7 Votes

REF : BMJ, JUNIOR MEDICAL RESEARCH FELLOWSHIPS PROGRAM ( UNIVERSITY MEDICAL COLLAGE BRISTOL ) SIR JHON LUISE MARKS DIGESTIVE HEALTH SPECIALISTS (GASTROENTEROLOGY) , THE BRITISH SOCIETY OF GASTROENTEROLOGYETC ( UK ) — CREATED BY DR. HELAL KAMALY
hy 4

কার্যপ্রণালীর উপর ভিত্তি করে তিন ভাগে ভাগ করা যায় –

১- খাদ্য কে হজম ও পরিপাক করতে সহায়তা করা ঃ- যখন একজন মানুষ খাবার খায় তখন পাকস্থলীর প্যারাটাইল কোষ হতে উচ্চ ক্যামতা সম্পন্ন হাইড্রোক্লোরিক এসিড নিঃসরণ করে ( যার পি এইচের মাত্রা 1.5 to 3.0 পর্যন্ত থাকে , অর্থাৎ উক্ত এক ফোটা হাইড্রোক্লোরিক এসিড কাগজ বা কাঠের মধ্যে ফেললে সাথে সাথে তা পোড়ে যায়, অথচ আমাদের পেটের পর্দা পোড়েনা মিউকাস এবং ইপিথেয়ালিয়েল কোষের জন্য ! ) ঠিক তখনি ইপিথেয়ালিয়েল কোষ হতে বাই- কারবনেট নিঃসরণ করে হাইড্রোক্লোরিক এসিড কে নিউট্রেলাইজ করে , অন্য দিকে পাকস্থলীতে প্রোটেন খাবার সমূহ যাওয়ার পর হাইড্রোক্লোরিক এসিড সক্রিয় হয়ে সেক্রেট এনজাইম পেপ্সিন এসে খাবার সমুহ কে হজম ও মল্ট করতে সহায়তা করে ,
অর্থাৎ সে সময় হাইড্রোক্লোরিক এসিড প্রোটেন জাতীয় খাবার থেকে এমাইনো এসিড তৈরি হতে সহায়তা করে , তারপর তা ডিউডেনামে পাটিয়ে দেয় । কিন্তু যদি খাদ্য খাওয়ার ২০ থেকে ৩০ মিনিটের ভিতর এই হাইড্রোক্লোরিক এসিড যথাযত পরিমাণে অথবা ঠিক সময় মত না আসে তখন দেখা দেয় বিপত্তি – ( যেমন, খাওয়ার ঠিক সময় মত এসিড না এসে পরে আসে এবং তখন এসিড পরিপাক তন্ত্রের ভিতর জমা হয়ে পেট ফুলা, ঢেঁকুর উঠা সহ উপর দিকে চলে গিয়ে বুক জ্বলা দেখা দেয়, ইত্যাদি ) অন্য দিকে এসিডের স্বল্পতায় প্রোটেন খাদ্য সমুহকে পরিপাক করতে না পারায় তা ডিউডেনামে গিয়ে সামান্য পছন ক্রিয়া করে প্রায় অর্ধেক অপছিত খাবার রেক্টামে গিয়ে মল হিসাবে বাহির হয়ে যায় । একই সাথে কার্বোহাইড্রেট খাবার সমূহের হজম কমে গিয়ে বেশিপরিমান বায়ুর সৃষ্টি করে । ( যার আরেকটি প্রধান কারন আই বি এস এবং স্যালিয়াক জাতীয় অসুখের )

২– খাদ্যের রোগজীবাণু কে ধ্বংস ও প্রতিহিত করা ঃ

( আগেই বলেছি হাইড্রোক্লরিকের পি এইচের মাত্রা 1.5 to 3.0 পর্যন্ত থাকে , অর্থাৎ উক্ত এক ফোটা হাইড্রোক্লোরিক এসিড কাগজ বা রুখের মধ্যে ফেললে সাথে সাথে তা পোড়ে যায়, ) যার ফলে উক্ত এসিড খাবারে যে বিষাক্ত ব্যাক্টোরিয়া, ভাইরাস এবং ছত্রাক থাকে-তা সাথে সাথে ধ্বংস করে দেয় । অর্থাৎ ১০০% এসিড একটি জীবাণু নাশক বা পাকস্থলী দূষণ মুক্ত কারক ক্ষার পদার্থ ।
যদি কোন কারনে এসিড কম উৎপাদন হয় তা হলে ফুড পয়জন জাতীয় অসুখে বারে বারে আক্রান্ত হওয়াই স্বাভাবিক এবং প্রথম প্রথম লক্ষণ হিসাবে খাওয়ার ২- ৩০ মিনিট পর ই পেট ফুলে উঠা, বায়ু তৈরি হওয়া, গুড় গুড় শব্দ বা ঢেঁকুর উঠা সহ কলিক ব্যথা ও দেখা দিতে পারে এবং দীর্ঘ দিন ভুগতে থাকলে পাকস্থলীর ঝিল্লীর ভাঁজ সমূহ কে উক্তেজিত করে পক্ষের ব্যাক্টোরিয়া, প্যারাসাইট ও ভাইরাস সমূহ কে বিপক্ষে টেনে নেয় – অবশেষে এরপরিনিতি খুবি ভয়াবহ হয়ে থাকে ( ৭০% বেলায় আই বি এস বা অনিয়ত্রিত পাখানা, ১০% বেলায় স্যালিয়াক এবং ৩% পাকস্থলীর ক্যানসার হতে পারে ) । নতুন গবেষণা অনুসারে Epstein-Barr virus, Coxsackie virus, Echovirus ( সংক্রামণ জাতীয় ভাইরাস ) ই পাকস্থলীর ঝিল্লী সমূহে কোষের মুখ কে স্থায়ী ভাবে বন্ধ করে দেয় ফলে পাকস্থলী ও ডিউডেনামের শোষণ ক্যামতা একেবারে কমিয়ে দেয় , তখন দেখা যায় অল্প কিছু খাবার খাওয়ার পর ই পেট ফুলে উঠে বা ভরে যায় মনে হয় এবং পরবতিতে অন্যান্য লক্ষণ দেখা দেয় ।
সদ্য গবেষণা অনুসারে দেখা যায় ,হাইড্রোক্লোরিক এসিডের ঘটতির ফলে খাদ্য এলারজি , আইবি এস ( অনিয়ন্ত্রিত পায়খানা ) সহ কুদ্রান্ত্রের প্রদাহ জনিত প্রতিক্রিয়া দ্বিগুণ মাত্রায় ব্রিদ্দি পেয়ে থাকে যা অনেক সময় সাধারণ চিকিৎসায় সুস্থ হওয়া যায়না – বা প্রকৃত অসুখটি ধরা পড়তে অনেক বিলম্বিত হয় ।
কিছু খনিজ, ভিটামিন ও পুষ্টিজাত খাবার সমূহ শোষণে সহায়তা করা ঃ
যদি কোন কারনে পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক এসিডের মাত্রা কমে যায় ( পি এইচ মাত্রা 1.5 নিছে চলে আসে ) তখন ক্যালসিয়াম , ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, সেলিনিয়াম , ইত্যাদি খনিজ সমূহ শোষিত হতে ব্যাঘাত ঘটে বিধায় এর অভাবে যে অসুখ দিয়ে থাকে সেই সব রোগের লক্ষণ বিদ্যমান থাকবে বিশেষ করে বিধায় রক্তে আয়রনের পভাব দেখা দিবেই । সেই সাথে অন্ত্রের ভিটামিন বি -১২ শোষণ ক্যামতা হারিয়ে ফেলতে থাকে ( জেনে রাখা ভালঃ- যাহারা বুক জ্বলা বা আলসার জাতীয় অসুখের জন্য দীর্ঘ দিন ওমিপ্রাজল জাতীয় ঔষধ সেবন করেন তাদের বেলায় ভিটামিন বি-১২ এর ঘাটতি দেখা দিয়ে থাকে বিধায়, অন্ত্রের শোষণ ক্যামতা ঠিক রাখার জন্য বাড়তি ভিটামিন বি-১২ সেবন করা উচিৎ )
কার্বোহাইড্রেট , ফ্যাট , ভিটামিন এবং মিনারেল ঃ- হাইড্রোক্লোরিক এসিড অবশ্যই কার্বোহাইড্রেট , ফ্যাট হজম করতে সহায়তা করে সেই সাথে ভিটামিন এ এবং ই কে স্টিমোলেট করে – প্যাঙ্ক্রিয়েটিক এনজাইম এবং পিত্ত রস কুদ্রান্ত্রে নিঃসরণ করতে বিশেষ ভুমিকা পালন করে এবং ফলিক এসিড, এস্কারবিক এসিড , বিটা ক্যারোটিন, এবং আয়রন সমূহ খাদ্য থেকে আরোহণ করতে বিশেষ সহায়তা করে । গবেষণা অনুসারে দেখা যায় হাইড্রোক্লোরিক এসিডের স্বল্পতায় মানব দেহের বিশেষ খনিজ – যেমন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, কোপার, ক্রোমিয়াম, সেলিনিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভেনাডেনিয়াম, মলিভডেনাম এবং কোবাল্ট খনিজ সমূহের শোষণ ক্যামতা কমে গিয়ে লক্ষণ বিহীন অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেইয়ে থাকে এবং ক্রমান্বয়য়ে এসিডের স্বল্পতায় রুগীর হজম শক্তির টান-পোড়ন চলতে থাকে ।
রিসার্চ অনুসারে কিছু তথ্য ঃ- থিউরি অনুসারে যদি ও বলা হয় অতিরিক্ত এসিডের কারনেই বুক জ্বলার সৃষ্টি হয় তা সত্য কিন্তু ৪০% বেলায় পাকস্থলীর উৎপাদিত স্টমাক এসিড পাকস্থলীর হজম ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ না করে ফিজিওলজিক্যাল অন্যান্য কারনে তা অন্য নালীর উপরের দিকে চলে যায় এবং তখন সেখানের পাথলা মিউকাস মেমব্রেন কে পুড়িয়ে দেয়- যাকে আমরা বুক জ্বলা বা হার্ট বার্ন বলে থাকি – ফল হিসাবে পাকস্থলীর এসিড তখন কমে যায় , কিন্তু পিন পয়েন্ট অনুসারে দেখা যায় উক্ত হাইড্রোক্লোরিক এসিড কমানুর জন্য আমরা এন্টাসিড, ওমিপ্রাজল ঔষধ সেবন করে এসিড কে ধমিয়ে রাখি অথবা কমিয়ে ফেলি , অথচ নিজের হজম শক্তির প্রয়োজনিয় এসিড কে নস্ট করার ফলেই পরবর্তীতে নীচের অসুখ সমূহের যে কোন একটি দেখা দিতে পারে এবং লক্ষণ অনুসারে ঔষধ সেবন করলে অনেক সময় সুস্থ না ও হতে পারেন ।


প্রথমেই যে সব লক্ষণ দেখা দিতে পারে ঃ-
hy 6
হার্ট বার্ন বা বুক জ্বলা অথবা পেট জ্বলা- বদ হজম এবং ঢেঁকুর উঠা , বিশেষ করে খাওয়ার পর- সামান্য কিছু খাওয়ার পর পেট ভরে যাওয়া বা ফুলে উঠা ও খাদ্য এলারজির আক্রমণ বেড়ে যাওয়া, খাওয়ার পর খুব কবু বেশী ক্লান্তি অনুভব করা- দুর্গন্ধ যুক্ত , ম্লান, চর্বিযুক্ত, ভাসমান খাদ্য সহ পায়খানা করা ( particles1) বমি বমি ভাব এবং পেটে অস্বস্তি একটি সাধারণ অনুভূতি অথবা কোন কিছু মুখে দেওয়ার সাথে সাথেই বমির ভাব চলে আসা ইত্যাদি ।

অসুখ টি পুরাতন হলে যে সব লক্ষণ দেখা দিতে পারে ঃ
দুর্গন্ধ যুক্ত নিশ্বাস – দাত ও মুখের ক্ষয় রোগ বেড়ে যাওয়া- কুস্টকাঠিন্নতা ডায়রিয়া অথবা আই বি এস দেখা দেওয়া ( টাইপ ওয়ান ), অন্ত্রে ব্যাক্টোরিয়া, ছত্রাক ও প্যারাসাইটের আক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া- ( চর্ম রোগ থাকলে তা আর ও ব্রিদ্ধি পায় ) অনেকের বেলায় অন্ত্রে ছিদ্র হতে ও দেখা যায় — অসুখ টি পুরাতন হলে পুরাতন অন্ত্রের আলসার দেখা দিতে পারে- — খাদ্যে এলারজির আক্রমণ বেড়ে যাওয়া ( টাইপ ওয়ান এবং টু ) – রক্তে আয়রনের অভাব দেখা দেওয়া ( টাইপ টু ) ব্রুন – মাথা ব্যথা– খনিজ এবং ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দেওয়া, বিশেষ করে ভিটামিন বি-১২ এর মারাত্মক অভাব দেখা দেওয়া – চামড়া এবং চুল শুঁকিয়ে যাওয়া এবং নুখের সম্মখ ভাগ ফেটে যাওয়া- হাঁপানি – অস্ট্রিওপ্রসিস ২ — দাদ বা ছত্রাক জাতীয় অসুখের আক্রমণ এবং মলদ্বারে চুলকানি -কৃমি জাতীয় অসুখে ঘন ঘন আক্রান্ত হওয়া – মহিলাদের চোখের নিচে কৈশিক নালীর পাশে লাল ও গোলাবি বর্ণের দাগ বা আচড় পরে যাওয়া- মহিলাদের মাতার চুল পড়া, সহ ভিন্ন ধরনের অটোইমিউন জাতীয় অসুখ দেখা দিয়ে থাকে ।

কি কারনে পাকস্থলীর হাইড্রোক্লোরিক এসিড কমে যেতে পারে ঃ-
hy 3
গভির মানসিক চিন্তা ( উল্লেখ করতে হয়, গভির মানসিক চিন্তায় আলসার ও হয়ে থাকে যার জন্য অতিরিক্ত এসিডকে দায়ী করা হয় তা সত্য কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষ ২০% বেলায় মানসিক চিন্তার কারনে তা বিপরীত মুখি প্রভাব দেখা যায় )
অতিরিক্ত ডায়েট খাবারে – ( Lack of sufficient minerals in the daily diet ) – অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট ক্ষয়ের কারনে– জিঙ্কের অভাবে – ভিটামিন বি ( থায়ামিন ) অভাবে – পরিশোধিত চিনি সব সময় খেলে — আইস যুক্ত পানি সব সময় পান করলে — অতিরিক্ত এন্টাসিড অথবা রেনিটিডিন জাতীয় ঔষধ সেবনে- দীর্ঘ দিন ফারনেসিয়াস এনিমিয়ায় অথবা ভিটামিন বি-৩ অভাব জনিত কারনে । অন্ত্রে পক্ষের ব্যাক্টোরিয়া অকার্যকর থাকার কারনে (হজম জনিত সমস্যায় বিনা কারনে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়া বা intestinal imbalance ) — বিনা কারনে এন্টিবায়োটিক জাতীয় ঔষধ সেবন ( অনেক সময় এন্টি বায়োটিক সেবনে উপকারী ব্যাক্টোরিয়া সমূহ ধ্বংস করে ফেলে ) – বিষ ক্রিয়া জাতীয় খাদ্যে বা সংক্রামিত ব্যাক্টোরিয়ার আক্রমণে ( শিশুরাই বেশী আক্রান্ত হয়ে থাকে via the fecal-oral route – ) – এপেন্ডিসাইটিস ( Mesenteric adenitis )– গ্লুটেনের কারনে ( Celiac disease ), পুরাতন আলসার জনিত কারনে ইত্যাদি

পাকস্থলীর এসিড কমে যাওয়ার ফলে অন্যান্য যে সকল অসুখ বেড়ে যেতে পারে ঃ

এডিশন ডিজেজ , হাঁপানি , স্যালিয়াক ডিজেজ, পুরাতন অটো-ইমো ডিজেজ, পুরাতন আমবাত , চর্মের ইনফেকশন এবং একজিমা, ডায়াবেটিস, গল্বলাডার ডিজেজ, হেপাটাইটিস বা জণ্ডিস রোগ, অস্ট্রিওপ্রসিস বা বাত, এনিমিয়া বা রক্ত শুন্যতা, সোরাইসিস, রিউমেটয়েড আরথ্রাইটিস , ইত্যাদি
যে সকল অসুখের সাথে চিকিৎসকদের অনেক বিড়ম্বনা অথবা ভুল ডায়াগনোসিস হতে পারে ঃ
সেলিয়াক ডিজেজ, ক্রোন্স ডিজেজ, অন্ত্রের আলসার, দীর্ঘ দিনের বুক জ্বলা , জারড ( GERD ) , ইনফ্লেটরি ভায়েল ডিজেজ, ইরেবুল ভায়েল সিনড্রোম, পাকস্থলীর ক্যানসার, অগ্নাশয় প্রদাহ , ডায়াবেটিক গ্যাস্ট্রো প্যারেসিসি, ডায়াবেটিস ডায়রিয়া, এপেন্ডিসাইটিস , কোলন ক্যানসার ইত্যাদি

পরীক্ষা – নিরীক্ষা ঃ-
achlorhydria-159_1
গ্যাস্ট্রিক পি এইচ ইন্ডোসকোপী ( যা রোগির গ্যাস্ট্রিক এসিড সেক্রেশন ২৪ ঘণ্টাই অভজারভেশনে রাখতে হয় Stomach Acid Levels পরীক্ষা করার জন্য ) measurements of extremely low levels of pepsinogen A (PgA) (< 17 mcg/L) in blood serum. The diagnosis may be supported by high serum gastrin levels (>500-1000 pg/mL).অথবা “Heidelberg test” করাতে পারেন । সেই সাথে রক্তের আয়রন, ক্যালসিয়াম, প্রথোম্বিন, ব্যাক্টোরিয়াল ওভার গ্রোথ ইত্যাদি পরীক্ষা করার প্রয়োজন হতে পারে ।

ঘরে বসে কীভাবে বুজতে পারবেন আপনার পাকস্থলীর হাইড্রোক্লোরিক এসিড কমে গেছে ঃ-
hy 11
baking soda
বেকিং সোডা বা খাবার সোডা ঃ
সকালে খালি পেটে এক চামচ সোডা এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে সেবন করার পর ৫ মিনিট হাটাতে থাকবেন এবং যদি দেখেন পরবর্তী ১০/১৫ মিনিটের ভিতর পেটের ঢেঁকুর আসতেছে তা হলে মনে করতে হবে আপনার পেটের সমস্যা অতিরিক্ত এসিডের কারনেই হয়েছে ( বেকিং সোডা কার্বনডাই অক্সাইড রিলিজ করার কারনেই তা সেবন করার পর ঢেঁকুর উঠে ) যাকে আমাদের ভাষায় গ্যাস্ট্রিক বলা হয় । আর যদি ঢেঁকুর না আসে তা হলে মনে করতে হবে পেটের সমস্যা কম এসিডের কারনেই হইতেছে ।
লেমন টেস্ট ঃ ১ অথবা ২ চামচ লেবুর রস ২ অথবা ৪ আউন্স পানিতে মিশিয়ে সেবন করার পর যদি পাকস্থলীতে এসিড বেশী না থাকে তাহলে দেখবেন আপনার পেটের বুক জ্বলা , বদ হজম পেট ফাফা ইত্যাদির লক্ষণ সমূহ কমে গেছে । অর্থাৎ পেটের সমস্যা হাইড্রোক্লোরিক এসিড স্বল্পতায় হইতেছে । আর যদি তা সেবন করার পর পেটফুলা ফাফা , ঢেঁকুর ইত্যাদি বেড়ে যায় তা হলে মনে করতে হবে আপনার পেটের সমস্যা এসিডের কারনেই হইতেছে ( যাকে আমাদের ভাষায় গ্যাস্ট্রিক বলে থাকি )
৪০% মানুষের বয় বৃদ্ধ অবস্থায় ৮০% রোগীর পাকস্থলীর এসিড স্বল্পতায় ভুগে থাকেন বিধায় শরীরের দুর্বলতা , মাথা ঘোরা , খাবারের রুচি কমে যাওয়া , স্নায়ুবিক ভিন্ন ধরনের অসুখ সহ এট্রপিক গ্যাস্ট্রাইটিসে ভুগতে দেখা যায় যা অনেক সময় সাধারণ ডায়াগনোসিস করে অসুখটি ধরা যায় না অথবা অসুখটি চিরস্থায়ী কমার সম্বাভনা ও তেমন নাই ( মেডি জার্নাল, বিম এম জে )
চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা ঃ-
৩ টি প্রধান সুত্র ব্যাবহার করেই পাকস্থলীর এসিড স্বল্পতা অনেকটা নির্মূল করা সম্বভ ( মনে রাখবেন পাকস্থলীর এসিড বৃদ্ধি কারক নির্দিষ্ট কোন ঔষধ নাই – যদিও এসিড ধমিয়ে রাখা বা কমানোর ঔষধ আছে )


চিকিৎসা ও ব্যবস্তাপনা ঃ
hy 8
ভিটামিন বি-১২ প্রতিনিয়ত ৬০ দিন খেতে হবে – ইনফেকশনের সম্বাভনা থাকলে ( Antimicrobial agents ) অবশ্যই মেট্রোনিডাজল/ ইরেথ্রোমাইসিন / রিফাক্সিমিন সেবন করবেন আপনার চিকিৎসকের পরামর্ষ অনুসারে — একি সাথে প্রতিদিন ফ্রেশ দই খেলে রিজাল্ড আরেকটু ভাল পাওয়ার কথা ( দই অন্ত্রের পক্কের ব্যাক্টোরিয়া বৃদ্ধি করে )
বিকল্প ব্যাবস্থা ঃ-
পাকস্থলীর এসিড স্বল্পতায় সাময়িক সময়ের জন্য সাইডার ভিনিগার জাতীয় সাপ্লিম্যান্ট খেতে পারেন অথবা ক্যাপস্যুল বিটেইন হাইড্রোক্লোরাইড ( (Betaine HCL) অথবা গ্লোম্যাটিক এসিড ট্যাবলেট ( Glutamic Acid ) আপনার চিকিৎসকের পরামর্ষে খাবারের সাথে দিনে তিনবার সেবন করতে পারেন অবশ্য এর সাথে ভিটামিন সি ট্যাবলেট যুক্ত করলে আরেকটু ভাল ফল পাওয়ার কথা । সেই সাথে রুগীর অন্যান্য লক্ষণ অনুসারে আনুসাঙ্গিক ঔষধ পত্র চালিয়ে যেতে হবে ।
অথবা ঃ Gentian (Gentiana lutea) জিনিটান ট্যাবলেট ২৮ দিন সেবন করতে পারেন ( এসিড ঘাটতি ও রুচি বাড়ার জন্য প্রমাণিত একটি ভেষজ ঔষধ । ভেষজটি ইউরোপিয়ান দেশে খুব বেশী ব্যবহার করা হয় )



পাকস্থলীর এসিড বৃদ্ধি করার প্রাকৃতিক সহজ কিছু উপায় ঃ-
hy 10
ডায়েট হিসাবে অবশ্যই উচ্চ প্রোটেন সমৃদ্ধ খাবার ( গরুর মাংস, তৈলাক্ত মাছ, হ্যামবার্গার , চিজ বার্গার ইত্যাদি ) এবং দুধ অথবা ডায়েরি প্রডাক্ট ও বেবারিজ ( পেপসি, কোলা, মদ ) জাতীয় ড্রিংক সব সময় এড়িয়ে চলতে হবে । অল্প অল্প করে খাওয়ার অভ্যাস করুন , ( এক সাথে বেশী খাবার কখন ও খাওয়ার চেষ্টা করবেন না ) — দ্রুত অথবা মানসিক স্ট্রেস অবস্থায় খাবার খাবেন না — ভিটামিন বি-৩ এবং বি-৬ অনেক সময় হাইড্রোক্লোরিক এসিড বাড়িয়ে দেয় বিধায় এড়িয়ে চলা ভাল –
খাওয়ার ২০/৩০ মিনিট আগে প্রতিদিন এক গ্লাস পানিতে ২ চামচ লেবুর রস অথবা ১ চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে সেবন করুন — সব সময় এক্টিভ এনজাইম যুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন ।
কেবিজ বা পাতা কবির জুস খেলে ভাল উপকার পাওয়া যায় — গ্রিন চায়ের সাথে আদা অথবা জিরা যোগ করে পান করুন এবং ফারমেন্টেড খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন
– চিনি জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকুন তবে প্রাকৃতিক উপায়ে খাবার থেকে চিনি পাওয়া যায় এমন সব খাবার খেতে পারেন – – পিকল জাতীয় বা ফারমেন্টেড খাবার খেলে কিছুটা রুচি বৃদ্ধি হতে পারে ( fermented foods )
– পেপ্সিন , জিন্টেইন ও মেন্থর জাতীয় খাবার ( zymogen ) ন্যাচারেল ঔষধ সমূহ খুবি ভাল কাজ করে বিধায় পাকস্থলীর এসিড ব্রিদ্ধি করার জন্য পেঁপে, কচি নারিকেল, গাঁজর, পাতা কবি, আনারস,শৈবাল , অ্যাপেল ইত্যাদি খাবার সমূহ বেশী খাবেন ।
সুপার স্পাইরুলিনা প্লাস বা আবাদ করা শৈবাল খাওয়া খুবি ভাল , বিশেষ করে বৃদ্ধদের এলায় খাবার টি মন্ত্রের মত কাজ করে – ( পৃথিবীর ৭ টি খাবারের মধ্যে একটি পুস্টিগত খাবার ই হচ্ছে প্রাকৃতিক শৈবাল – )

ধন্যবাদ ——