shaharpar

Sunday, 15 January 2017

পরিপাক তন্ত্র -পর্ব ৬ ( পেপ্টিক আলসার বা পাকস্থলীর ক্ষত রোগ ) পেপ্টিক আলসার ও একটি ছোঁয়াচে রোগ !!!!!


 
 
 
 
 
 
6 Votes

pep 000
Version Inf :- The National Institutes of Health (NIH) – The Merck Manuals– ( prof-verssion ) Dept of Gastroenterology ( Uni of Medical School Bristol ) Creditor Dr.H.Kamaly, Supporting Ferri FF. Ferri’s Clinical Adviser 2015 , 2015:478.

পেপ্টিক আলসার বা পাকস্থলীর ঘা বলতে খাদ্যনালীর নীচ থেকে শুরু করে কুদ্রান্ত্রের উপরের অংশ ( ডিউডেনাম ) পর্যন্ত যে ক্ষতের সৃষ্টি হয় তাকেই বুজায় – সাধারণ ভাবে আলাসার অনেক প্রকার হলেও মুলত তিনটি ভাগে বিভক্ত – ১- খাদ্যনালীর ঘা বা ইসোফেগাল আলসার
২- গ্যাস্ট্রিক আলসার ঃ খাদ্যনালীর নীচ থেকে শুরু করে পাকস্থলীর যে কোন অংশে ঘা হওয়াকে বুজায়
৩- ডিওডেনাল আলসার – কুদ্রান্ত্রের উপরিভাগের যে কোন অংশের ঘা হওয়াকে বুজায় ( গঠন তান্ত্রিক ভাবে ইহা আবার ৫ ভাগে বিভক্ত

আলসার কেন হয?
pep 2
যদি ও সাধারণ ভাবে বলা হয় পাকস্থলীর ডাইজেস্টিভ এসিডের বৃদ্ধির ফলে পাকস্থলীর মিউকাস মেমব্রেন যে ক্ষত দেখা দেয় ইহাই আলসার – কথাটি সত্য হলে ও পাকস্থলীর ৮০% আলসার হওয়ার মুল কারন পাকস্থলীর হাইড্রোক্লোরিক এসিডে হেলিওব্যাক্টার পাইলোরি নামক একটি ব্যাক্টোরিয়া, যা পরজীবী হিসাবে পাকস্থলী ও ডিওডেনামে বসবাস করে এবং সেখানে ঘায়ের সৃষ্টি করে – ব্যাক্টোরিয়া টি বৃদ্ধি পায় এসিডের পরিমাণ যত বৃদ্ধি পায় তথোই ।
১- হেলিকোব্যাক্টের পাইলোরি বলে এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়া পাকস্থলীর ভেতরের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লীর আবরন কে সংক্রামিত করে, যা পরে জীর্ণকারক রসের প্রভাবে আলসারে পরিণত হয়। এইচ পাইলোরি ব্যাক্টোরিয়া যে কোন ভাবে পাকস্থলীতে ঢোকতে পারলেই হাইড্রোক্লোরিক এসিড ও পেপ্সিন এনজাইমের মধ্যে এরা দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করতে সক্ষম ও সেখানে বাসা বেঁধে উক্ত মসৃণ আবরণী সমূহ কে ক্ষত বিক্ষত করে দেয়- তৃতীয় বিশ্বের দেশ সমুহে ৮০% পাকস্থলীর আলসার হওয়ার মুল কারন এই ব্যাকটোরিয়া । ( বিস্থারিত নিছে দেখুন – আলসার একটা ছোয়াছে রোগ অংশে ) বাদ বাকি ২০% অন্যান্য কারনে হয়ে থাকে ।
২- – ৫% বিভিন্ন ঔষধ সেবনে : যে সমস্ত ঔষধ সেবনে, পাকস্থলীর উপরের লাইনার সমূহ ক্ষত বা পূড়ে গিয়ে পেপটিক আলসার হতে পারে – তন্মধ্যে ব্যথানাশক ঔষধ বা বাত নিবারক ঔষধ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
( যেমন নেসিড জাতীয় , ডিস্পিরিন- আইব্রোফেন ইত্যাদি )- তা ছাড়া বৃদ্ধ বয়সে অস্ট্রীয়আরথ্রাইটিস, বাথ ইত্যাদির জন্য ব্যাস্ফস্ফেট ইত্যাদি ঔষধ সেবনে হতে পারে । সে জন্য প্রোস্টাগ্লান্ডিন কেমিক্যাল পদার্থকেই দায়ী করা হয় যা পাকস্থলীর ডাইজেস্টিভ গ্রন্থি সমূহ বেশী উক্তেজিত করে ) ।
৩- ১% পাকস্থলীর অন্য যে কোন অসুখের কারনে ঃ- ( gastrinoma ) যা প্যাঙ্ক্রিয়াস অথবা ডিউডেনামের এক ধরনের টিউমার কে বুজায় – যার কারনে পাকস্থলীর গ্যাস্ট্রিন ও ডিউডেনাম হতে প্রচুর হাইড্রোক্লোরিক এসিড উৎপাদন করে পাকস্থলীতে আলসার হতে দেখা যায় ( অবশ্য ইহা খুবি কম হয় দশ হাজারে একজন ) -যাকে জোলিঙ্গার এলিসন সিনড্রোম ও বলা যায় ।
৪- ০.৪% ক্যান্সারের জাতীয় অসুখে পরমাণু বিকিরণ জাতীয় থ্যারাপির কারনে ।
৬ ৫% এসিড এবং এনজাইমের ভারসাম্যতা ঠিক না থাকার কারনে ঃ- যাদের পরিপাকতন্ত্রের ফান্ডাস অঞ্ছল থেকে পেপ্সিন এনজাইম কম নিঃসরণ হয় এবং হাইড্রোক্লোরিক এসিড বেশী নিঃসরণ হয় আবার কখন ও এর বিপরীত অবস্থান দেখা দেয় ( মুলত জ্যানেটিক কারন কেই দায়ী করা হয় ) এদের বেলায় পরিপাক তন্ত্রের গঠনগত কাঠামো দুর্বল থাকে বিধায় অন্যান্যদের চাইতে খুব সহজেই আলসার জাতীয় অসুখ হয়ে থাকে । তবে বেশির ভাগই রক্তের গ্রুপ ‘ও’ তে এই বিশিষ্ট দেখা যায় ।


আলসার কাদের জন্য বেশী ঝুকি ? বা খুব দ্রুত ক্রনিক পর্যায়ে চলে যায় এবং তা ধীরে ধীরে ক্যানসার বা ঐ পর্যায়ের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্বাভনা ৯০% বেশী ঃ
pep 11

যারা পুরাতন পাকস্থলীর প্রদাহ বা গ্যাস্ট্রিক জাতীয় অসুখে আক্রান্ত তারা যদি সময় মত সঠিক চিকিৎসা এবং সঠিক সময়ে ঔষধ সেবন না করেন ( চিকিৎসকের দেওয়া পূর্ণ ডোজ )
( আমার ব্যাক্তিগত মতে পুরাতন গ্যাস্ট্রিকে যারা আক্রান্ত তাদের মধ্যে ৯৮% ই পেটের আলসার জাতীয় অসুখে আক্রান্ত , যদি ও মেডিক্যাল জার্নাল তা স্বীকার করেনা । )
নতুন ভাবে আলসার ধরা পরার পর নিম্নের অভ্যাস সমূহ দূর না করলে পুনরায় আলসারে আক্রান্ত হতে পারেন ঃ- ধূমপায়ী– ( বিশেষ করে , এইচ পাইলোরি জনিত আলসারের সমস্যার বেলায় বেশী ঝুঁকিপূর্ণ ) — মদ্য পান ( যা এলকোহল স্পিড, পাকস্থলী এবং ডিউডেনামের শ্লেষ্মা ঝিল্লী সমূহের ক্ষয় বৃদ্ধি করে )
– মানসিক চাপ ও রাত্রি জাগরন জনিত কারনে ঃ- ( পুরুষের বেলায় বয়স ৪০ ঊর্ধ্ব এবং মহিলাদের বেলায় ৩৩ ঊর্ধ্ব খুব বেশী ক্ষতিকারক ) মানসিক দুশ্চিন্তা জনিত কারনে সেরোটেনিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওায়ায় এসডিক এসিড বৃদ্ধি পায় ইহা সত্য বা সে সময় যাদের পাকস্থলীতে এইচ পাইলোরি ব্যাক্টোরিয়া সুপ্ত পর্যায়ের থাকে তখন তা বৃদ্ধি পায় । অন্য দিকে অধিক রাত্রি জাগরনে প্যানিয়েল গ্রন্থি থেকে মেলাটোনিন হরমোনের নিঃসরণ কমে যায় ফলে মানসিক চাপজনিত কারনে পাকস্থলীর এসিডিক এসিড সমূহের নিঃসরণ বৃদ্ধি পায় । ৮০% পাকস্থললির প্রদাহ জাতীয় অসুখ থেকে আলসার খুব দ্রুত হওয়ার সম্বাভনা আছেই ( low melatonin ) । ( ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল )
যারা নিয়মিত আহার গ্রহণ করেন না কিংবা দীর্ঘ সময় উপোস থাকেন তাদের বেলায় পেপটিক আলসার দেখা দিতে পারে। ( কারন নির্দিষ্ট সময়ে খাদ্য গ্রহণ করলে পাকস্থলী নির্ধারিত সময়ে অ্যাসিড তৈরি করবে যা পরবর্তীতে অভ্যাসে পরিণত হয় )-
( যদি ও আগে নিষেধ করা হত মসলা যুক্ত খাবারের বেলায় কিন্তু তা ভিত্তিহীন – বা প্রমান ও করা হয়েছে, মসলা বা ঝাল জাতীয় খাবার খেলে পেপটিক আলসার হয়না তবে বুক জ্বলা অসুখ বৃদ্ধি পায়, মসলায় থাকা ক্যাপসেইসিনের কারণে – )

আলসারের লক্ষনঃ
pep 10
৭৫% ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিকের সাধারণ সকল লক্ষণ দেখা দিয়ে থাকে ( এর মধ্যে বুক জ্বালা, জর, অরুচি, বমি বমি ভাব, ক্ষুধা মন্দা, পেট ফোলে যাওয়া, ফাফানো , কিংবা মারাত্মক কেত্রে হঠাৎ করে রক্ত বমি অথবা পেটে প্রচন্ড মোড়চা ও ব্যথা অনুভব হতে পারে — বিস্থারিত — পাকস্থলীর প্রদাহ পব – ৫ দেখুন ………………।।)
( মনে রাখবেন ওপরের পেটের মাঝখানে ব্যথা বা জ্বালা, বমি ভাব বা বমি হওয়া পাকস্থলীর ঘায়ের প্রধান লক্ষণ । প্রাথমিক ভাবে বুজার জন্য খালি পেটে থাকা অবস্থায় যখন এন্টাসিড বা ওমিপ্রাজল ইত্যাদি সেবন করলে দেখবেন তা কমে যায় । যা পরবর্তীতে ধীরে ধীরে মাত্রা বৃদ্ধি করতে হয় )
পেপ্টিক আলসারের ব্যথা সাধারণত পেটের উপরি ভাগের মাঝখানে , বক্ষ পিঞ্জরের ঠিক নিচেই বেশির ভাগ অনুভব হয়। তবে কখনো কখনো ব্যথাটা পেছনের দিকেও যেতে পারে। বা অনেক কেত্রে নাভী থেকে শুরু করে বুকের হাড় পর্যন্ত এই ব্যথা অনুভূত হয়। কারও কারও এই বেথা নার্ভের ফাংশন জনিত বেগাতের কারণে পিটের পিছন দিকে গিয়ে অন্যান্য রোগের উপসর্গের মত দেখা দিতে পারে –
রাতে ব্যথা : অনেক সময় রাতের বেলা পেটে ব্যথার কারণে রোগী ঘুম থেকে জেগে উঠেন এরপর কিছু খেলে ব্যথা কমে যায়- অনেকে ক্ষুধার্ত হলেই প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করেন এবং খাবার খেলে সাথে সাথে ব্যথা কমে যায়। আবার ডিডেনালের কেত্রে -খাওয়ার কয়েক ঘন্টা পর ব্যথা দেখা দেয় –
কারও কারও বেলায় পেপটিক আলসারের ব্যথা সবসময় থাকে না,আবার কারও কারও একাধারে ব্যথা কয়েক সপ্তাহ চলতে থাকে তারপর দেখা যায় রোগী কিছুটা ভাল হয়ে গেছেন , এবং এ অবস্থা কয়েকমাস থেমে থাকে তারপর আবার কয়েক সপ্তাহ ধরে ঠিক আগের মতো ব্যথা অনুভব হয়।
যারা দীর্ঘ দিন এই জাতীয় অসুখে ভুগতে থাকেন তাদের বেলায় , পিত্ত রক্ত বমি, শরীরের ওজন কমে যাওয়া ,প্রদাহের কারণে জ্বর সহ মাথা ব্যথা , পরিপাক তন্ত্রে গোফনে রক্ত ঝরার কারনে রক্ত শুন্যতা , এবং অবশেষে পাকস্থলী বা অন্ত্রের যে কোন জায়গায় ছিদ্র হতে পারে – ইত্যাদি


দীর্ঘ দিন পেপ্টিক আলসারে আক্রান্ত হওয়ার পর কি কি সমস্যা হতে পারে ?
pep 4
• রক্তপাত—দীর্ঘ দিনের আলসার জনিত অসুখে অনেকের অজানা অবস্থায় ই পায়খানার সাথে রক্ত যেতে পারে যা অনেক সময় খালি চুখে দেখে ও বুজা যায়না যদি অল্প অল্প পরিমাণে রক্ত যায় – কারন পাকস্থলীর পাছক রসের সাথে সেই রক্ত মিশে থাকে । কিন্তু পাকস্থলীর ঘায়ের রক্ত নালী যদি বেশী ক্ষয় হয় তা হলেই মলদ্বার দিয়ে রক্ত যেতে দেখা যায় – রক্ত বমি এবং সেই সাথে কাল পায়খানা থাকলে হাস্পাতালে ভর্তি হয়ে ক্লিনিক্যাল পদ্ধতিতেই চিকিৎসা করা উচিৎ ।
•পাকস্থলী বা ডিউডেনাম ফুটো বা ছিদ্র হওয়া ঃ- এইচ পাইলোরি ব্যাক্টোরিয়া যখন পাকস্থলী বা ডিউডেনামের মাংসপেশি সমূহ কে খেয়ে ফেলে তখন তা ছিদ্র করে ফেলে – সে সময় পেটে প্রচন্ড ব্যথা , পেট ফুলে গিয়ে চাকার মত শক্ত হয়ে যায় বা অনেক সময় পাকস্থলীর খাদ্য সমূহ সর্বত্র সম্পূর্ণ উদর গহ্বরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে । এমতা অবস্থায় জরুরী অপারেশন ছাড়া অন্য কোন বিকল্প ব্যবস্থা থাকেনা ।
পাইলোরিক স্টেনোসিস ঃ- পাকস্থলী ও কুদ্রান্ত্রের সংযোগস্থল অনেক সময় চিকন বা ছোট হয়ে গিয়ে পাকস্থলীর খাদ্য সমূহ অন্ত্রে যেতে পারেনা তখন কিছু খেলেই বমি আসবে এবং শরীরের ওজন কমতে থাকবে -সময় মত অপারেশন না করালে বেশীরভাগ সময় এ ক্ষেত্রে ক্যানসার হওয়ার আশংকাই বেশী ।


পরিক্ষা নিরীক্ষা ঃ-
pep 12
আপনার চিকিৎসক রোগের ইতিহাস ও শারীরিক পরীক্ষা করেই ৬০% নিশ্চিত হতে পারেন । সেই সাথে প্যাথলজিক্যাল অন্যান্য পরীক্ষা করে ১০০% নিশ্চিত হতে পারবেন অসুখটি কোন প্রকৃতির আলসার – সে জন্য
ইন্ডোস্কপি ঃ পাকস্থলী এবং ডিউডেনামের ভিতর ঝিল্লীতে কোন ধরনের প্রদাহ বা ক্ষত থাকলে তা সরাসরি ছোট টাইনি ক্যামেরার মাধ্যমে স্ক্রিনে দেখা যায় বা একি সময়ে প্রয়োজনে অনেক সময় বায়োস্কপি ও করা হয় ( অর্থাৎ আক্রান্ত স্থানের সামান্য টিস্যু নিয়ে তা ল্যাবরেটরি এনালাইসিস করে এইচ পাইলোরি ব্যাক্টোরিয়ার উপস্থিতি এবং পরিমাণ পেতে পারেন ।)
রক্ত ও পায়খানা পরীক্ষা ঃ সেই সাথে ইউরিয়া ব্র্যাথ এবং সাল্ভিয়া বা মুখের লালা পরীক্ষা ( Urea breath or saliva test ) – যা পরীক্ষা করে এইচ পাইলোরি বেক্টোরিয়া থাকলে তা ধরা পড়ে অথবা রক্তের সেরোলজি টেস্ট এবং ফ্যাকাল ওকাল্ট ব্লাড টেস্ট করাতে পারেন ( Fecal occult blood test )- অবশ্য সে সময় যদি রোগী উচ্চ ক্যামতা সম্পন্ন এন্টিবায়োটিক এবং ওমিপ্রাজল ঔষধ সেবন করে থাকেন তাহলে অনেক সময় সেই পরীক্ষা সমূহ পজেটিভ না হয়ে নেগেটিভ ও হতে পারে , তাই বিশেষজ্ঞরা সে জন্য আর কিছুদিন ক্লিনিক্যাল অভজারবেশনে রেখে পুনপরিক্ষা করার কথা বলতে পারেন । ( Upper GI বা বেরিয়াম মেইল এক্সরে করার আর প্রয়োজন নেই , বা অনেক সময় বেরিয়াম মেইল এক্সরের দ্বারা ছোট ছিদ্র সমূহ দেখা ও যায়না )

চিকিৎসা ( আধুনিক ) ঃ
pep 13

প্রাথমিক অবস্থায় আলসার ধরা পড়লে চিন্তার কোন কারন নেই বরং আপনার চিকিৎসকের দেওয়া ঔষধ এবং বিধিনিষেধ সমূহ যথা যত ভাবে পালন করলে তা পুনরায় আক্রমণ করার সম্বাভনা নাই ।

( ৮০% + রিজাল্ড )
যদি তা ব্যাক্টোরিয়া জনিত কারনে হয়ে থাকে, তা হলে চিকিৎসকরা ট্রিপল থ্যারাপি ব্যাবহার করে থাকেন ৭ থেকে ১১ দিনের জন্য – ফাস্ট লাইন অনুসারে ( The TT was omeprazole, amoxicillin, and clarithromycin twice daily ওমিপ্রাজল ২০ মিগ্রাঃ + এমোক্সোসিলিন ৫০০ মিগ্রাঃ এবং ক্ল্যারিথ্রমাইসিন ২৫০ মিগ্রাঃ ( এন্টিবায়োটিকে এলারজি থাকলে মেট্রনিডাজল ৪০০ মিগ্রাঃ ) দিনে দুইবার । ( ডোজ পরিবর্তন পরিশোধন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চাইলে করতে পারেন বা সিম্পট্মেটিক অন্যান্য ঔষধ যুক্ত করতে পারেন ) যা ৭০% পেপ্টিক আলসার ভাল হয়ে থাকে ( প্রমাণিত ) ব্রিটিশ ফার্মাকোলজি রেফারেন্স থেকে ।

পুরাতন আলসার বা ক্রনিক আলসারের চিকিৎসা পদ্ধতি ঃ-
( সাবধানতা ঃ- জানার জন্য তুলে ধরলাম – যদি কেউ নিজে নিজে ডাক্তার হওয়ার চেষ্টা করেন তা হলে ১০০% মারাত্মক ক্ষতি ছাড়া- ভাল হওয়ার কথা নয় )
এরপর ও যদি কাজ না করে বা ড্রাগ রেসিস্টেন্স হয়ে থাকে তখন দ্বিতীয় স্থরের চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকেন চিকিৎসকরা ঃ ( Second-line therapy: quadruple therapy ) The QT was omeprazole twice daily with bismuth subcitrate, metronidazole, and tetracycline 4 times daily.)
২০ মিগ্রাঃ ওমিপ্রাজল দিনে দুইবার + ক্যাপস্যুল পাইলেরিয়া ( PYLERA™ Capsules , গ্ল্যাক্সো ) দিনে চারবার সেবনের পরামর্ষ দেওয়া হয় ( পাইলেরিয়া ক্যাপসুলে যৌগ ভাবে যা থাকে bismuth subcitrate, metronidazole, and tetracycline ) — ১০ দিনের জন্য সেবন করতে বলে থাকেন যা ৯১% পরিপাক তন্ত্রের আলসার জাতীয় অসুখ সেরে যায় এবং পরবর্তীতে সাধারণ ওমিপ্রাজল ২৮ দিন সেবন করে যাওয়ার কথা বলা হয় । ( রেফারেন্স গ্ল্যাক্স ইউকে )
http://www.accessdata.fda.gov/drugsatfda_docs/label/2007/050786s001lbl.pdf

রিসার্চ অনুসারে দেখা যায়, এরপর ও যদি ড্রাগ রেসিস্টেন্স হয়ে থাকে ( এইচ পাইলোরি ব্যাক্ট্রিয়া ধ্বংস না হয় ) যাকে সুপার রেসিস্টেন্স ইনফেকশন বলা হয় – তখন একমাত্র মেডিসিন রিসার্চ বিশেষজ্ঞরা ক্লিকনিক্যাল অভজারভেশনে রেখে Proton-pump inhibitors ( ওমিপ্রাজল ) + Rifabutin, Bismuth subsalicylate Furazolidone, Lactoferrin, Nitazoxanide and Levofloxacin. কম্বাইন্ড ড্রাগস পদ্দতি ব্যবহার করে থাকেন । যা থেকে ৯৬% ব্যাকটেরিয়া জনিত আলসার ভাল হয়ে যায় – ( প্রমাণিত – ড্রাগস রিসার্চ )
এরপর ও আলসার ভাল না হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ” রিস্ক এন্ড সাল্ভেজ ” পদ্দতিতে চিকিৎসা করার চিন্তা ভাবনা করে থাকেন । ( যা মেডিসিন রিসার্চ বিশেষজ্ঞরাই করে থাকেন ) — আর ও জানতে নিছে ক্লিক করুন –http://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC3002558/

বাকি রইল ( ১০০-৯৬ = ৪% ) অর্থাৎ এই ৪% বেলায় অপারেশন ছাড়া অন্য কোন পথ খোলা থাকেনা ( বিশেষ করে এই ৪% আলসার রোগীর মধ্যে ৮৩% ই ক্যানসার জাতীয় অসুখ হয়ে থাকে ইহা নিশ্চিত ) ।
নেসিড ড্রাগস বা প্রদাহ নাশক ঔষধের কারনে হলে – উপরের ট্রিপল থ্যারাপি ৭/১৪ দিন সঠিক ভাবে ব্যবহার করলে ৯৭% চলে যায় তবে কেউ কেউ সাথে এন্টাসিড ও ব্যবহার করে থাকেন ( জেনে রাখা ভাল , অনেকে মনে করেন সে সময় দুধ ও সেবন করা ভাল – কথাটি সত্য নয় বরং আলসারের জন্য ক্ষতিকারক বা পাকস্থলীর হাইড্রোক্লোরিক এসিড বৃদ্ধি করে থাকে , সে জন্য প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা পেপ্টো বিস্মল সেবনের উপদেশ দিয়ে থাকেন যা ক্ষতের উপর প্রলেপ দেওয়ার মত আবরন করে ) । অথবা শুধু মাত্র হিস্টামিন রিসিপ্টর ব্লকার ( রেনিটিডিন ) ও ভাল কাজ করে ।

ভেষজ এবং নিউট্রেশনাল ব্যবস্থা ঃ

pep 16


রসুন
( রিসার্চ অনুসারে এইচ পাইলোরি ব্যাক্টোরিয়া ধংস করার ক্যামতা রসুন ছাড়া অন্য কোন ভেষজ এখন ও তেমন কার্যকর নয়- তবে ইমিউনিটি সুত্র অনুসারে , যদি শরীরের ইমইউনিটি শক্তি ব্যাক্টোরিয়া ধংস করতে সমরথ হয় তাহলে এন্টি-এসিড ড্রাগস হিসাবে ভেষজ ব্যবহার করে- ভাল ফল পেতে পারেন- এফ ডি এ । অর্থাৎ অতিরিক্ত এসিড নিঃসরণ যে কোন ভাবে বন্ধ করতে পারলে এমনিতেই আলসার ভাল হয়ে যায় – ড্রাগস রিসার্চ )
আমার ব্যাক্তিগত মতে ৮০% আলসার ব্যাক্টোরিয়া জনিত হয় বিধায় এ ক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যাক্টোরিয়া ধ্বংস কারি বা জীবাণু নাশক ঔষধ ( এন্টিবায়োটিক ) সেবন করতে অবহেলা করা ঠিক নয়
– এবং সেই সাথে এসিড বিনষ্টকারী হারবাল ঔষধ সেবন করে যেতে পারেন বিশেষ করে ভাইরাস সংক্রামিতদের বেলায় ভাল ফলদায়ক – এফ ডি এ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্যের তথ্যনুসারে ক্যামিক্যাল ঔষধের সাথে অনেক ভেষজ ঔষধ একত্রে ব্যবহার করা যায় বিধায় ইউরোপিয়ান দেশ সমুহে নিম্নের ঔষধ সমূহ সহযোগী মেডিসিন হিসাবে ব্যবহার করেন ।
ক্র্যানবেরি ট্যাবলেট (Vaccinium macrocarpon) 400 mg, দৈনিক দুইবার ( ক্র্যানবেরিতে উচ্চ ক্ষ্যামতা সম্পন্ন অক্সালেট বিদ্যমান বিদায় কিডনি পাথর জনিত রোগীদের ব্যবহার নিষেধ ) ২৮ দিন – অথবা ম্যাস্টিক ট্যাবলেট (Pistacia lentiscus) s 1,000 হতে 2,000 mg পর্যন্ত দিনে দুইবার ২৮ দিন সেবন করতে পারেন । ( প্রমাণিত ) অথবা
DGL-licorice ( যষ্টিমধু ) ট্যাবলেট 250 – 500 mg দিনে ৩ বার খাওয়ার এক ঘন্টা আগে অথবা খাওয়ার দুই ঘন্টা বাদে সেবন বা চুষে খেতে পারেন ২৮ দিন । ( প্রমাণিত )

ভেষজ টুকিটাকি ঃ-
garlic

মেথি পাতা ঃ এক কাপ উষ্ণ গরম পানিতে কিছু শুকনা মেথিপাতা ভিজিয়ে তার সাথে অল্প লবন মিশিয়ে প্রতিদিন ২ বার সেবন করলে গ্যাস রিফ্লেক্সে ভাল সাহায্য করে – ঠিক সম ভাবে মেন্থর পাতা ও সেবন করতে পারেন , যাকে এসিডিটির একটা ন্যাচারেল এন্টিস্পাস্মোটিক ড্রাগস মনে করা হয় – আলসারের জন্য সবচেয়ে ভাল জুস হিসাবে ক্যাবিজের জুস ( পাতা কবি ) অথবা কলা ও বেশ উপকারী । রসুনের পাউডার অথবা ট্যাবলেট ও ব্যাক্টরিয়া জনিত আলসারে ভাল কার্যকর ঔষধ হিসাবে প্রমাণিত —
নিউট্রেশনাল হিসাবে ঃ ( এই লিঙ্কে দেখুন – https://helalkamaly.wordpress.com/2015/09/12/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%95-%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A7%AB-gastritis-%E0%A6%AC%E0%A6%BE-%E0%A6%AA/ )
বিরঃ পথ্য হিসাবে আলসারের ঔষধের (এলোপ্যাথিক ) সাথে কোন কোন ভেষজ সেবন করলে ঔষধের গুণাগুণ বৃদ্ধি পায় । বিশেষ করে যখন এন্টিবায়োটিক্স সমূহ রেসিস্ট্যান্স ক্যামতা হারিয়ে পেলার সম্বাভনা থাকে তখন ? থার্ড লাইন চিকিৎসায় ( ড্রাগস রিসার্চ )
ভিটামিন ই ঃ রি
সার্চ অনুসারে ভিটামিন ই 300 mg করে ২৮ দিন সেবন করলে দেখা যায় পাকস্থলীর ঝিল্লী এবং অন্ত্রের ঝিল্লীর ক্ষতকে দিগুন ভাবে শুঁকিয়ে পেলে বা ভাল করে । সে জন্য ভিটামিন ই অনন্যা ঔষধের সাথে সহায়ক ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করলে আলসার খুব তাড়াতাড়ি ভাল হয়ে থাকে ।
Licorice যষ্টিমধু ঃ- (DGL) -যষ্টি মধু এলোপ্যাথিক Misoprostol গ্রোফের ড্রাগসের মতই কাজ করে ( পাকস্থলীর পাতলা আবরন সমূহ কে প্রদাহ থেকে রক্ষা করে ) সর্বশেষ রিসার্চ অনুসারে দেখা যায় যষ্টিমধু ব্যবহারে পাকস্থলী এবং ডিওডেনাম প্রচুর পরিমাণে মিউকাস উৎপাদন করে যা প্রদাহ জনিত ঔষধ সেবনে ( ডিস্প্রিন ইত্যাদি ) যে আলসার সৃষ্টি হয় তার জন্য প্রমাণিত একটা ভেষজ ঔষধ । অর্থাৎ পাকস্থলী ও ডিউডেনামের ঝিল্লী সমুহে প্রদাহ বিরোধী মিউকাস তৈরি করে বিধায় বৃদ্ধ বয়সে যাদের বাত জাতিয় ব্যথার ঔষধ সেবন করতে হয় তাহরা একি সাথে যষ্টিমধু সেবন করতে পারেন । ( ড্রাগস রিসার্চ ) এফ ডিএ কৃতক অনুমুদিত যষ্টি মধুর দ্বারা তৈরি ঔষধ 380-mg tablets দিনে তিনবার চুষে সেবন করতে হয় খাওয়ার আধা ঘন্টা আগে – ইহা সুন্দর একটা রুচি বর্ধক ঔষধ হিসাবে ও প্রমাণিত – Enzymatic Therapy । ( গ্ল্যাক্স রিসার্চ ল্যাব )
রসুন ঃ হ্যাটচ্যান্সন রিসার্চ অনুসারে প্রমাণিত রসুন এইচ ব্যাক্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে , তবে সমস্যা একটা কাচা রসুনে টেটেনিয়াম ক্লট বেশী থাকায় অনেক সময় সুস্থ নরম ঝিল্লী সমূহ সংকোচিত করতে পারে বিধায় মডার্ন ঔষধ কোম্পানি সমূহ তা রিফাইনিং করে বাজারে ক্যাপস্যুল হিসাবে বাজারজাত করিতেছে এবং তা পাকস্থলী ও ডিওডেনামে লুকায়িত এইচ পালোরির জন্য খুবি ভাল ( যাদের লক্ষণ ছাড়া হঠাৎ করে আলসার দেখা দেয় ) । তার পর ও আলসার প্রতিরোধী হিসাবে প্রতিদিন ২/৩ ঠুকরা কাচা রসুন সেবন করে যেতে পারেন যদি ডাইজেস্টিভ কোষ তা মেনে নেয় । অথবা যাদের মনে সন্দেহ তারা ও সেবন করতে পারেন এইচ পাইলোরি নস্ট করার জন্য ।
কলা ঃ- কলা অবশ্যই ডাইজেস্টিভ কোষ উৎপাদক এবং অনেক সময় কলা আলসারের উপর একটা আবরণী তৈরি করার চেষ্টা করে যা এন্টি আলসার ড্রাগস Carafate এর মতই কাজ করে এবং সে জন্য ভাল রিজাল্ড পেতে হলে কলা কে কেটে তা শুঁকিয়ে পাউডার করে দুই চামচ পাউডার ও এক চামছ মধুর সাথে মিশিয়ে দিনে তিনবার, আপনার প্রচলিত এলোপ্যাথিক ঔষধ সমূহের সাথে সেবন করলে পুরাতন আলসার জনিত রোগীদের জন্য ৩০% বেশী কাজ করে ( ফ্যালো অব মেডিসিন জার্নাল )
ক্যাবিজ ( ভিটামিন ইউ এর মত কাজ করে ) বা পাতা কবির জুস, মধু, ক্যাপচিক্যাম বা পেপার আলসারের জন্য বিশেষ সহায়ক — মেন্থর পাতা হাইপার এসিডিটির জন্য ভাল ফল দায়ক বিধায় এসিডের উৎপাদন কমানোর জন্য ও সেবন করতে পারেন — ইত্যাদি ইত্যাদি — চলবে……।


কীভাবে পুরাতন গ্যাস্ট্রিক এবং আলসার একটি ছোঁয়াচে বা ট্রান্সমিটেড অসুখ বলে মনে করা হয় ঃ- pep 5
যেহেতু ৯৯% সম্বাভনা আছেই পুরাতন গ্যাস্ট্রিক জনিত আক্রমণে পরিপাকতন্ত্রের আলসার হওয়ার এবং ৮০% আলসার হয়ে থাকে হেলিওব্যাক্টার পাইলোরি ব্যাক্টোরিয়ার আক্রমণে , তাই এই ব্যাক্টোরিয়া সম্মন্ধে প্রাথমিক ধারণা থাকলে , আমি মনে করি অনেকেই পরিপাক তন্ত্রের আলসার জাতীয় অসুখ সম্মন্ধে সতর্ক থাকবেন ।
হেলিওব্যাক্টার পাইলোরি ব্যাক্টোরিয়া কি ?
পৃথিবী জুড়ে গড়ে ২৭% মানুষ হেলিওব্যাক্টার পাইলোরি ব্যাক্টোরিয়া জনিত আক্রমণে পুরাতন গ্যাস্ট্রিক, আলসার , ক্যানসার সহ অন্যান্য জটিল রোগের স্বীকার – তার মধ্যে বাংলাদেশ এবং ভারতে তার হার গড়ে ৮০% । এই ব্যাক্টোরিয়া অনেক সময় ছোট বাচ্চাদের কে ও আক্রমণ করে কিন্তু তা শরীরের ইমিউনিটি শক্তির কারনে পাকস্থলীর ভিতর সুপ্ত অবস্থায় লুকিয়ে থাকে বিধায় তখন লক্ষণ ধরা পরেনা বা তেমন ক্ষতি ও করেনা – বয়স ১৬/১৭ হওয়ার সাথে সাথেই অন্যান্য এক্সটিক খাবার, পরিবেষ বা অন্য যে কোন কারনে শুধু প্রাথমিক গ্যাস্ট্রিক রোগের লক্ষণ ই দেখা দেয় – যা পরবর্তীতে সারা জীবন গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ সেবন করতে হয় , তখনকার সময় লক্ষণ হিসাবে কখন ও খুব বেশী গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বা সামান্য আলসার দখা দেয় – আবার আলসার কমে তবে গ্যস্ট্রিক থেকেই যায় ইত্যাদি । ( যদি ও একে কেউ কেউ অটোহিউম্যান গ্যাস্ট্রিক বলেন , তবে আমার কথা হল যে ধরনের গ্যাস্ট্রিক হউক না কেন হেলিওব্যাক্টার পাইলোরির আক্রমণ টাইপ ১ অথবা ২ থাকবেই । )


হেলিওব্যাক্টার পাইলোরি কীভাবে আমাদের পরিপাক তন্ত্র কে আক্রমণ করে এবং বেঁচে থাকে ?
pep 18
মুলত ইহা এক ধরনের প্রদাহ জনিত ছোঁয়াচে জীবাণু , যা আক্রান্ত ব্যাক্তি থেকে তার মুখের লালা, বমি, পায়খানা, অথবা ওরাল সেক্সুয়েল কর্মকাণ্ড , চুমু ইত্যাদির মাধ্যমেই সুস্থ দেহে আক্রান্ত হয়ে থাকে -তৃতীয় বিশ্বের দেশ সমুহে এই আক্রান্ত ব্যাক্তির লালা, বমি, পায়খানা খাদ্য অথবা পানিতে মিশেই সুস্থ দেহে প্রবেশ করে ( British Medical Journal ) ।
পাকস্থলীতে ঢোকার পর অন্যান্য উপকারী ব্যাক্টোরিয়ার সাথে ( প্রায় ৩০০ ধরনের ) বসবাস করতে পারেনা বা এসিডিক পরিবেষ ছাড়া দ্রুত বংশ বৃদ্ধি ও করতে পারেনা বিধায় পাকস্থলী এবং ডিউডেনামের পাতলা ঝিল্লীর আবরণীতে বসবাস শুরু করে, যে জায়গা হতে হাইড্রোক্লোরিক এসিড নিঃসরণ হয় – ( কম পক্ষে ৩৭ ডিঃ তাপমাত্রার প্রয়োজন ) ফলে সেই জায়গা কে স্টিমুলেট করে হাইড্রোক্লোরিক এসিড বৃদ্ধি করে ( যাকে গ্যাস্ট্রাইটিস বলা হয় ) এবং সেখানে গর্ত করে বসবাস করতে থাকে ( পাকস্থলী এবং ডিউডেনাম ও খাদ্যনালীর নীচ অংশ ) এবং বিষাক্ত কিছু এনজাইম উৎপাদন করে যার নাম ইউরেজ । ( এইচ পাইলোরি পাকস্থলীর এসিড সমূহ কে নিউট্রেলাইজ করে এমোনিয়া এবং ইউরিয়ার সাথে বিষ ক্রিয়া করে ইউরেজ উৎপন্ন করে ) যা মানব কোষের এক ধরনের বিষ বলা যায় । সেই সাথে উক্ত টিস্যুর সুস্থ ব্যাক্টোরিয়া কে হারিয়ে সেই জায়গায় স্থায়ী ঘায়ের সুচনা করে ( আলসার ) ও পরবর্তীতে পরিপাক তন্ত্রের ডাইজেস্টিভ জুসের অন্যান্য পরিবর্তন ঘটায় । অবশ্য তখন সঠিক ঔষধ প্রয়োগ করা গেলে তা ধ্বংস হয়ে যায় ( ৯৬% ) ।
( মনে রাখবেন ! তখন যদি আপনার চিকিৎসকের দেওয়া এন্টবায়োটিক জাতীয় ঔষধ সমূহ পূর্ণ ডোজ সেবন না করেন অথবা অন্য কোন কারনে ড্রাগস রেসিস্টেন্স হয়ে যায় , তাহলে যদিও দেখবেন ভাল হয়ে গেছেন পরবর্তীতে ( ২৯/৯০ দিন ) দেখবেন পাকস্থলী বা ডিওডেনামের অন্য জায়গায় আক্রমণ করে পুনরায় আলসার বা গ্যাস্ট্রাইটিসের লক্ষণ দেখা দিতে পারে , তখন মনে করতে হবে আপনার ঔষধ পূর্ণ কাজ করেনাই – সে জন্যই চিকিৎসকের দেওয়া পূর্ণ ডোজ ই সেবন করা উচিৎ )

ফ্যালো রিসার্চ অনুসারে ঃ- pep 19
রিসার্চ অনুসারে যদি কোন মা তার সন্তান গর্ভ থাকাকালীন সময়ে এইচ পাইলোরির দ্বারা আলসার জনিত সমস্যায় ভুগেন তা হলে ৮০% সম্বাভনা থাকে তার সন্তান সেই ব্যাক্টোরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার- বিশেষ করে শিশু ভুমিস্ট হওয়ার পর পুস্টিহিনতা সহ বদ হজম জাতীয় অসুখে বেশী ভুগে ।
যে কোন মহিলা বা পুরুষ এইচ পাইলোরি ব্যাক্টোরিয়া জাতীয় আলসারে আক্রান্ত থাকলে তার মুখের লালা যে কোন ভাবে সুস্থ মুখে প্রবেশ করলে তিনি ও আক্রান্ত হবেন ঐ জাতীয় আলসারে । ( উল্লখ্য যে সুস্থ ব্যাক্তি আক্রান্ত হওয়ার পর সাথে সাথে আলসারের লক্ষণ দেখা দেয়না, তবে ৯৫% বেলায় পেটে কামড় বা ব্যথা জাতীয় লক্ষণ দেখা দেয় । পরবর্তীতে ৫০% বেলায় শরীরের ইমিউনিটি শক্তির কারনে ব্যাক্টোরিয়া তেমন ক্ষতি করতে না পারলেও সুপ্ত অবস্থায় অনেক দিন বেঁচে থাকে ) এবং যারা ওড়াল সেক্সুয়েল অভ্যাসে অভ্যস্থ তাদের বেলায় সাথে সাথেই পাকস্থলীতে চড়িয়ে পরে । ট্রাইকোমেনা ও প্যারাসাইট জাতীয় জীবাণুর উপর ভর করে এইচ পাইলোরি ৩৬/৪৮ ঘন্টা বেঁচে থাকতে পারে বিধায় পায়খানার মুখ এবং মহিলাদের যৌন থলি হতে ও তা সংক্রামিত হতে পারে যদি সেখানে এইচ পাইলোরি ছোঁয়াচে অবস্থায় লেগে থাকে , সে জন্য সমকামীদের বেলায় আলসার ইনফেক্টেড রেইট ৮৩.০৫% ( অবশ্য এশিয়ান দেশ সমুহে তা নাই ) । সেই সাথে আক্রান্ত ব্যাক্তির মুখের লালা, বমি, ও পায়খানার দ্বারা পানি এবং খাদ্যের মাধ্যমে ছোঁয়াচে হিসাবে অন্য সুস্থ শরীরে প্রবেশ করে – সে কারনে গরিব দেশ সমুহে এই জাতীয় আলসার আক্রমনের হার ৮০% এবং উন্নত দেশে এর হার ২৭% । ( ড্রাগ রিসার্চ ল্যাব গ্ল্যক্সো-ইউকে )
লক্ষণ ( পাকস্থলী খালি হওয়ার পর খুব বেশী জ্বলা পোড়া করে কিন্তু এন্টাসিড বা ঐ জাতীয় ঔষধ সেবনে সাময়িক কমে ইত্যাদি ) , পরীক্ষা নিরীক্ষা, ও চিকিৎসা ঃ পুরাতন পাকস্থলীর প্রদাহ ( https://helalkamaly.wordpress.com/2015/09/12/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%95-%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A7%AB-gastritis-%E0%A6%AC%E0%A6%BE-%E0%A6%AA/ ) এবং উপরে পেপ্টিক আলসারের পর্বে দেখুন ———-
আলসার সার্জারি কত প্রকার এবং কোন ধরনের সার্জারি সবচেয়ে নিরাপধ এবং ঝুকি মুক্ত পরবর্তীতে লিখার চেষ্টা করব  ( ধন্যবাদ – সবাই সুস্থ থাকুন )

About these ads

No comments:

Post a Comment