shaharpar

Sunday, 15 January 2017

পরিপাক তন্ত্র -পর্ব 2, হার্টবার্ন বা বুক জ্বলা ( সাথে , সাপ্লিমেন্টরি – নিউট্রেশনাল ও আধুনিক মেডিসিনের কিছু গুনাগুণ- এই পর্বে বাংলায় রেনিটিডিন এবং ওমিপ্রাজল নিয়ে সঙ্কেপে তুলে ধরা হয়েছে )

 পরিপাক তন্ত্র -পর্ব – 2 – হার্টবার্ন বা বুক জ্বলা  ( For live video, Please click the link — ( https://www.youtube.com/watch?v=GCTV00sz-rE )


হার্টবার্ন , পাইরোসিস বা বুকজ্বলা বলতে, মুলত হজম শক্তি বা পরিপাকের গোলমাল কেই বুজায় । আমাদের খাদ্যদ্রব্য হজম করার জন্য পাকস্থলী হতে যে গ্যাস্ট্রিক এসিড উৎপাদিত হয় যদি কোন কারন বশত এইসব উপাদান বৃদ্ধি পায় , ( বিশেষ করে হাইড্রোক্লোরিকএসিড ) এবং তা পাকস্থলীর উপরিভাগ অথবা অন্ননালীতে চলে আসে এবং সেখানে দীর্ঘ সময় অবস্থান করে , তখন অন্ননালী এবং পাকস্থলীর মিউকাসের আস্তর সমূহ কে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করে । সে সময় গলা ও মুখের মধ্যে টক বা তিক্ত ঢেঁকুরের স্বাদসহ নিম্ন বুক ও গলা জ্বলা অনুভূত হওয়াকেই হার্টবার্ন বা বুকজ্বলা বলে । ( যাকে আমরা গ্যাস্ট্রিক বলে থাকি , যদি ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় গ্যাস্ট্রিক বলতে কোন অসুখের নাম নেই )

গ্যাস্ট্রিক এসিড বা পরিপাক রস কি ? ঃ-
( যা বুক জ্বালার সময় অন্ননালী থেকে মুখে ও চলে আসে ) ঃ- গ্যাস্ট্রিক এসিড বলতে বুজায় পাকস্থলী গ্রন্থি হতে যে সকল রস বা জুস উৎপাদিত হয়, তাই । এর মধ্যে হাইড্রোক্লোরিক এসিড, পেপসিন, রেনিন , এবং মিউসিন ই প্রধান । যা বর্ণহীন, স্বাদহীন একধরণের আম্লিক জারক রস ।


প্রাকৃতিক ভাবে হাইড্রোক্লোরিক এসিড পাকস্থলীর ক্ষতি করতে পারেনা কেন ঃ
তার কারন যখন পাকস্থলীর ( প্যারাটাইল সেল ) গ্যাস্ট্রিক গ্ল্যান্ড থেকে হাইড্রোক্লোরিক এসিড উৎপাদিত হয় ঠিক তখনি পাকস্থলি ও অন্ত্রের কোষ থেকে প্রচুর পরিমানে বাইকারবনেট উৎপাদন করে এবং এই বাইকারবনেট ই প্রচুর মিউসিন ( মিউকাস ) উৎপাদন করে হাইড্রোক্লোরিক এসিড কে নিয়ন্ত্রণ বা নিউট্রেলাইজ করে থাকে । যার ফলে পাকস্থলী, ও অন্ত্রের উপরিভাগে মিউকাস দ্বারা আবৃত থাকায় , নর্মাল পর্যায়ে নিঃসৃত হাইড্রোক্লোরিক এসিড পাকস্থলী ও অন্ত্রের ক্ষতি করতে পারেনা । তা ছাড়া গ্যাস্ট্রিক এসিড গ্রন্থি সমূহ প্যারাসিম্পেথেটিক নার্ভাস সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করে । যখন পাকস্থলীতে কোন খাদ্য প্রবেশ করে তখন তার গন্ধ ও উপস্তিতির উপর ভিত্তি করে পাকস্থলীর মিউকাস মেমব্রেন হতে গ্যাস্ট্রিন নামক হরমোন নিঃসরণ হয় যা হাইড্রোক্লোরিক এসিড কে স্টিমুলেট করে বৃদ্ধি করে ।
( সাধারণ অবস্থায় ০.৩% পর্যন্ত হাইড্রোক্লোরিক এসিড কে বাইকারবনেট নিউট্রেলাইজ করে রাখতে পারে , এবং তা যদি ০.৫% এর উপরে চলে যায় তখন পাকস্থলী বা অন্ন নালীকে মারাত্মক ক্ষত করে ফেলবে ইহা নিশ্চিত । )
অন্যদিকে যদি এই বাই-কারবনেট পাকস্থলীতে এবং ডিউডেনামে কম উৎপাদিত হয় অথবা বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং যে কোন কারনে পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক এসিড বেশী উৎপাদিত হয় তখন পাকস্থলী, অন্ন নালির উপরিভাগের মিউকাস সমূহ কে পোড়ানোর চেষ্টা করে – আর ঠিক তখনি আমরা বুকের উপরিভাগ সহ , গলার সম্মুখ ভাগ জ্বলা অনিভব করে থাকি , সেই সাথে অম্লাত্তক ও চোকা ঢেঁকুর সহ আর অন্যান্য লক্ষণ দেখা দিয়ে থাকে ( লক্ষণ অংশে ) মুলত পাকস্থলীর উপরের মিউকাস মেব্রেনের জন্যই হাইড্রোক্লোরিক এসিড পাকস্থলীকে পোড়াতে পারেনা ।


কোন খাবারের ঘ্রাণ বা রুচির কথা মনে করলে, অথবা চিন্তা করলে পাকস্থলীতে এসিড ব্রিদ্দি পায় কেন ঃ
তার কারন প্যারাসিম্পেথেটিক নার্ভাস সিস্টেম গ্যাস্ট্রিক গ্ল্যান্ড সমূহ কে নিয়ত্রন করে । যাদের পাকস্থলীতে আসিড ভলিউম ০.৪% এর উপরে থাকে তাদের বেলায় যখন ই মুখরোচক খাবারের কথা মনে হবে, ঠিক তখনি হাইড্রোক্লোরিক এসিড , প্যারাসিম্পেথেটিক নিউরনের তাড়না পেয়ে পাকস্থলি তে চলে আসে এবং প্রচুর পরিমানে গ্যাস্ট্রিন উৎপাদিত হয় । অথচ মিউসিন ও অন্যান্য এনাজাইম নিঃসরণ হয়না বা কম হয় – ফলে পাকস্থলীর পাতলা মেমব্রেন একেবারে শুকিয়ে যায় বা আদ্র হয়ে যায় , ঠিক তখনি হাইড্রোক্লোরিক এসিড ব্রিদ্দি পায় । অন্যদিকে মানসিক চিন্তা করলে অনৈচ্ছিক নার্ভ সমূহ ঠিকমত সংকেত পৌছাতে পারেনা বিধায় অনিচ্ছাকৃত কারনে ও পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক এসিড নিঃসরণ হয়ে থাকে — ।

রাতের বেলা বুক জ্বলা বাড়ে কেন ?
সাধারণতঃ এটা প্রয়োজনাতিরিক্ত খাবার খেলে শোয়ার সময় দেখা দেয়, কার ও বেলায় ঘুমের ৩০ মিনিট পর দেখা দেয় । কারন হিসাবে দেখানো হয়েছে , রাতের বেলা ঘুমানোর জন্য শুয়ে পড়ার পর মধ্যাকর্ষণ শক্তি তেমন কোনো সাহায্যে আসে না। অন্যদিকে ঘুমন্ত মানুষ সাধারণ ভাবে ঢোকও গেলে না। তখন পাকস্থলীর এনজাইম পেপ্সিন , রেনিন সহ ক্ষুদ্রান্তের কিছু বায়ু একত্রিত হয়ে, হাইড্রোক্লোরিক এসিড কে উপরের দিকে টেলে দেয় ( অন্ন নালীতে ) – সে জন্য রাতে বেলায় বেশী ভারি ও তৈলাক্ত মশলা যুক্ত খাবার যত কম খাবেন তথই ভাল ।
বিপরিত দিকে চিন্তা করলে দেখা যায় দিনের বেলা বেশির ভাগ সময় বসে বা দাড়িয়ে কাটাই সে সময় এই জাতীয় তরল পদার্থ খাদ্যনালীতে থাকলেও দাড়িয়ে বা বসে থাকার জন্য তা খাদ্যনালীতে বেশি যেতে পারে না। মধ্যকর্ষণের টানের কারণে পাকস্থলীর তরল পর্দাথকে আবার পাকস্থলীতে ফিরে আসতে হয়। এ ছাড়া মানুষ যখন জেগে থাকে তখন বেশি করে ঢোক গেলে। এ ভাবে প্রতিবার ঢোক গেলার কারণে তরল পদার্থকে পাকস্থলীতে ফিরে যেতে হয় ।

বুক জ্বলার কারণসমূহঃ
অতিরিক্ত মোটা অথবা যারা মেদ ভুড়িতে ভুগছেন তাদের অন্যান্যদের চাইতে ৭০% বেশী হওয়ার সম্বাভনা আছেই —
পাকস্থলী বা কুদ্রান্ত্রে ছত্রাক জাতীয় জীবাণুর আক্রমণ — ( মুলত হঠাৎ করে বুক জ্বলা সৃষ্টি হওয়ার অন্যতম একটি কারন , বুক জ্বলার প্রথমে বা অনেকের দীর্ঘদিন পর কারন টি দৃষ্টি গোচর হয় )
যারা হায়াটাস হার্নিয়ায় আক্রান্ত ( ডায়াফ্রামস্থিত পাকস্থলি মুখ ( Hiatus ) সরু হয়ে তার পাশেই অন্ননালীর আরেকটি অংস নতুন ভাবে জন্ম হওয়াকেই হায়াটাস হার্নিয়া বলে ) —
গর্ভকালীন সময় ( সেকেন্ড ট্রাইমিস্টারের পর্ব থেকেই ) –
নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের জন্য ( এন্টি-ইনফ্লেমেটারি বা ব্যাথা নাশক ঔষধ ( ডিস্প্রিন, আইব্রোফোপ্রেন) পটাসিয়াম, উচ্চ রক্ত চাপের ঔষধ এবং আয়রন জাতীয় ঔষধ ইত্যাদি ) —
ভারি খাবার বা বেশি খাবার অথবা অনিয়মিত ভাবে খাওয়ার জন্য ( চকলেট, মসলাযুক্তঝাল খাবার , চর্বিজাতীয় খাবার ,টক খাবার, যেমন_তেঁতুল, আমড়া, লেবু, টমেটো, রসুন, পেঁয়াজ ও ভাজাপোড়া খাবার ) – অথবা যে সকল খাবার এলারজি বাড়িয়ে দেয় তা থেকে ও হতে পারে । ( যা একেক জনের একেক রকমের খাবার খেলে হিস্টামিন বেড়ে থাকে )
পানিয় জাতীয় ড্রিংক ( কফি, চা, অ্যালকোহল, কার্বনেটেড জাতীয় পানি ( পেপসি, কোকা০কলা ইত্যাদি ) — ধূমপান– খাবার পরেই ব্যায়াম বা শোয়ে পড়া — মানসিক চাপ (Stress) বা টেনশনে থাকলে — ইত্যাদি নানা কারন থাকতে পারে ।
অন্যদিকে খুব টাইট কাপড় চোপড় পড়লেও এ জাতীয় সমস্যা হতে পারে অথবা মারাত্মক ঠান্ডা জনিত কারনে পেটের এসিড ব্রিদ্দি পেতে পারে ।


বুক জ্বলার লক্ষণ সমূহ:
সাধারণত পাকস্থলী, পেট ও বুক জ্বলে ( নিম্ন বুকে জ্বলা ) । অনেক সময় গলা পর্যন্ত জ্বলতে পারে। রোগী পাকস্থলীতে থাকা খাবার পুনঃনিঃসরিত করতে থাকে ( মুখ পর্যন্ত চলে আসে ) গলা ও মুখের মধ্যে টক বা অ্যাসিড স্বাদানুভূতি জন্মে , ঢেকুর তোলার পাশাপাশি বমিও হতে পারে। বিশ্রামের সময় শুয়ে থাকলে তা আর বেড়ে যায় । মাঝে মধ্যে কালো রঙের পায়খানা করা — গলায় খাবার আটকে আছে, এমন অনুভূতি– বারবার হেঁচকি ওঠা, সহজে হেঁচকি বন্ধ না হওয়া — বমি ও বমি বমি ভাব — আকস্মিকভাবে ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি ।


বুক জ্বলার পরীক্ষা-নিরীক্ষা:
বেরিয়াম সোয়ালো বা ইসোফাগ্রাম এক্সরে , ইসোফেগাস ম্যানোমেটরি ( অন্ননালীর ও পাকস্থলীর সাথে যোক্ত ভাল্বের সক্ষমতা পরীক্ষা করা )– পিএইচ মনিটরিং ( সর্বাধুনিক পদ্ধতি তে , একটি পাতলা প্ল্যাস্টিকের নলের মত ডিবাইস যা খাদ্য নালীর ভিতর ঢুকিয়ে ২৪-৪৮ ঘন্টার জন্য রেখে বাহিরের মোবাইল ডিবাইস থেকে এসিডের পরিমাপ করা হয় ) — আপার এন্ডোস্কোপি ( যা ছোট্র নলের মাথায় ক্যামেরা সেটিং করা ডিবাইস দিয়ে লাইভ খাদ্য নালী বা পাকস্থলী অথবা অন্ত্র পর্যন্ত দেখা হয় — বায়োপসি ( এন্ডোস্কোপি করার সময় উক্ত এরিয়ার টিস্যুর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা ) ———–
এ ছাড়া সর্বশেষ আধুনিক পদ্ধতিতে , বমির সময় তার নমুনা সংগ্রহ করে প্যাথলজিক্যাল কিছু পরীক্ষা করে কি ধরণের খাদ্যের দ্বারা এসিডিটি হইতেছে তা জেনে নিতে পারেন ( এলারজিক টলারেন্স একেকজনের একেক রকম বিধায় তা খুব সহজেই ধরা পড়ে , যদি তা এলারজেন জনিত কারনে হয়ে থাকে )


চিকিৎসা ও ব্যাবস্থাপনা ঃ
সাধারণত জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনের কিছু নিয়ম মেনে চললে প্রাথমিক ভাবে বুক জ্বলা বা হার্ট বার্ন থেকে অনেকাংশে মুক্ত থাকা সম্ভব।
যেমন: কিছু খাবার ও পানিয়জাত ড্রিংক আছে যা এসিডিটি বাড়িয়ে দেয় তা খাওয়া থেকে বিরত থাকা — স্পাইসি ও ভাঁজা পোড়া খাবার, টকজাতীয় খাবার , ফ্যাটি ফুড, ফ্যাট যুক্ত দুধ ( ফ্যাট চাড়া দুধ আবার উপকারী ) , চকলেট, চা-কফি, ক্যাফেইন, পিজি ড্রিংক ( কারবনেট ), মদ , অরেঞ্জ বা লেবুর শরবত অথবা যে কোন ধরনের ভারী খাবার এড়িয়ে চলার অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং ধূমপান পরিহার করার চেষ্টা করুন ।
রাতে স্ন্যাক জাতীয় খাবার না খাওয়া, ঘুমানুর সময় শুয়ার বালিশ কম্পক্ষে ৬ ইঞ্চি উচু রাখা, সব সময় সমপরিমাণ খাবার খাওয়া, কখন ও অতিরিক্ত না খাওয়া ,খাওয়ার পর পর শুইতে না যাওয়া এবং কমপক্ষে ৫০/৬০ মিনিট পর বিছানায় যাওয়া, টাইট কাপড় চোপর ও টাইট বেল্ট না পরা — খাওয়ার পর পর ব্যায়াম বা ভারি কাজ না করা, ওজন বেশী হলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যাবস্থা করা, পায়খানা আটকিয়ে রাখার চেষ্টা না করা অথবা কুস্টকাঠিন্যতায় ভুগলে তা দ্রুত ভাল করার চেষ্টা করা —
হটাৎ অতিরিক্ত ঠান্ডা না লাগানো, শরীরে ছত্রাক জাতীয় প্রদাহ থাকলে তা দূর করার চেষ্টা করা ( দাদ বা ঐ জাতীয় ) যে সকল মহিলারা শ্বেতস্রাব জাতীয় সমস্যায় ভুগেন তাহারা খাবার তৈরি করার সময় যেন হাত সব সময় পরিষ্কার থাকে সে দিকে লক্য রাখা ( শিশুদের এসিডিটি হওয়ার কয়েকটি কারনের মধ্যে এও একটি প্রধান কারন ) – যার যে খাবারে এলারজেন সন্দেহ থাকে তা না খাওয়া– ইত্যাদি —-


সাপ্লিমেন্টরি এবং কিছু প্রমাণিত ভেষজ চিকিৎসা ঃ
গবেষণানুসারে যদি ও ভীটামিন এ, সি, ডি ই, এবং বি- ( মাল্টিভিটামিন ) বুক জ্বলা অসুখের জন্য খুবি ভাল এবং এর মধ্যে সব চেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ রিজাল্ড পাওয়া যায় ভিটামিন বি-৯ থেকে ( folic acid / vitamin B9) – সদ্য রিসার্চ অনুসারে দেখানো হয়েছে অন্যান্য ভিটামিনের চাইতে ৪০% বেশী ভিটামিন বি-৯ হাইড্রোক্লোরিক এসিড কে ধমিয়ে রাখতে সাহায্য করে – সে জন্য আমি মনে করি- ভিটামিন বি-৯ যে সকল খাবারে পাওায়া যায় সে দিকে একটু বেশী নজর দেওয়া উচিৎ । যেমন ভিটামিন বি-৯, কলা , লিভার, পালং শাক, শিম এবং দেরেশ ( বিন্ডি ) ইত্যাদি । সেই সাথে হজমে সাহায্য করে এমন সব ফল খেলে অনেকটা ভাল । যেমন, পেঁপে, আনারস, আম ইত্যাদি এসিডিটি কমায় ।
খনিজ হিসাবে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক , এবং সেলেনিয়াম বুক জ্বলার জন্য খুবি ফলদায়ক – যেমন বাদাম বা ক্যশনাট, মিষ্টি কদুর বীচি, সামুদ্রিক মাছে ( টুনা ) বেশী সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম বিদ্যমান বিদায় সে দিকে নজর দেওয়া ভাল =-
তা ছাড়া অমেগা-৩ বা মাছের তৈল, কলা , অ্যাপেল , মধু , ক্যারট বা গাঁজর, পাতা কবি , ইত্যাদি খাবার সমূহ বুক জ্বলা ধমিয়ে রাখতে সাহায্য করে । যা বিজ্ঞান সম্মত ভাবে প্রমাণিত । ( নতুন রিসার্চনুসারে ক্র্যানবেরি জুস, বুক জ্বলার জন্য ভাল হলে ও এইচ পাইলরিক ব্যাক্ট্ররিয়া ব্রিদ্দি পাওয়ার সম্বাভনা আছে বিদায় তা সেবন না করাই ভাল )
মনে রাখবেন কলা কে ন্যাচারেল এন্টাসিড বলা হয় – যেমন, নতুন অবস্থায় সাময়িক বুক জ্বলা দেখা দিলে প্রতিদিন ঘুমানুর আধা ঘন্টা আগে একটি করে কলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন দেখবেন আর এন্টাসিডের প্রয়োজন হবেনা কারন কলা হাইড্রোক্লোরিক এসিড কে নিউট্রেলাইজ করতে সাহায্য করে ।

অল্টারনেটিভ মেডিসিন এন্ড রিসার্চ অনুসারে — প্রমাণিত যে সকল ভেষজ বুক জ্বলার জন্য কাজ করে বা এফডিএ কৃতক অনুমুদিত ঔষধি ( এইচ ২ ব্লকার ) — আমি তাই তুলে ধরলাম ঃ ( যদি ও আর অনেক ধরণের ভেষজ আছে বুক জ্বলা ধমিয়ে রাখে , কিন্তু তা এফডিএ কৃতক অনুমোদিত নয় )
যষ্টিমধু বা licorice ঃ-
বুক জ্বলার জন্য খুবি ভাল একটি প্রমাণিত ভেষজ – খাওয়ার আধা ঘন্টা আগে ২ চা চামচ সমপরিমাণ পাউডার পানির সাথে মিসিয়ে সেবন করলে বাজারের এন্টাসিড ট্যাবলেট বা সিরাপের প্রয়োজন নাই ( তবে উচ্চ রাক্তচাপ যাদের তাদের জন্য যষ্টিমধু খাওয়া ঠিক নয় ।

ঘৃতকুমারী বা এলোব্যারা ঃ-
আধা কাপ জুস খাওয়ার আধা ঘন্টা আগে সেবন করলে সাধারণ এইচ টু ব্লকারের ( রেনিটিডিন ) চেয়ে ভাল ফলদায়ক ( তবে ইহা এক ধরণের ল্যাক্সেটিভ বিধায় ডায়রিয়া জাতীয় অসুখ থাকলে তেমন নিরাপদ নয় )
খাবার সোডা ঃ-
খাওয়ার আধা ঘন্টা আগে ১/২ চামচ আধা গ্লাস পানিতে মিশিয়ে সেবন করলে বুক জ্বলা কমে যায় তবে ইহা একনাগাড়ে এক সপ্তাহের বেশী সেবন করা ঠিক নয়, বিরতি দিয়ে মাঝে মধ্যে সেবন করলে তা মোটেই ক্ষতিকারক নয় । ( ভেগাস নার্ভ সমূহ সোডার প্রতি আশক্ত হয়ে যায় সে জন্য )
টুকিটাকি ঃ
সাময়িক ভাবে ৩/৪ টুকরা আদা ও দুই চামচ পরিমান গুয়ামরি ২ কাপ সমপরিমান উষ্ণ পানিতে ৫০/৬০ মিনিট ভিজয়ে , সেই পানি খাবারের ২০ মিনিট আগে সেবন করলে পেটের গ্যাস্ট্রিক জুস কে ধমিত করতে সাহায্য করে ( প্রমাণিত )
সুগার ফ্রি সুইঙ্গাম বা ঐ জাতীয় কিছু মুখে রেখে চুষলে অনেক সময় মুখের লালারস এসিড কে ধমিয়ে রাখতে সাহায্য করে বিধায় গুয়ামুরি বা সুগার ফ্রি সুইঙ্গাম চিবাতে পারেন । ( প্রমাণিত )


ফারমাসিউটিক্যাল ড্রাগস ঃ
সাধারণ অ্যান্টাসিড-জাতীয় ওষুধ ( ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড ও অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইডযুক্ত ) প্রাথমিক ভাবে সেবন করলে এসিডিটি থাকার কথা নয় যদি সেই সাথে ও জীবনযাপন পদ্ধতি ও খাওয়ার মেনু পরিবর্তন করেন । তারপর ও যদি এন্টাসিড এসিড কে নিউট্রেলাইজ না করতে পারে না তা হলে হিস্টামিন টু ব্লকার ঔষধ ( Ranitidine গ্রোফের ঔষধ সেবন করতে পারেন —
এন্টাসিড সম্মন্ধে একটা বিষয় মনে রাখবেন ঃ- এন্টাসিডের পর্যাপ্ত ফল পেতে হলে তা অবশ্যই খাওয়ার ১ ঘন্টা আগে অথবা ১ ঘন্টা পর সেবন করবেন – খাওয়ার সাথে সাথে সেবন করলে এর পূর্ণ ফলাফল পাবেন না বরং ক্ষতি ই হতে পারে ।

সহযোগী অংশ জেনে রাখা ভাল ( Dr. H Kamaly, M Phamacology ) ঃ– ( খুবি সঙ্কিপ্ত ভাবে রেনিটিডিনের মাত্রা , প্রয়োগ এবং পার্স প্রতিক্রিয়া তুলে ধরলাম )
হিষ্টামিন এইচ২ রিসেপ্টরের সাথে হিষ্টামিনের আন্তঃক্রিয়ার বাধা প্রদান করে। এভাবে রেনিটিডিন হিষ্টামিন এইচ২ রিসেপ্টর -এর উত্তেজক ও গ্যাষ্ট্রিন -এর অতিরিক্ত গ্যাষ্ট্রিক এসিড নিঃসরণে বাধা দেয় ( গ্যাস্ট্রিন পাকস্থলীর নিঃসৃত এক ধরণের হরমোন ) – পেপেটিক আলসারের চিকিৎসায় ও গ্যাষ্টিক এসিড নিঃসরণ কমানো দরকার বিধায় রেনিটিডিন পরিপাক তন্ত্রের যে কোন আলসার ও জলিঞ্জার জনিত অসুখে ৮০% একটা কার্যকরী ড্রাগস । ( মনে রাখবেন আলসার মানে ঘা হওয়াকে বুজায় , তাই ঘা শুঁকাতে ভাল এন্টিবায়োটিকের প্রয়োজন , পেটের আলসারে রেনিটিডিন, অমিপ্রাজল ইত্যাদি হাইড্রোক্লোরিক এসিড কে ধমিয়ে রাখে এবং সেই সুবাধে ভাগ্য ভাল থাকলে, অনেকেই নিজের শরীরের এন্টিবডির কারনে এমনিতেই সে ঘা বা আলসার শুকিয়ে যায় )
ট্যাবলেট হিসাবে বুক জ্বলার জন্য ১৫০ মিগ্রা হিসেবে দিনে দুইবার এসিডিটির জন্য ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত সেবন করতে পারেন । তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে মাত্রার পরিমান বাড়াতে পারেন — পেপটিক আলসারের বেলায় ১৫০ মিগ্রা হিসেবে দিনে দুবার ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত সেবন করার কথা বলা হয় । জলিঞ্জার-এলিসন সিনড্রোমের জন্য ১৫০ মিগ্রা দিনে ৩বার সেবন করতে পারেন বা প্রয়োজনবোধে অভিজ্ঞ চিকিৎসক এ মাত্রা বাড়িয়ে দিনে ৬ গ্রাম পর্যন্ত বিভক্ত মাত্রায় ব্যাবহারের পরামর্ষ দিয়ে থাকেন
স্বল্পস্থায়ী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে, মাথা ব্যাথা (গুরুতর হতে পারে); ⦁ মাথা ঝিম ঝিম ভাব , মাথা ঘোরা; ⦁ ঘুমের সমস্যা (অনিদ্রা) ⦁ বমি বমি ভাব, বমি, পেট ব্যথা বা ডায়রিয়া , কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি দেখা দিতে পারে ।
দীর্ঘ দিন ব্যাবহারে অন্যান্য শারীরিক যে সমস্যা দেখা দিতে পারে ( Endocrine side effects ) ঃ- যৌন উক্তেজনা কমে যাওয়া অথবা পুরুষত্বতা নস্ট হয়ে যাওয়া , মহিলাদের বেলায় নিতম্ব এবং স্থন বেড়ে যাওয়া সহ প্রজেস্টারন হরমোনের অভাব দেখা দিতে পারে। ( amenorrhea, reductions in circulating levothyroxine )
যদি লিভারের অথবা প্যাঙ্ক্রিয়াসের কোন অসুখ থাকে তা হলে তা আর ও বাড়িয়ে দিতে পারে , গর্ভ বতীদের বেলায় গ্রুফ বি অন্তর্ভুক্ত বিধায় তেমন ক্ষতিকারক নয় তবে ১৮ সপ্তাহের আগ পর্যন্ত সেবন না করাই ভাল । দুধ দান কারি মায়ের দুধে চলে যায় বিধায় স্থন পান কারি শিশুর তেমন ক্ষতি না হলেও উক্ত শিশুর অন্ত্রজনিত নানা সমস্যা লেগে থাকতে পারে ।
মনে রাখবেন, যাদের ডাস্ট এলারজির টলারেন্স বেশী তারা রেনিটিডিন সেবন করলে শরীরে এলারজি দেখা দিতে পারে- – নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে যারা দীর্ঘদিন রেনিটিডিন সেবন করে আসছেন এবং যদি তাহারা নিউমোনিয়া বা বুকের শ্বাস কস্ট জনিত অসুখে ভুগেন তাহলে তাহাদের নিউমোনিয়া কে আরও বাড়িয়ে দেয় – রেনিটিডিনের সাথে কিটোকোণাজল জাতীয় ঔষধ ( ফাঙ্গাস বা দাদ জাতীয় অসুখের ঔষধ ) একত্রে ব্যবহারে রেনিটিডিনের শোষনের মাত্রা কমে আসে। বা ৯০% বেলায় কোন কাজ হবেনা — )

অথবা ( ওমিপ্রাজল )
প্রোটন পাম্প ইনহেবিটার ঔষধ (পিপিআই ) ওমিপ্রাজল, ইসোমেপ্রাজল, প্যান্টোপ্রাজল সেবন করতে পারেন । ব্যাবহার হিসাবে, ভিন্ন ধরনের আলসারেটিভ – যেমন, হার্ট বার্ন , ডিউডেনাম আলসার, স্টমাক আলসার , পাইলরি-ব্যাক্টোরিয়া জনিত আলাসার, বধহজম জনিত পেটের ব্যাথা ও বমি অথবা জলিঞ্জার সিন্ড্রোম ইত্যাদি অসুখে ব্যাবহার করা হয় – ডোজ হিসাবে ক্যাপসুল ২০ /৪০ মিগ্রাঃ প্রতিদিন সকালে অথবা দিনে তিনবার পর্যন্ত ব্যাবহার করার পরামর্ষ দেওয়া হয়ে থাকে ১৪- ২৮ দিন পর্যন্ত বা সরবোচ্চ ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত ( এখানে আরেকটি বিষয় মনে মনে রাখলে ভাল , আলসারেটিভ বা প্রদাহের সম্বাভনা থাকলে সাথে আপনার চিকিৎসক অবশ্যই ভাল এন্টি-বায়োটিক দিবেন –৯৯% নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি, বর্তমানে আলসারেটিভ এমন মারাত্মক কোন অসুখ নয় – যদি সাথে সাথে সঠিক চিকিৎসা ও ঔষধ ব্যাবহার করাতে পারেন–
পিপিআই সেবনে ( ওমিপ্রাজল ) সাধারণ পার্স প্রতিক্রিয়া হিসাবে – ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব ও বমি, মুখে স্বাদ কম লাগা, হাত-পা ফুলে যাওয়া, মাথাব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা ও টান, ঘুম কম হওয়া, জ্বর জ্বর ভাব, চুল পড়াসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে যা ঔষধ বন্ধ করে দিলে তা চলে যায় –
কিন্তু দীর্ঘদিন যাহারা নিজ ইচ্ছামত ব্যাবহার করে আসছেন তাদের জন্য বেশ দুঃসংবাদ বলা যায় – যেমন ভিটামিন বি-১২ এর অভাবে যে সকল অসুখ দেখা দেয় তার সবকয়টি অসুখ দেখা দিবেই ( ভিটামিন পর্বে দেখুন ) , সে জন্য বিশেষজ্ঞরা তা পুরন করার জন্য সাথে মাল্টিভীটামিন দিয়ে থাকেন – অন্যদিকে ওমিপ্রাজল ঔষধ দীর্ঘদিন ব্যাবহারে হরমোন স্টিমোলেটিং কমিয়ে দেয় এমন কি ১১% বেলায় অগ্নাশয়ের ইনুসুলিন উৎপাদন হ্রাস পায় বা ৫% বেলায় অগ্নাশয়ে প্রদাহ ও হতে পারে ফলে আমার ব্যাক্তিগত মতে পুরাতন ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা যতপারেন ওমিপ্রাজল ঔষধ কম সেবন করে চলার চেষ্টা করবেন । যারা অস্ট্রিওপ্রসিস জাতীয় অসুখে আক্রান্ত অথবা ব্রিদ্দ বয়স্ক দের বেলায় খুব কম পরিমানে ব্যাবহারের নির্দেশ দেওয়া আছে ( এফ ডি এ ) – তা ছাড়া ইন্টেস্টেনাল নেফ্রাইটিস হওয়ার সম্বাভনা আছেই ( কিডনির নেফ্রন বন্ধ হয়ে যাওয়া ) ইত্যাদি -ইত্যাদি —


এরপর ও সুস্থ না হলে অনেক সময় মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা সার্জারির উপদেশ দিয়ে থাকেন
সার্জারি ঃ যদি ঔষধ ও জীবনযাপন পদ্ধতির পরিবর্তন করে ও বুক জ্বলা না কমে তা হলে শেষ মেশ সার্জারি করার প্রয়োজন হতে পারে।
বুক জ্বলার সার্জারি সার্জনরা দু ধরনের পদ্ধতি ব্যাবহার করেন –
১- অন্ননালীর নিম্নাংশে কৃত্রিম ভাল্ব অথবা রিং (এলআইএনএক্স ডিভাইস) লাগানোর কথা বলেন, ইহা অন্ননালীকে বেঁধে রাখে এতে করে পাকস্থলী থেকে এসিড উপরের দিকে উঠতে পারেনা
https://www.youtube.com/watch?v=ApLLC9R-ZIs  ( for live video )
২- ফান্ডোপলিকেশন। এ পদ্ধতিতে অন্ননালীর প্রসস্থতা সংকোচন করে সিলাই করে দেওয়া হয় । যারা হায়টাস জনিত অসুখে আক্রান্ত তাদের জন্য ভাল ।
https://www.youtube.com/watch?v=pys48qYXjS8 ( লাইভ ভিডিও )
তবে আধুনিক পদ্ধতিতে যদি অতিরিক্ত মেদ-ভুড়ির কারনে বুক জ্বলা দেখা দেয় তাহলে গ্যাসট্রিক বাইপাস সার্জারি করালে ৯৫% বেলায় আর এসিডিটি দেখা না দেওয়ার কথা বা সাথে অন্যান্য অসুখ বিসুখ ও কমার কথে । এর সার্জারি বিশেষজ্ঞের পরামর্ষ নিতে পারেন
https://www.youtube.com/watch?v=9bnIuKiHdDE ( for live Video )


সাবধানতা !
বুকজ্বলা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করবেন । যদি নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারেন তাহলে অনেক বছর কষ্ট করতে হতে পারে, কারন এই অসুখ টি থেকেই অন্যান্য মারাত্মক অসুখ হতে পারে। যেমন, বুকজ্বলা থেকে ইসোফেগাইটিস, আলসার, রক্তপাত, স্টিকচার এবং শেষ পর্যন্ত ইসোফেগাল ক্যান্সারও হওয়া অসম্বভ কিছু নয় । তথ্য অনুসারে , যে কোন পুরাতন এসিডিটি রোগীর ৯৫% সম্বাভনা খাদ্যনালী, পাকস্থলী অথবা ডিউডেনামে আলাসার হওয়ার এবং তা যদি নিজ ইচ্ছা বা অভ্যাসের কারনে অসুখটি সম্পূর্ণ না কমিয়ে ( ৮০% অর্ধ শিক্ষিতদের বেলায় অবহেলা অথবা চিকিৎসকের দেওয়া ঔষধ সমূহ পূর্ণ সেবন না করে পর্যায় ক্রমে নিজ ইচ্ছা মাফিক ঔষধ সেবন করার অভ্যাস গড়ে তুলেন , তাদের বেলায় ২৭.৫% সম্বাভনা আছেই পারপিউরেশন ( ছিদ্র ) অথবা ক্যানসার হওয়ার ।
১৭% বেলায় হার্টের অসুখের বুকের ব্যাথা এবং বুক-জ্বলা অসুখের বুক ব্যাথা লক্ষণ দেখতে প্রায় একি রকম মনে হয় – তখন অবশ্যই হার্টের অসুখের ডাটা ( ক্যাড পর্ব -১ এ দেখুন ) এবং বুক জ্বলার ডাটা মিলিয়ে তার পার্থক্য খুব সহজে বুজে নিতে পারেন ( আমার ব্যাক্তিগত মতে , যে অসুখ হয়না কেন ভাল অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্ষ নেওয়া উত্তম _ যদি সে সময় চিকিৎসকের কাছে যেতে দেরি হইতেছে মনে করেন তা হলে সাথে সাথে বুক জ্বলা অসুখের ঔষধ সেবন করার চেষ্টা করবেন, এবং যদি দেখেন ৫/১০ মিনিটের ভিতর তা কিছুটা লাগব হচ্ছে না তা হলে ৮০% বেলায় ধরে নিতে হবে হার্টের কিছু একটা সমস্যা আছেই, সেই সাথে ৯০% বেলায় প্রেসার ভলিউম একটু বেশী হবেই —
( যদি ও চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুমানিক সাপেক্ষ চিকিৎসা কোন সময় গ্রহন যোগ্য নয় , তার পর ও গ্রামিন জনপদের বেলায় জরুরী বিকল্প ব্যাবস্থার জন্য উপরের সিম্পটমেটিক লাইন সমূহ উল্লেখ করার জন্য ক্ষমা করবেন ) ধন্যবাদ ————-সবাই ভাল থাকেন——…।
About these ads

No comments:

Post a Comment