menthyl esters, particularly menthyl acetate. Dried peppermint typically has 0.3–0.4% of volatile oil containing menthol (7–48%), menthone (20–46%), menthyl acetate (3–10%), menthofuran (1–17%) and 1,8-cineol (3–6%)
আমার জানা মতে সিনিওল , ম্যান্থোফোরেন এবং মেন্থল এসিডেট সেক্স ড্রাইভ কে অনেক বাড়িয়ে দেয় , বিশেষ করে যারা দীর্ঘ সেক্স ড্রাইভে আগ্রহী তাদের জন্য সিনিওল জাতীয় উপাদান ব্যাবহার করে যৌন উক্তেজনা বাড়িয়ে দেওয়া যায় – বিপরিত দিকে ম্যান্থোফোরেন যে সকল মহিলাদের মুডের অভাবে যৌন উক্তেজনা কমে যায় তাদের বেলায় ভাল একটি ড্রাগস বলা যায় যা রিমোট কন্ট্রোলের মতই কাজ করে ( মানসিক ও হরমোন জনিত কারনে হলে ) – অন্য এক গবেষণায় দেখা যায় – মেন্থল এসিটেট প্রয়োগ করার ফলে – প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড এবং পুরশাঙ্গের শিরা সমূহের ব্লাড স্ট্রিম খুব বেশী বাড়িয়ে দেয় -সে হিসাবে ড্রাগস রিসারচের ফর্মুলা অনুসারে মেন্থর সেক্স ড্রাইব নস্ট করেনা তবে ক্ষেত্র বিশেষ মোডের পরিবর্তন করে বিধায় দীর্ঘ স্থায়ী সেক্স ড্রাইবের জন্য ভাল, তবে পুরুষের চাইতে মহিলাদের সেক্স ড্রাইব বেশী কাজ করে ।
( চায়না এবং আরব অঞ্চলের পুরুষ ও মহিলারা সেক্স ড্রাইব বাড়ানোর জন্য রোমান ক্যাথলিক যোগ থেকেই মেন্থর ব্যাবহার করে আসছেন যদি ও আমাদের সাউথ এশিয়ান অঞ্ছলে এর বিপরীত ভাবনা ছিল ,না এর মধ্যে অন্য কিছু লোকায়িত বিষয় ছিল জানিনা !!!! – যাই হউক রিসার্চ অনুসারে প্রমাণিত – মেন্থর সেক্স ড্রাইভ নস্ট করেনা বরং মুড পরিবর্তন করে দীর্ঘ স্থায়ি করে )