shaharpar

Monday, 16 January 2017

গনোরিয়া এবং সুপার গনোরিয়া অথবা প্রমেহ রোগ- যৌন রোগ পর্ব -৯ ( GC or SG– STD Part-9 )

গনোরিয়া এবং সুপার গনোরিয়া অথবা প্রমেহ রোগ- যৌন রোগ পর্ব -৯ ( GC or SG– STD Part-9 )

 

g-01
 
 
 
 
 
 
8 Votes

প্রমেহ বা গনোরিয়া রোগ  নিয়ে কিছু ভুল ধারনা ও তথ্য  ঃ
g-03
প্রতিবছর প্রায় ৪৪৮ মিলিওন লোক যৌনবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়, এর মধ্যে প্রায় ৭৮ থেকে ৮৮ মিলিওন গনোরিয়ার রোগী  । যার মধ্যে অল্পবয়স্কা তরুণ- তরুণীদের এই রোগে আক্রান্ত হবার হার সবচেয়ে বেশি । মেডিক্যাল রিসার্চ অনুসারে  দুর্ভাগ্য বশত  যদি নিশেরিয়া গনোরি জীবাণু এন্টিবায়োটিক রেসিস্টেন্স ক্ষ্যামতা ধংস করে ফেলে তাহলে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী বার্ষিক এক কোটি মানুষ প্রাণ হারাতে পারে !  যাকে সুপার গনোরিয়া ( super Neisseria )  বলা হচ্ছে । ইতিমধ্যে  ইউকে, অ্যামেরিকা ও জাপানে  এই ব্যাক্টোরিয়ার আক্রমণে বেশ কয়েকজন রোগী মৃত্যুবরণ ও  করেছেন  এবং  সেই স্থরের  কার্যকর এন্টিবায়োটিক এখন ও আবিষ্কৃত হয়নি !
মনে রাখবেন গনোরিয়া অসুখে আক্রান্ত হওয়ার পর  উপযোক্ত  এন্টিবায়োটিক প্রয়োগে তা সাথে সাথে ৯৯% নির্মূল করা সম্বভ কিন্তু যদি কোন কারনে যথাযথ চিকিৎসা না করেন তাহলে নিশেরিয়া গনোরি ব্যাক্টোরিয়ার সাথে আর অন্যান্য গ্রোফের ব্যাক্টোরিয়া যোগ হয়ে শেষ পর্যন্ত এন্টিবডি রেসিস্ট্যান্স ক্ষ্যামতা নস্ট করে ফেলে এবং তখন  সরবোচ্চ এন্টিবায়োটিক ব্যাবহার করে ও তেমন ভাল রিজাল্ট নাও পেতে পারেন বা এর পরিনিতি খুব ভয়াবহ  ও মারাত্মক আকার ধারন করতে পারে ।
g-06
সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়  অবস্থান অনুসারে যিনি  গনরিয়ায় আক্রান্ত তিনি  রেড  লাইট  জোনের অন্তর্ভুক্ত ( পতিতাবাস ) যতক্ষণ পর্যন্ত নিশেরিয়া গনোরি ন্যাগেটিভ না হবে !   ব্যাক্তি চরিত্র  ও সামাজিক অবস্থান অনুসারে  অবশ্যই আক্রান্ত  ব্যাক্তি ( স্বামী/ শ্রী )  যে কোন একজন ( যার দ্বারা সংক্রামিত হয় )   যৌন লোভী অথবা  খারাপ চরিত্রের  ব্যাক্তি , তা কাউকে বলার অপেক্ষা রাখেনা  ।  মুলত অসুখটি  অবৈধ যৌন মিলনের একটা  বাস্থব বহিঃপ্রকাশ  । তারপর ও প্রথমবার গনোরিয়ায়  আক্রান্ত হলে  সাধারণ এন্টিবায়োটিক সেবনে খুব দ্রুত সেরেই যায় কিন্তু দ্বিতীয় বার আক্রান্ত হলে উচ্চ  স্তরের এন্টবায়োটিক ছাড়া তখন আর কাজ করেনা কিন্তু তৃতীয় বার আক্রান্ত হলে উচ্চ  স্তরের এন্টবায়োটিক অনেক দেরিতে কাজ করলে ও ৮০% বেলায় যৌন অক্ষমতা দেখা দিয়ে থাকে , অর্থাৎ বারে বারে ভুল করে নিজের ইচ্ছায় নিজের ক্ষতি ঢেকে আনবেন । সবশেষে যখন আর কোন এন্টিবায়োটিক কাজ করবেনা তখন এই নিশেরিয়া গনোরি ব্যাক্টোরিয়াটি সুপার নিশেরিয়া গনোরিতে রূপান্তরিত হতে পারে । যা সমাজ দেশ ও জাতীর জন্য এইডসের চাইতে ও ভয়ঙ্কর –  HO41 ।
এ ছাড়া   রক্ত পরিক্ষা করে নিশেরিয়া গনোরি পজেটিভ হলে  উচ্চ  ক্ষ্যামতা সম্পন্ন এন্টিবায়োটিক ছাড়া অন্যান্য শাস্রিয়  বা পদ্ধতিগত চিকিৎসা কাজ করেনা ( বিশ্ব স্বাস্থ্য ) এবং সে সময় যে কোন চিকিৎসক রোগীকে জীবাণু ধ্বংসকারী এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ না করে অন্যান্য  সনাতন পদ্ধতির যে কোন অপ্রমাণিত ঔষধ প্রয়োগ করা ও বেআইনি ( সি ডি সি ) বা  অমানবিক ।  তার পর ও কীভাবে এন্টিবায়োটিক ছাড়া অন্যান্য সাস্রিয় চিকিৎসকরা গনোরিয়া ভাল করার কথা বলে থাকেন আমার বুজতে বেশ কষ্ট হয়  । আর তাই যদি সত্যি হয় তাহলে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করার কি ই বা প্রয়োজন ছিল গরীব রাষ্ট্র সমূহের ?
মেডিক্যাল জার্নালের তথ্য মতে যতটুকুই দেখেছি,  মুলত গনোরিয়া বা প্রমেহ রোগের অসুখের  মত লক্ষন থাকলে ও আসলে তা নিশেরিয়া গনোরি ব্যাক্টোরিয়ার দ্বারা সংক্রামিত অসুখ  নয় ( অর্থাৎ গনোরিয়া নয় ) অন্য অসুখ এবং তা শরীরের এন্টিবডির ক্ষ্যামতা বৃদ্ধি করে অসুখটি থেকে অনেকে মুক্তি পেয়ে থাকেন এবং তখন  রোগিরা বুজে থাকেন তার গনোরিয়া  রোগ হয়েছিল । তাই আধুনিক বৈজ্ঞানিক যুগে  সবাই এসব ধ্যান ধারনা   থেকে বেরিয়ে আসা উচিৎ । ( সেক্রেট অব মেডিক্যাল জার্নাল –  )
 
গনোরিয়া (Gonorrhea ) কি এবং কীভাবে সংক্রামিত হয় ঃ
g-07
গনোরিয়া  হচ্ছে একটি  যৌনবাহিত রোগ  ( Neisseria gonorrhoeae )  যা নিশেরিয়া গনোরি নামক জীবাণু এই রোগের সৃষ্টি করে । আমাদের গ্রামীণ ভাষায় একে  প্রমেহ রোগ  বলে থাকেন  অনেকে ।
প্রকৃত পক্ষে এটি একটি জীবাণুবাহিত রোগ, যা   নিশেরিয়া গনোরি  জীবাণুর দ্বারা আক্রান্ত  ব্যাক্তির সাথে যোনি বা পায়ুপথে মিলন , ওরাল  বা মুখমেহন যৌন মিলনের   মাধ্যমে এক দেহ থেকে অন্য সুস্থ দেহে  সংক্রামিত হয়ে থাকে । এ ছাড়া যারা সেক্স টয় একে অন্যকে শেয়ার করেন অথবা অনেক সময় আক্রান্ত ব্যাক্তির  গোফন অঙ্গ স্পর্শ করার কারনে আঙ্গুলের নুখ থেকে চুখের  পাতায় ও সংক্রামিত হতে পারে  (  touching the private parts and then the eyes) । মনে রাখবেন   চুম্বন, হাত ধরা, গোসল করা, টাওাল, কাপ, টয়লেট সিট  ইত্যাদি থেকে  নিশেরিয়া গনোরি  জীবাণুর  বিস্তার লাভ করে না  অথবা ইহা   বংশ পরম্পরায় সংক্রমিত হয় না।  –
জীবাণু সংক্রামিত হওয়ার পর ২ থেকে ২১ দিনের ভিতর  পুরুষের  মূত্রনালী,  মহিলাদের যোনি ও যোনি পথ ,সমকামীদের বেলায়  পায়ুপথ এবং মুখমেহন যৌন মিলন কারিদের  গলায় নিশেরিয়া গনোরি  ক্ষতের সৃষ্টি করে  এবং পরবর্তীতে সঠিক এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ না করলে  যৌনাঙ্গের অন্যান্য অঙ্গ আক্রান্ত হতে  থাকে এবং অসুখটি তৃতীয় পর্যায়ে চলে গেলে   সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়া অনেকটা  সুস্থ নাও হতে পারেন   ।
রিসার্চ ঃ গনোরিয়ায় আক্রান্ত মহিলার সাথে একবার যৌনকর্ম করলে পুরুষলোকের এই রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা ২০% বেশী হলেও আক্রান্ত পুরুষের সাথে একবার যৌনমিলনে একজন মহিলার এই রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি প্রায় ৬০-৮০% । বিপরীত দিকে সমকামী পুরুষের বেলায় তা  ৯১%  বেশী । এ ছাড়া  গনোরিয়ায়  আক্রান্ত মহিলাদের   জীবাণুটি সুপ্ত অবস্থায় বেশ কিছু দিন  লুকিয়ে থাকতে পারে বিধায় পুরুষের চাইতে মহিলাদের একটু দেরিতে লক্ষন দেখা দেয়  ।
 
 
সুপার গনোরিয়া ঃ ( Gonorrhea HO41 )
g-1
সর্ব প্রথম ২০১১ সালে ৩১ বছর বয়সী জাপানী একজন পতিতার শরীরের এই ব্যাক্টোরিয়াটি ধরা পরে এবং পরবর্তীতে তাকে উপযোক্ত এন্টিবায়োটিক দিয়ে ও রক্ষা করা সম্বভ হয়নি – অর্থাৎ গনোরিয়া চিকিৎসার সর্বশেষ এন্টিবায়োটিক  ড্রাগস ceftriaxone এবং  azithromycin যদি কোন কারন বশত কাজ না করে তখন তাকেই সুপার গনোরিয়া ( HO41) বলা হয় এবং যদি কোন কারন বশত উক্ত সুপার নিশেরিয়া গনোরি অন্য সুস্থ দেহে প্রবেশ করে সে ও সমপর্যায়ে আক্রান্ত হতে পারে । অসুখটির  নতুন কোন ঔষধ এখন ও বাহির হয়নি ।  ( journal Antimicrobial Agents and Chemotherapy ) –
সে জন্য নতুন এই যৌন রোগটি যদি কোন কারনে সংক্রামণ বৃদ্ধি পায় তাহলে অনেক  চিকিৎসা বিজ্ঞানীর আশঙ্কা , এইডসের চাইতে ও ভয়ানক রুপ নিতে পারে ।  সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেখা যায় যে সব অঞ্চলে পুরুষ সমকামীর সংখ্যা বেশী সেই সব অঞ্ছলেই এই জীবাণুটির সংক্রামণ বেশী  । সে জন্য জাপান,  ইউকে, অস্ট্রেলিয়া ও অ্যামেরিকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমুহ সব সময় সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
( http://www.cdc.gov/std/gonorrhea/arg/b88-feb-2005.pdf )
 
 
গনোরিয়া রোগের লক্ষণসমূহ ঃ
g-010
সুপ্তিকাল : রোগাক্রান্ত সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে দৈহিক মিলনের পর ৩ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এ রোগের প্রকাশ ঘটে। সাধারণত পুরুষের ক্ষেত্রে মূত্রপথের সামনের অংশে জীবাণু সংক্রমণ শুরু করে এবং মহিলাদের যোনি  ও যোনি নালিতে প্রথম সংক্রমণ শুরু হয় । ক্ষেত্র বিশেষ অনেকের বেলায় স্বাভাবিক জ্বালা যন্ত্রণা ও সামান্য শ্লেষ্মা যুক্ত পানি  ছাড়া কয়েকদিন আর কোন লক্ষন দেখা নাও দিতে পারে ( বিশেষ করে মহিলাদের বেলায় ) কিন্তু যদি জীবাণুটি একটিভ থাকে তাহলে ২৭ দিন পরে ৫৯ দিনের আগে অবশ্যই নিচের লক্ষন সমুহ দেখা দিবে । তখন জীবাণুটি দ্রুত জরায়ুর মুখ, ডিম্বাশয়য়, ডিম্ব নালী , প্রেস্টেট গ্ল্যান্ড, মুত্র থলি ইত্যাদি সহ সারা শরীরে ছড়িয়ে পরতে পারে ।
 
 
মহিলাদের ক্ষেত্রে যে সব লক্ষন দেখা দিতে পারে  ঃ
g-011
⦁ যোনিপথে অস্বাভাবিক নিঃসরণ (সচরাচর, সাদা, সবুজ কিংবা হলুদ) সহ হালকা চুলকানি দেখা দিয়ে থাকে । – যৌনাঙ্গ সংক্রমণের কারণে যোনির ওষ্ঠে লাল, দগদগে ঘা হয় যা দেখতে লালা অথবা হলুদ বর্ণের । – প্রস্রাবের তীব্র ইচ্ছা থাকতে পারে। প্রস্রাবে যন্ত্রণা হয়। – যোনি বড় হয়ে ফুলে যাওয়া বা যোনির মুখ খুল লে সাদা স্রাব পতিত হওয়া   এবং যৌন  মিলনে খুব কষ্ট অথবা অনীহা বৃদ্ধি পাওয়া অশ অনেক ধরণের লক্ষন থাকতে পারে ।  সেই সাথে  সামান্য জ্বর, ম্যাজম্যাজ ভাব  প্রায় দেখা দিতে পারে।  ( তবে  যাদের শরীরের ইমিউনিটি শক্তি বেশী তাদের বেলায় (   ৩০% )    প্রাথমিক উপসর্গ ছাড়াই জীবাণুর বংশ বৃদ্ধি বাড়তে থাকে )
বিঃদ্রঃ ( উক্ত লক্ষন সমুহ মহিলাদের গনোরিয়া জাতীয় অসুখ ছাড়া ও অন্য যে কোন জীবাণু অথবা মুত্র থলির প্রদাহ, ভ্যাজিনাল ইনফেকশন ইত্যাদি কারনে ও দেখা দিতে পারে– তবে,  যদি বিগত ৩ সপ্তাহের ভিতরে  স্বামী শ্রী  যে কারও অবৈধ যৌন মিলনের ইতিহাস থাকে তাহলে যৌন জীবাণুর দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্বাভনাই বেশী বিধায় সাথে সাথে রক্ত ও প্রস্রাব পরিক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া উচিৎ – বিস্তারিত মহিলাদের সুখ দুঃখ পর্বে দেখুন  )
 মহিলাদের বেলায় যারা দীর্ঘদিন গনোরিয়ার দ্বারা আক্রান্ত অথবা সঠিক চিকিৎসা না করালে যে সকল সমস্যা দেখা দিতে পারে ঃ ( সাধারণত ৫৯ দিনে পর ) 
g-013
প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া, ব্যথা ছাড়াও মূত্রাশয়ের প্রদাহ হতে পারে ।  ডিম্ববাহী নালীতে প্রদাহ ,  বার্থোলিন গ্রন্থির প্রদাহ সহ তলপেটে চিন চিন ব্যথা । – ডিম্ববাহী নালী, ডিম্বাশ্বয় কিংবা তলপেটের মধ্যে ফোঁড়া হতে পারে। মাসিক অনিয়মিত হয় এবং তীব্র ব্যথা হয় অথবা গুরতর ক্ষেত্রে রক্তপাত হতে পারে । পায়ুপথের মিলন  থেকে কিংবা নিজের সংক্রমিত যোনি থেকে মলদ্বারে সংক্রমণ হতে পারে এবং পরবর্তীতে  মলনালী পথে নিঃসরণ এবং রক্তক্ষরণ হতে পারে।  ওড়াল যৌনতার  কারণে মুখ থেকে গলার ভিতর সংক্রমণ ও পরে গাঁ  হতে পারে অথবা অসাবধানতা বশত আঙ্গুলের নুখ থেকে জীবাণু  চুখের ভিতর সংক্রামিত হয়ে সেখানে ক্ষতের  সৃষ্টি করতে পারে ( যদি ও তা খুব কম ক্ষেত্রে দেখা যায় ) ।
দীর্ঘদিন সংক্রমণের কারণে অস্থিসন্ধিতে প্রদাহ ( হাঁটু বা গোড়ালিতে পুঁজ জমে গিঁরা ফুলে যেতে পারে যা  বাতব্যথার মতো উপসর্গ )  ত্বকে ক্ষত, সেপটিসেমিয়া, মস্তিষ্কের প্রদাহ এবং হৃৎপিণ্ডের ক্ষতি হতে পারে।  ইনফেকশন কমানো না গেলে  অথবা সঠিক চিকিৎসা না হলে এই রোগের কারণে যৌনাঙ্গ সিথিল হয়ে যেতে পারে। ডিম্বনালির ছিদ্রপথ বন্ধ হয়ে সন্তানধারণের ক্ষমতা হারাতে পারে । মোট কথায়  চিরস্থায়ী যৌন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মনে রাখবেন দীর্ঘ স্থায়ী গনোরিয়া জাতীয় অসুখে ৭০% বেলায়  সিফিলিস, ক্যান্ডিডাস বা অন্যান্য যৌন রোগ  ও এর সাথে জড়িত থাকে এবং সেকেন্ডারি পর্যায়ে আক্রান্ত মহিলারা যৌন সংক্রামক  রেড লাইট  জোনের  অন্তর্ভুক্ত ( যৌন রেড লাইট  জোন  বলতে বুজায় যে সকল অঞ্চলে  পতিতা ও খদ্দরের বসবাস  ) বিধায় সেইফ ম্যাথডে ( কনডম )  যৌন মিলন করলেও সম্পূর্ণ নিরাপদ বলা ঠিক নয়  ।
 
 
পুরুষের ক্ষেত্রে যে সকল  উপসর্গ  দেখা দিতে পারে ঃ
g-4
⦁ সাধারণত বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যাক্তর সাথে যৌন মিলনের ২ থেকে ১০ দিন পর রোগের উপসর্গ দেখা দেয় এবং সবচেয়ে বেশী  প্রথম অবস্তায় লিঙ্গের  সম্মুখভাগেই  সংক্রমণ ঘটে। বারবার প্রস্রাবের ইচ্ছা করে। মূত্রনালীতে প্রদাহের কারণে জ্বালাপোড়া ও ব্যথা করে।  লিঙ্গপথে রস নিঃসৃত হয় যা যৌনাঙ্গের সংক্রমণের ফলে এ রস তৈরি হয়। প্রথমে পানির মতো থাকে। পরে ঘন, সবুজাভ-হলুদ হয় বা পুরুষাঙ্গের মাথায় পুঁজ জাতীয় পদার্থ লেগে থাকতে দেখা যায়। ৭০%  বেলায় প্রাথমিক অবস্থায় এ রোগে পুরুষাঙ্গের গায়ে কোনো ঘা বা ক্ষত দেখা না দিলেও  হাত দিয়ে ধরলে হালকা ব্যথা অনুভূত হয় এবং  কিছুদিন পর রোগের উপসর্গ  কমে যায়। এর মানে রোগটি ভালো হওয়া নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি রূপ লাভ করতে পারে বলে ধরে নিতে হবে।
 
 
g-018
সমকামীরা পায়ুপথে যৌনসঙ্গম করলে পায়ুপথে সংক্রমণ হতে পারে। মলনালীতে তীব্র ব্যথা হয় এবং রসে ভিজে যায়। যারা ওড়াল যৌনতা করেন তাদের  মুখে সংক্রমণ তথা ঘা সৃষ্টি বা অনেকের  খাদ্য নালীতে ও ঘা ছড়িয়ে পরে ।
বিঃদ্রঃ ( উক্ত লক্ষন সমুহ পুরুষদের বেলায়  গনোরিয়া জাতীয় অসুখ ছাড়া ও অন্য যে কোন জীবাণু অথবা মুত্র নালী ও থলির প্রদাহ সহ  অন্যান্য  যে কোন  কারনে ও দেখা দিতে পারে– তবে যদি এ সময় অবৈধ যৌন মিলন করার ইতিহাস থাকে  তাহলে যৌন রোগের সন্দেহ  করা উচিৎ বা সে জন্য প্রথমেই প্রস্রাব  পরিক্ষা করে  তার দ্বারা আক্রান্ত কিনা নিশ্চিত হওয়া ভাল  বিস্তারিত পুরুষের  সুখ দুঃখ পর্বে দেখুন  )
 
 
পুরুষদের  বেলায় যারা দীর্ঘদিন গনোরিয়ার দ্বারা আক্রান্ত অথবা সঠিক চিকিৎসা না করালে যে সকল সমস্যা দেখা দিতে পারে ঃ ( সাধারণত ২৮  দিনে পর )
g-11
মূত্রনালীপথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়ে প্রস্রাব ঠিকমতো বেরিয়ে আসতে পারে না। ফলে কিডনিতে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে এবং সেই সাথে লিঙ্গের মাতা দিয়ে পুঁজের মত স্রাব বৃদ্ধি পাবে বা হালকা রক্ত আস তে  পারে ।   অণ্ডকোষ ফুলে যাওয়া,  বেদনাদায়ক বা ঘন মূত্রত্যাগের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া, শুক্রনালি, এপিডাইমিস আক্রমণ করা সহ লিঙ্গের স্থানীয়  স্নায়ু সমূহকে আক্রান্ত করে ধ্বজ ভঙ্গের মত মারাত্মক অসুখের জন্ম দিতে  পারে ( মনে রাখবেন যদি কোন কারনে লিঙ্গের স্নায়ু  তন্ত্র  সমূহে ক্ষতের সৃষ্টি করে  করে তাহলে পরবর্তীতে যৌন উক্তেজনা ফিরে পাওয়া খুব কষ্ট সাধ্য ব্যাপার  ) অথবা শুক্রাণু উৎপাদন কমে  গিয়ে ফলে পুরুষ বন্ধাত্তের সৃষ্টি করতে পারে  ।
 
g-014
এনাল সমকামীদের বেলায় পায়ূ পথের  চুলকানি, অস্বস্তি, রক্তপাত, বা স্রাব. বৃদ্ধি পেয়ে অন্যান্য কঠিন  রোগের উপসর্গ দেখা দিতে পারে ।  দীর্ঘদিনের সংক্রমণের কারণে ( বিশেষ করে বছর খানেক পর )  অস্থিসন্ধিতে প্রদাহ ( হাটু বা অন্যান্য সদ্ধিস্থলে ব্যাথা করে, ফুলে ওঠে  ) , ত্বকে ক্ষত, সেপটিসেমিয়া, মস্তিষ্কের প্রদাহ এবং হৃৎপিণ্ডের ক্ষতি হতে পারে। (DGI) এবং সেকেন্ডারি পর্যায়ে আক্রান্ত পুরুষরা  যৌন সংক্রামক  রেড এলারট জোনের  অন্তর্ভুক্ত ( যৌন রেড এলারট জোন  বলতে বুজায় যে সকল অঞ্চলে  যৌন কর্মীদের  বসবাস  ) বিধায় সেইফ ম্যাথডে ( কনডম )  যৌন মিলন করলেও সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকা সম্বভ নাও হতে পারে   ।
 
 
গর্ভবতীদের গনোরিয়া হলে যে সকল সমস্যা দেখা দিতে পারে ঃ
g-10
সাধারণত পুরাতন গনোরিয়া রোগীদের ৫৬% বেলায় ৩ মাসের  ভিতরই গর্ভপাত হয়ে থাকে । তারপর ও যদি গর্ভপাত না হয় তাহলে পরবর্তীতে সময়ের আগে বাচ্চা প্রসব হওয়ার সম্বাভনাই বেশী , বিশেষ করে জরায়ুর প্লাসেন্টা  সময়ের আগে  চিড়ে গিয়ে প্লায়সেন্টার ভিতরের  ফ্লুইড শুকিয়ে যেতে পারে এবং তখন জরায়ুর ভিতরেই শিশুর মৃত্যু হয় , আর যদি তা নয় তাহলে  খুব জরুরী অবস্থায় সিজারিয়ান অপারেশন  ছাড়া মা এবং শিশুকে রক্ষা করা সম্বভ হয়না   ।  ১% বেলায় নিশেরিয়া গনোরি ডিম্ববাহী নালীতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করতে পারে এবং এ কারণে মহিলার সারা জীবনের জন্য বন্ধ্যাত্ব ঘটতে পারে কিংবা গর্ভ সঞ্চারিত হলে তা  জরায়ুর বাইরে গর্ভধারণ হওয়ার সম্বাভনা বেশী ।
গর্ভাবস্থায় মহিলা গনোরিয়াতে আক্রান্ত হলে শিশু জন্মের সময়ে মায়ের যোনি থেকে তার চোখে সংক্রমণ হতে পারে। সে সময় সাথে সাথে  শিশুকে  সঠিক চিকিৎসা না করলে শিশু অপথাল্মিয়া নিওন্যাটারাম (Opthalmia neonataram) নামক চোখের প্রদাহ নিয়ে জন্ম নিতে পারে যার মধ্যে ৩০%  শিশুর স্থায়ী  অন্ধ হওয়ার সম্বাভনা আছে ।
 
 
রোগ নির্ণয় :
g-016
সাধারণত সম্মানিত চিকিৎসকরা রোগীর বিস্তারিত ইতিহাস শোনার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকেন । তারপর  ও উপরের লক্ষন সমুহ দেখা দিলে  নিজে নিজেই যে কোন ভাল প্যাথলজিস্ট দ্বারা  মুত্র এবং লিঙ্গ বা যোনির নিঃসৃত পদার্থ পরিক্ষা করে  শতভাগ নিশ্চিত হতে  পারেন  ।

বিশেষ করে যদি  আক্রান্ত ব্যাক্তি  বা তার সহধর্মিণীর  অবৈধ যৌন মিলন করার ইতিহাস থাকে অথবা সন্দেহ হয় তাহলে অবশ্যই আগেভাগেই পরিক্ষা করা ভাল । যদিও  সেইফ ম্যাথডে  ( কনডম ) যৌন মিলন করলে এবং ওড়াল বা হিটার সেক্সুয়েল যে কোন ধরণের যৌন পদ্ধতি অনুসরণ না করলে  গনোরিয়া জীবাণু  সংক্রামিত হওয়ার কথা নয় । অথবা এর আগে  অথিতে অন্যান্য কোন  যৌন সংক্রামক জীবাণুর দ্বারা সংক্রামিত হওয়ার  ইতিহাস  না থাকলে গনোরিয়া জীবাণুর দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার কোন কারন নেই বা গনোরিয়ার দ্বারা সংক্রামিত হওয়ার কথা নয়  ।
সাধারণত দুটি পদ্ধতিতে খুব সহজেই জেনে নিতে পারেন নিশেরিয়া গনোরি পজেটিভ কি-না ?
 
নিউক্লিক এসিড এমপ্লিফিকেশন  টেস্ট Nucleic acid amplification tests (NAAT) ঃ সাধারনত ৫ মিলি প্রস্রাব এর নমুনা  থেকে নিশেরিয়া গনোরির উপস্থিতি আছে কিনা তা নির্ধারণ করা হয় এবং এর  জন্য ২৪/৭২ ঘন্টা সময়এর প্রয়োজন ।
 
গনোরিয়া কালচার টেস্ট ( Gonorrhea culture ) ঃ পুরুষের ক্ষেত্রে প্রস্রাবের রাস্তা থেকে নিঃসরিত পুঁজ বা পদার্থ এবং নারীর ক্ষেত্রে মূত্রনালি ও জরায়ুর মুখ থেকে  নিঃসরিত পদার্থ , সমকামীদের বেলায় পায়ুপথের নিঃসরিত পদার্থ অথবা মুখে ঘা থাকলে সেখানের  নিঃসরিত পদার্থ  ল্যাব্রোটারিতে নিয়ে কালচার ও সেনসিটিভিটি পরিক্ষা করে নিশেরিয়া গনোরির উপস্থিতি আছে কিনা তা নির্ধারণ করা হয় ।

এ ছাড়া অন্য কোন অসুখের বা জীবাণুর সন্দেহ থাকলে  ( স্যালামাইডিয়া, সিফিলিস , ক্যান্ডিডাস ইত্যাদি ) আপনার চিকিৎসক আরও অনেক ধরণের পরিক্ষা নিরীক্ষার কথা বলতে পারেন । তবে সাধারণ গনোরিয়া হয়েছে কিনা তা উপরের পরিক্ষা থেকেই শত ভাগ নিশ্চিত হতে পারেন । USPSTF
 
 

চিকিৎসা ঃ  ( WHO STI guidelines suggest )

g-017
প্রাথমিক ভাবে ( প্রথম স্থরের )  নিশেরিয়া গনোরির উপস্থিতি থাকলে নিম্নের যে একটি এন্টিবায়োটিক সেবনে সুস্থ  হওয়ার কথা
Cipro® XR 500 mg a single dose, or  Levaquin® 500 mg a single dose, or  Tequin® 400 mg a single dose; Doxycycline 100 mg 2–3 times a day for 10–14 days, or  Zithromax® (azithromycin) 1.0 gm a single dose, or   Zithromax® Z-pak® (azithromycin) — 500mg on day 1, followed by 1 tab (250mg) once a day for 4 more days
মনে রাখবেন ঃ  আগেকার দিনের এন্টিবায়োটিক্স এখন আর তেমন কাজ করেনা !  নিচের ঔষধ সমুহ রেজিস্টার্ড চিকিৎসক ছাড়া সেবন করা আইনগত অবৈধ ?  স্বামী শ্রী উভয়েই এক সাথে  ঔষধ  সেবন করা উচিৎ  … জীবাণু সংক্রামিত হউক বা না হউক ! ঔষধ সেবনের ১ সপ্তাহ পর্যন্ত যৌন মিলন  না করা ভাল  ! আপনার চিকিৎসকের দেওয়া পূর্ণ এন্টিবায়োটিক্স অবশ্যই সেবন করে যেতে হবে এবং এলারজি জাতীয় সমস্যা থাকলে তাও আপনার চিকিৎসক কে অবহিত করবেন এবং দ্বিতীয়বার আর যাতে সংক্রামিত না হন সে দিকে খেয়াল রাখা উচিৎ ।
 ( প্রসঙ্গত উল্লেখ করতে হয়, বিশেষ করে বাংলাদেশ তথা এশিয়ান দেশ সমুহে ৯০% রোগিরা সঠিক জীবাণুর কারন না খুঁজে গনোরিয়ার মত রোগের লক্ষন দেখা দিলে চুখ মুজেই  উপরের এন্টিবায়োটিক সমুহ সেবন করে থাকেন যা চিকিৎসা বিজ্ঞানের আইন অনুসারে মোঠেই ঠিক নয় ।  লক্ষনের উপর ভিত্তি করে উপরের ঔষধ সেবনে ৯০% গনোরিয়া রোগী সুস্থ  হলেও  ১০% রোগীর এন্টিবায়োটিক রেসিস্টেন্স ক্ষ্যামতা হারিয়ে ফেলে বিধায় তাদের কপালে অনেক দুর্ভাগ্য দেখা দেয় । বিশেষ করে তারাই দীর্ঘমেয়াদী গনোরিয়া সহ আর অন্যান্য অসুখের স্বীকার হয়ে থাকেন । )
যদি উপরের ঔষধ কাজ নাকরে  ( দ্বিতীয় স্থর ) তাহলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা কবাইন্ডস ড্রাগস ব্যাবহারের পরামর্ষ দিয়ে থাকেন এবং তা থেকে ৯৬%  রোগী  সুস্থ হয়ে থাকেন  । বিশেষ করে যারা দীর্ঘ মেয়াদী গনোরিয়া অসুখে আক্রান্ত —তাদের জন্য …
ইনজেকশন Ceftriaxone 250 mg intramuscular (IM) single dose PLUS + ট্যাবলেট   Azithromycin 1 g PO single dose  ।
অথবা
If ceftriaxone is unavailable, patients can be given a single oral dose of cefixime 400 mg plus a single dose of azithromycin 1 g PO
অথবা
Single-drug therapy (one of the following, based on recent local resistance data confirming susceptibility to the antimicrobial): Ceftriaxone 250 mg IM as a single dose; cefixime 400 mg orally as a single dose; or spectinomycin 2 g IM as a single dose
এবং
চুখে ইনফেকশনের সন্দেহ থাকলে Erythromycin 0.5% eye ointment বা ক্রিম ব্যাবহার করতে পারেন
বিদ্রঃ কোন অবস্থাতেই  অসুখটি তৃতীয়বার যাতে আর সংক্রামিত না হয়  সে দিকে খেয়াল রাখবেন , কেননা অসুখটি তৃতীয় স্থরে চলে গেলে স্থায়ী বন্ধ্যাত্ব সহ ক্যানসার অথবা শরীরের  অন্যান্য  মারাত্মক ব্যাধি সহ যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু হওয়া অবাস্থব কিছু নয় ।
 
গনোরিয়ার তৃতীয় স্তরের চিকিৎসা  বা শেষ চিকিৎসা মনে করতে পারেন  ( যা বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে রেখেই চিকিৎসা করা ভাল – যখন সকল ড্রাগস ফেইল হয়ে যায় তখন বিশেষজ্ঞরা রিপ্লেইস্মেন্ট থ্যারাপি হিসাবে ড্রাগস সমুহ ব্যাবহারের উপদেশ দিয়ে থাকেন  )
Ceftriaxone 500 mg IM as a single dose PLUS azithromycin 2 g orally as a single dose or Cefixime 800 mg orally as a single dose PLUS azithromycin 2 g orally as a single dose or Gentamicin 240 mg IM as a single dose PLUS azithromycin 2 g orally as a single dose or Spectinomycin 2 g IM as a single dose (if not an oropharyngeal infection) PLUS azithromycin 2 g orally as a single dose.
নবজাতকদের জন্য ঃ
Ceftriaxone 50 mg/kg (maximum 150 mg) IM as a single dose or Kanamycin 25 mg /kg (maximum 75 mg) IM as a single dose or  Spectinomycin 25 mg/kg (maximum 75 mg) IM as a single dose

তৃতীয় স্তরের ড্রাগস যখন কাজ করবেনা তখন মনে করতে হবে শরীরের যে কোন একটা দুর্ঘটনা জাতীয়  বড় ধরণের পরিবর্তন আস্তেছে অথবা অসুখটি    সুপার গনোরিয়ার পর্যায়ে চলে গেছে ।  এর জন্য নতুন কোন এন্টিবায়োটিক এখন ও বাহির হয়নি । সেই হিসাবে  এই ব্যাক্টোরিয়াগুলো সংক্রামিত হলে কোটি কোটি জীবন বিনষ্ট করা অসম্বভ কিছু নয় যা এইডসের চাইতে ও মারাত্মক হতে পারে বলে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা মনে করেন ।
ধন্যবাদ ………………………………………………… ।
References ( Created By Dr Helal KAmaly – MPH & Hon Stud of PhD ( PH & MR ) UK
Centers for Disease Control and Prevention. Sexually transmitted disease surveillance 2013. UK . Department of health and Human Services; 2014. Updated March 30, 2015. www.cdc.gov/std/stats13. Accessed July 15, 2015.

Final Recommendation Statement: Chlamydia and Gonorrhea: Screening. U.S. Preventive Services Task Force. December 2014. www.uspreventiveservicestaskforce.org/Page/Document/RecommendationStatementFinal/chlamydia-and-gonorrhea-screening. Accessed July 15, 2015.

Marrazzo JM, Apicell MA. Neisseria gonorrhoeae (Gonorrhea). In: Bennett JE, Dolin R, Blaser MJ, eds. Mandell, Douglas, and Bennett's Principles and Practice of Infectious Diseases. 8th ed. Philadelphia, PA: Elsevier Saunders; 2015:chap 214.

Workowski KA, Bolan GA; Centers for Disease Control and Prevention (CDC). Sexually transmitted diseases treatment guidelines, 2015. MMWR Recomm Rep. 2015;64(3):1-137.

হেপাটাইটিস- বি-ভাইরাস ( যৌন রোগ পর্ব -৮ )HBV – STD 8

হেপাটাইটিস- বি-ভাইরাস ( যৌন রোগ পর্ব -৮ )HBV – STD 8

 

 
 
 
 
 
 
9 Votes





b-8
মেডিক্যাল হিষ্ট্রি ঃ
ইতিহাস অনুসারে খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে হিপোক্রেটিসের আমলে মহামারী হিসেবে জন্ডিসের প্রমান পাওায়া যায় এবং পরবর্তীতে ড. সাউল ক্রুগম্যান ১৯৫০ সালে প্রথম এ ভাইরাসটি শনাক্ত করেন । তার দেয়া তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে ড. ব্লুমবার্গ ১৯৬৩ সালে হেপাটাইটিস বি ভ্যাক্সিন তৈরি করেন। বর্তমানে ড. ব্লুমবার্গ এর তৈরিকৃত ভ্যাক্সিন এর পরিবর্তে রিকমবিন্যান্ট ভ্যাক্সিন ব্যবহার করা হয়।
আমাদের দেশের শতকরা ৪ ভাগ মানুষ হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের বাহক। তাদের থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে অন্যান্য সুস্থ দেহে সংক্রামিত হলেও ৯০% বেলায় অবৈধ যৌনতার কারনেই ভাইরাসটি সংক্রামিত বেশী হয়ে থাকে । এশিয়ান দেশের গর্ভবর্তী মায়েরা গড়ে ৩.০৯% হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসে আক্রান্ত । সারা বিশ্বে প্রতি বছর এইডস (AIDS) রোগে যে পরিমাণ মানুষ মারা যায় তার চেয়ে বেসি লোক মারা যায় হেপাটাইটিস-বি (HBV) ভাইরাস সংক্রামনে।

হেপাটাইটিস বি কি ?
b-17
হেপাটাইটিস বি একটি যৌন সংক্রামক রোগ। হেপাটাইটিস বি ভাইরাস সংক্রমণের মাধ্যমে হেপাটাইটিস বি দেখা দেয় যা যকৃতে মারাত্মক সংক্রমণ ঘটায়। রক্ত, বীর্য অথবা শরীরের অন্যান্য তরল পদার্থের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়। বড়দের ক্ষেত্রে এর সংক্রমণ ৫০% এমনিতেই ভালো হয়ে গেলেও শিশুদের ক্ষেত্রে এর সংক্রমণ দীর্ঘস্থায়ী হয় ( ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের ) । চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে সিরাম হেপাটাইটিস ও বলা হয়ে থাকে । বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভাইরাসটি সুস্থ শরীরের প্রবেশ করার ১ থেকে ৪ মাসের ভিতর প্রকাশিত হয় ।


এ রোগের ২ টি অবস্থা আছে। একটি হল অ্যাকিউট বা স্বল্প মেয়াদী এবং অপরটি হল ক্রনিক বা দীর্ঘ মেয়াদী ।
অ্যাকিউট বা স্বল্পমেয়াদী ( Acute hepatitis B )
b-12
বি ভাইরাসে আক্রেন্ত হওয়ার পর কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাসের ( ৬ মাস ) মধ্যে ভাল হয়ে যায় । যার কারনে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যাদের শরীরের ইমিউনিটিস শক্তি প্রচুর থাকে তারা প্রথম অবস্থায় বিনা চিকিৎসাতেই সুস্থ হওয়ার কথা এবং এ সময় অ্যাকিউট হেপাটাইটিস বি এর জন্য তেমন চিকিৎসার প্রয়োজন হয়না । মনে রাখবেন সে সময় লিভারের জন্য ক্ষতি কারক ঔষধ , লিভারের জন্য ক্ষতিকারক ভেষজ খাবার ও মদ পান এবং ক্যামিকেল মিশ্রিত পিজি ড্রিঙ্ক ইত্যাদি এড়িয়ে চলা উচিৎ – ।

দীর্ঘমেয়াদী বা ক্রনিক হেপাটাইটিসঃ- ( chronic hepatitis B )
b-03
হেপাটাইটিস বি-ভাইরাস সাধারণত ৬ মাস থেকে আজীবন স্থায়ী হতে পারে । যদি কোন কারনে দীর্ঘ দিন পর ও শরীরের ইমিউনিটি শক্তি নস্ট না করতে পারে তাহলে ৯০% বেলায় শেষ অবধি , যখন শরীরের ইমিউনিটি শক্তি দুর্বল হতে থাকে তখন দীর্ঘমেয়াদী হেপাটাইটিস বি-ভাইরাস লিভার সিরোসিস ও ক্যান্সার হওয়ার সবাভনা শতভাগ – অর্থাৎ আক্রান্ত ব্যাক্তির বার্ধক্য জনিত সময় আসার আগেই জীবন নাসের হুমকি খুব বেশী ।
তবে সু সংবাদ একটাই সদ্য গবেষণা অনুসারে দেখানু হয়েছে যারা একবার আক্রান্ত হয়ে ভাল হয়ে যান পরবর্তীতে তারা পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার সম্বাভনা না থাকলেও তাদের কাছ থেকে ও সুস্থ শরীরে তা সংক্রামিত হতে পারে বিধায় যে কোন পরিবারের যে কেউ একবার আক্রান্ত হলে উক্ত পরিবারের সকলের ই প্রতিষেধক হিসাবে ভ্যাকসিন নেওয়া কর্তব্য । দুঃখ জনক হলে ও সত্য ক্রনিক হেপাটাইটিস বি ভাইরাস যখন লিভার কে প্রথম অবস্থায় আক্রমণ করে তখন তেমন খারাপ লক্ষন বুজাই যায়না, কিন্তু যখন লিভার সেল সমুহ কে ধংস করে ফেলে তখন ৯৬% বেলায় কিছুই করার থাকেনা ।


ভাইরাস টি কীভাবে সংক্রামিত হয় ?  ( Red Alert !!!!
b-06 
 
১- একের অধিক ব্যক্তির সাথে অনিরাপদ শারীরিক সর্ম্পকে লিপ্ত হলে বা ( তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলোতে যারা পতিতা অথবা ভাসমান কারও সাথে যৌন মিলন করেন তারাই এই ভাইরাসটি স্বীকার বেশী হয়ে থাকেন এবং পরবর্তীতে আক্রান্ত ব্যাক্তি পুরুষ থাকলে তার কাছ থেকে গর্ভবতী মা এবং তার গর্ভস্থ শিশু আক্রান্ত হওয়ার সম্বাভনা শতভাগ , বিপরীত দিকে আক্রান্ত ব্যাক্তি মহিলা হলে তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক যুক্ত যে কেউ এর স্বীকার অনিবার্য । ইউরোপ অ্যামেরিকার দেশ সমুহে পুরুষ সমকামীরা বেশী আক্রান্ত হয়ে থাকেন ) আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে অনিরাপদ শারীরিক সম্পর্ক হয়ে থাকলে । প্রসঙ্গত জেনে রাখার জন্য উল্লেখ করতেই হয় অনেকেই মনে করে নিরাপদ যৌন মিলন ( কনডম ) করলে তা সংক্রামিত হয়না , বিষয়টি সব ক্ষেত্রে সঠিক নয় বিশেষ করে আক্রান্ত ব্যাক্তির মুখের লালা রস থেকে শরীরের যে কোন রক্ত প্রবাহে ঢোকে পরে এইডসের চাইতে খুব সহজে ( টোঠ, ও স্পরশকাতর চামড়ার মাধ্যমে ) অর্থাৎ ওড়াল যৌন ক্রীড়ায় ও তা প্রবাহিত হয়ে থাকে ।
২- এ ছাড়া আক্রান্ত ব্যাক্তির একই সিরিঞ্জ, সুঁই , শরীরে উল্কি আঁকা, স্যালুনে ব্যবহৃত ক্ষুর, রেজর, ব্লেডঃ, হাসপাতালে হেপাটাইটিস বি আক্রান্তদের পরিচর্যার কারণে, ডেন্টিষ্টের ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত(অনিরাপদ) যন্ত্রপাতি, সিরিঞ্জ এ মাদক নেয়া, আক্রান্ত ব্যাক্তির মুখের সিগারেট ইত্যাদি ব্যাবহার করলে ।
মোট কথায় আক্রান্ত ব্যাক্তির রক্ত, বীর্য, যোনি রস, মুখের লালা থেকে সুস্থ দেহে এর বিস্তৃতি ঘটে থাকে । তবে মনে রাখবেন এই ভাইরাস সামাজিক মেলামেশায় (হ্যান্ড শেক, কোলাকুলি) ,দুধ দান এবং কাশির মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায় না। এমনকি রোগীর ব্যবহার্য দ্রব্যাদি যেমন- গ্লাস, চামচ, জামা কাপড়ের মাধ্যমেও এই রোগ ছড়ায় না।।


হেপাটাইটিস- বি এর উপসর্গ সমূহঃ
b-09
৫০% বেলায় আক্রান্ত রোগীর প্রাথমিক ভাবে তেমন কোন কোন উপসর্গ নাও থাকতে পারে বা অনেক ক্ষেত্রে জ্বর, ক্লান্তিবোধ, শরীর টনটন করা, ব্যাথা, বমি ভাব এবং ক্ষুধামন্দা দেখা দেওয়া ছাড়া আর তেমন কিছু বুজা যায়না – তখন হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস লিভারে মৃদু ইনফেকশন চালিয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে লিভারের ক্ষতি করতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত অসুখটি রোগীর অজান্তেই সেকেন্ডারী পর্যায়ে চলে যায় যাকে আমরা ক্রনিক হেপাটাইটিস বা দীর্ঘস্থায়ী ইনফেকশন বলে থাকি । এই রোগের সুপ্তবস্থা (ভাইরাস সংক্রমন থেকে রোগের লক্ষণ পর্যন্ত) প্রায় ৪ সপ্তাহ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে ।
তারপর ও হেপাটাইটিস বি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমণের ২৮ দিন থেকে থেকে ৬ মাসের ভিতর যে যে লক্ষণ ও উপসর্গগুলো দেখা দিতে পারে তা নিম্নরূপ ঃ
*পেট ব্যথা * গাঢ় রংয়ের প্রস্রাব *অস্থিসন্ধিতে ব্যথা *ক্ষুধা মন্দা * ক্লান্ত এবং অবসাদ অনুভব করা *শরীরের চামড়া ফ্যাঁকাসে হলুদ হয়ে যাওয়া , চোখ সাদা ফ্যাকাশে হওয়া ( গ্রামের অনেকেই একে মাটিয়া হল্মি বলে অবহিত করেন )
অসুখটি ক্রনিক পর্যায়ে চলে গেলে যে সব লক্ষন দেখা যায় ঃ
– লিভারে ব্যথা করা – খাদ্যে অরুচি – দুর্বলতা (কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হয়, যদি কোন কারন বশত হঠাত দুরবলতা বেশী বৃদ্ধি পায় বা রোগী গুরতর দুর্বল হয়ে পরে তাহলে অবশ্যই রোগীকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করা উচিৎ । একে Fulminate hepatitis বলা হয় , নিচে এর লক্ষন সমুহ দেওয়া আছে )
– জ্বর ও বমি, – পেট ব্যথা , পেটের ডান পাশে ব্যথা অথবা অস্বস্তিবোধ করা, লিভার ও প্লীহা বেড়ে যাওয়ার উপসর্গ ও লক্ষণ দেখা দেওয়া ( ৬% বেলায় সেকেন্ডারি পর্যায়ে যাওয়ার সাথে সাথেই তা দেখা দেখা দেয় ) ,
– শরীর চুলকানো ( এটি সকল হেপাটাইটিস রোগের লক্ষণ) – প্রসাব চা এর মত কালো হয়ে যাবে – পায়খানার রঙ ফ্যাকাশে (ধূসর বা কাদামাটি রঙের মত )
( এ ক্ষেত্রে যারা হাইপার এসিডিটিতে ভোগে থাকেন তাদের প্রায় ই অনিয়ন্ত্রিত পায়খানা বা আই বি এসের মত লক্ষন দেখা দিয়ে থাকে ) বা তাদের বেলায় কালচে হলদে বর্ণের চোখ এবং ত্বক হতে পারে ।
ধীরে ধীরে অসুখটি বৃদ্ধির সাথে – রক্তস্বল্পতা- ওজন কমে যাওয়া- মাংসপেশী এবং হাড়ের সংযোগস্থলে (গিটে) ব্যথা ও চুলকানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে ।


ফ্লামিনেট হেপাটাইটিস ( fulminant hepatitis). ঃ
b-010
যে সকল ক্রনিক হেপাটাইটিস রোগী হঠাত করেই খুব দ্রুত দুর্বল ও অজ্ঞান হয়ে পরেন তাদের কেই বলা হয় – যা ২% বেলায় দেখা যায় – সে সয় রোগীর মানসিক বিভ্রান্তি , তন্দ্রা, নিদ্রাহীনতা বা হ্যালুসিনেশন ও দেখা দিতে পারে ( স্বপ্নে পাওয়া অনেক কিছু ) , একি সাথে বমি বমি ভাব দীর্ঘায়িত হওয়া সহ প্রস্রাবের মাত্রা কমে যাওয়া, ডিহাইড্রেশন সহ পেটের ফোলা বৃদ্ধি পেতে ( ধরে নিতে হবে রোগী কয়েক সপ্তাহের ভিতর লিভার ফেইলার হতে পারে ) ইত্যাদি সহ শারীরিক অনেক জঠিলতা দেখা দিতে পারে বা তখন অনেক ক্ষেত্রে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করে ও তেমন সুস্থ হওয়ার কথা নয় , অর্থাৎ মৃত্যু নিশ্চিত …………………।


কি ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে
b-08
এইচবিএস এজি’ও (Hbs Ag- Hepatitis B surface antigen ) ( এর অর্থ হলো হেপাটাইটিস-বি সারফেস এন্টিজেন যা হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের দেহ থেকে নি:সৃত হয়ে থাকে ) । হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হলেই রক্তের এইচবিএস এজি (Hbs Ag) পরীক্ষা পজিটিভ হয়। অর্থাৎ আপনি নিশ্চিত সাম্প্রতিক বা দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস বি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত — !
হেপাটাইটিস বি টাইপ ই অ্যান্টিজেন ( Hepatitis B type e antigen – HBeAg) পজেটিভ হলে বুজে নিতে হবে আপনি দীর্ঘ স্থায়ী হেপাটাইটিস বি দ্বারা আক্রান্ত এবং আপনার শরীরের এই ভাইরাস একটিভ বিধায় আপনি একজন সংক্রামক বা আপনার শরীরের রক্ত, লালা, বীর্য বা যোনি রস ইত্যাদি যে কোন সুস্থ শরীরে ঢোকতে পারলে সুস্থ ব্যাক্তি ও সংক্রামিত হবে ।
Antibody to HBsAg (Anti-HBs) পজেটিভ হলে বুজতে হবে আপনার এন্টি- হেপাটাইটিস ভ্যাকসিন দেওয়া আছে এবং আপনি সংক্রামিত হওয়ার সম্বাভনা কম ।
যকৃতের পরীক্ষা ঃ- ( এ সব পরিক্ষা পুরাতন রোগীদের বেলায় করতেই হয় যকৃতের কর্ম ক্ষ্যামতা পরিষ্কার ভাবে বুজার জন্য )
AST(SGOT অর্থাৎ আপনার রক্তে এনজাইমের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে কিনা তা দেখা ) HBV- DNA বা ভাইরাল লোড PCR (polymerase chain reaction) ইত্যাদি ।
যদি রোগী দীর্ঘ স্থায়ী বা ক্রনিক হেপাটাইটিস বি তে আক্রান্ত হয়ে থাকেন এবং লিভারের কিছুটা গোলাযোগ পরিলক্ষিত হয় বা লিভার ড্যামেজ হওয়ার সম্বাভনা থাকে তাহলে আপনার চিকিৎসক লিভার বায়োস্পি করার কথা বলতে পারেন ( লিভার বায়োস্পি হচছে চিকিৎসক সিরিঞ্জের মাধ্যমে আপনার লিভার থেকে কিছু কোষ সংগ্রহ করে ল্যাব্রোটারিতে পরিক্ষা করা, ইহা করার আগে কিছু উপদেশ আছে পানার চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিবেন )


হেপাটাইটিস- বি ভাইরাসে চিকিৎসা কি?
b-011
( রিসার্চ ঃ মুলত হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের কোন ঔষধ বাহির হয়নি, যাই হয়েছে তা শুধু মাত্র যকৃতের প্রদাহ বিরোধী ঔষধ বাহির হচ্ছে, জেনে রাখা ভাল বি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মুলত তা আমাদের যকৃতকে অকার্যকর করা ছাড়া শরীরের অন্যান্য অঙ্গের তেমন কোন ক্ষতি করতে পারেনা – সেই সুত্র ধরেই – বি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর যকৃত কে যে কোন ভাবে প্রদাহ মুক্ত রাখতে পারলেই উক্ত রোগীর তেমন বড় ধরণের ক্ষতি হওয়ার সম্বাভনা নাই — অর্থাৎ রোগী সারা জীবন ই সুস্থ থাকবে ।
তবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বি-ভাইরাস নিম্নের যে কোন একটি পদ্ধতির মাধ্যমে শতভাগ ভাল হওয়ার সমাভনা আছেই । DNA Inhibitors- Capsid Inhibitors – Immune System Activators– Natural Antiviral Agents– ( এর মধ্যে Natural Antiviral Agents এর উপর বেশ গুরুত্ব দেওয়া হইতেছে ) ————

একিউট বি- ভাইরাসের
একিউট বি- ভাইরাসের জন্য তেমন কোন কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয়না কেননা শরীরের এন্টিবডি ৫০% বেলায় তা এমনিতেই প্রতিহিত করতে পারে তবে সে সময় রোগীর বিশ্রাম এবং পরিপূরক শরীরের ইমিউনিটি শক্তি বৃদ্ধিকারক খাবার খাওয়া অবশ্যই জরুরী । মনে রাখবেন এই ভাইরাস ৩০-৩৫ বছর পরও সুপ্ত অবস্থা থেকে সক্রিয় হতে পারে ! ( HBeAg)


সেকেন্ডারি বা দীর্ঘ মেয়াদী এইচবিএস এজি পজেটিভ রোগীদের বেলায় ঃ
এইচবিএস এজি পজেটিভ থেকে নেগেটিভ করতে হলে প্রথমেই রোগীর শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং সেই সাথে যাদের লিভারের কার্যক্ষমতা স্বাভাবিকের চাইতে কম তাদের জন্য — লিভাররের কার্যক্ষমতা সঠিক রাখার জন্য বর্তমানে আবিষ্কৃত নতুন কিছু ঔষধ বাহির হয়েছে যা ৭০% রোগীর বেলায় কার্যকর ।
যদি রোগীর ইতিহাসে এইচবিএস এজি পজেটিভ ৬ মাসের উপরে থাকে এবং যকৃ্ত সঠিক কাজ করে তাহলে নিচের ঔষধ সমুহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ব্যাবহার করার পরামর্ষ দিয়ে থাকেন —
পেগালিটেড ইন্টারফেরন আলফা ২-বি বা পেগাসিস ইনজেকশন ব্যাবহারে ৬ মাসের মধ্যেই অনেকের এইচবিএস এজি নেগেটিভ হতে দেখা যায় , কিন্তু ইনজেকশন সমুহ খুব বেশী ব্যাবহুল ( ৪/৫ লক্ষ টাকা ) যা সকলের পক্ষে এর ব্যায়ভার বহন করা সম্বভ নাও হতে পারে –
সে ক্ষেত্রে ট্যাবলেট সেবনের পরামর্ষ দেওয়া হলে ও মুখে খাওয়ার ঔষধ ব্যাবহারে ভাইরাস ন্যাগেটিভ হতে কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে । বিপরীত দিকে দীর্ঘদিন ঔষধ সেবনের ফলে ১০% বেলায় অন্যান্য প্রতিক্রিয়া ও দেখা দিতে পারে , সে দিকে খেয়াল রাখা উচিৎ ।
Interferon alfa (Intron A, Roferon A, Sylatron). ইনজেকশন ঃ
যে কোন একটি ইনজেকশন প্রতি সপ্তায় ১টি করে (180 mcg ) ২৪ সতাহ থেকে ৪৮ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রয়োজন হতে পারে – তবে চাইলে আপনার চিকিৎসক অসুখের উপর ভিত্তি করে মাত্রার রদ বদল করতে পারেন যা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এইচবিএস এজি ৬ মাসের মধ্যেই তা নেগেটিভ পর্যায়ে চলে যায় —
b-1
আর ও বিস্তারিত জানতে হলে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন ঃ
( https://www.drugs.com/pegasys.html )
অথবা – আপনার চিকিৎসকের পরামর্ষ অনুসারে নিচের যে কোন একটি এন্টি-ভাইরাল ড্রাগস দীর্ঘ দিন সেবন করতে হবে এবং সে সময় সঠিক ডোজ সেবন শেষে রক্তের HBsAg পরিক্ষার প্রয়োজন — ইত্যাদি
lamivudine: 100mg per day (note that this dose differs from the dose used in drug combinations to treat HIV infection এবং তা লিকোইড হিসাবে ও পাওয়া যায় ।
অথবা – adefovir: 10mg per day ( lamivudine এর চাইতে আরেকটু উন্নত )
অথবা – entecavir – 0.5 or 1.0mg per day, depending on previous treatment history অথবা entecavir লিকোইড সেবন করতে পারেন ।
অথবা – telbivudine: 600mg per day অথবা tenofovir: 245mg per day. ( ইহা পাউডার হিসাবে ও বাজারে পাওয়া যায় )
উপরের ঔষধ সমুহ কম পক্ষে এক বছরের জন্য ব্যাবহার করতে হয় …………………………………।
দুর্ভাগ্য ক্রমে জীবাণু গুলো নেগেটিভ না হলে এবং যকৃতের প্রদাহ বৃদ্ধি পেলে পরবর্তীতে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা ছাড়া আর বিকল্প ব্যাবস্থা নাই —– ! ( মুলত উপরের ঔষধ গুলো ব্যবহার করা হয় লিভারের ক্ষতি না করার জন্য এবং এর ভিতরেই শরীরের ইমিউনিটি শক্তি বৃদ্ধি পেয়ে ভাইরাস সমুহ কে ধ্বংস করে দেয় )
সাথে আপনার চিকিৎসকের পরামর্ষ অনুসারে মাঝে মধ্যে ভিটামিন-সি 500 – 1,000 mg 1 – 3 times daily এবং প্রোবাইয়োটিক সাপ্লিমেন্ট (containing Lactobacillus acidophilus, Engerix-B-/ Recombivax HB )প্রতিদিন সেবন করলে আপনার লিভারের ইমিউনিটি শক্তি বৃদ্ধি করতে একটু সহায়ক হতে পারে ।


২- Natural Antiviral Agents সবচেয়ে বেশী কার্যকর ভেষজ সমুহ ঃ
h-20
সুত্রঃ কোন ভেষজ ই হেপাটাইটিস ভাইরাস কে ধ্বংস করেনা , তারপর ও গবেষণা অনুসারে কিছু ভেষজ আছে যা শরীরের ইমিউনিটি শক্তি বৃদ্ধি কারক এবং এন্টি-ভাইরাল হিসাবে কাজ করে ইহা সত্য এবং সে জন্য- বিশ্বে সবচেয়ে ভাল লিভারের বল বর্ধক হিসাবে, যা বায়ো-মেডিক্যাল রিসার্চ অনুসারে প্রমাণিত আমি তাই নিচে তুলে ধরলাম -( যদি ও অনেকে হাজার ও ভেষজের কথা বলে থাকেন লিভারের বলবর্ধক বা ভাইরাল বিরোধী কিন্তু ড্রাগস এন্ড মেডিসিন রিসার্চ অনুসারে মাত্র ১% সত্য এবং তাও ৩-৪% কার্যকর । তাই শুনা কথার উপর ভিত্তি করে এই সব শুনা বা আইডিও-লজিক্যাল চিকিৎসা থেকে দূরে থাকাই ভাল ।
(নিম্নের ভেষজ গুলো বাংলাদেশে পাওয়া যায় কিনা আমার জানা নেই , যদি না পাওয়া যায় তাহলে অনলাইনে চেক করে কিনে নিতে পারেন , ইউকে অ্যামেরিকা বা চায়নার ভেষজ সমুহ মান উন্নত ও মান সম্মত । অনুরুধ থাকবে তা যেন স্বীকৃত কোম্পানির হয় )
পৃথিবীতে লিভারের প্রতিরোধ ক্ষ্যামতা বৃদ্ধি কারক হিসাবে ঋষি মাশরুম ই সবচেয়ে ভাল একটি হারবাল ভেষজ Reishi mushroom (Ganoderma lucidum), সে জন্য ঋষি মাশরুমের পাউডার বা ক্যাপসুল সেবন করতে পারেন লিভারের ইমিউনিটি শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য । জি লোসিডিয়াম একমাত্র ঋষি মাশরুমেই সবচেয়ে বেশী থাকে ( সেবন ও বিধি নিষেধ ইত্যাদি বিস্তারিত ঋষি মাশরুম ঔষধের লিফলেট থেকে জেনে নিন ) – যা ক্যানসার প্রতিরোধ করার জন্য বিশেষ একটি বায়বীয় উপাদান —
রিসার্চ পেইজ ( https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmedhealth/PMH0046740/ )
h-21
মিল্ক থিস্লে ঃ Milk thistle (Silybum marianum): এই ভেষজ টি রোমান যুগ থেকেই লিভারের প্রতিরোধ ক্ষ্যামতা বৃদ্ধির জন্য ব্যাবহার করা হইতেছে এবং আধুনিক বিজ্ঞানে ও তা স্বীকৃত by the U.S. Agency for Healthcare Research and Quality (AHRQ), …।। ( সেবন ও বিধি নিষেধ ইত্যাদি বিস্তারিত ঔষধের লিফলেট থেকে জেনে নিন )
রিসার্চ পেইজ ( http://umm.edu/health/medical/altmed/herb/milk-thistle )
কাল জীরার তৈল ঃ Black Seed Oil – যদি ও ভেষজটি ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের জন্য বেশ উপকারী তাথে সন্দেহ নেই তবে যে সকল লিভার হেপাটাইটিস রোগীর রক্তে কোলেস্টারলের মাত্রা বেশী তাদের বেলায় , তা সেবনে ভালর চাইতে খারাপ রিজাল্ট বেশী দেখা দিতে পারে । তাই রক্ত পরিক্ষা না করে তা সেবন করা মোটেই উচিৎ নয় ।
অলিভ লিফ ক্যাপসুল ( Olive Leaf Capsules )- এই ভেষজ টি নিঃসন্দেহে লিভারের জন্য একটি এন্টি- ব্যাক্টোটোরিয়েল, এন্টি-ফাঙ্গাল এবং এন্টি- ভাইরাল ভেষজ হিসাবে স্বীকৃত এবং খুবি ভাল একটি এন্টি-অক্সাইডেন্ট এজেন্ট , তাই ওলিব লিফ এক্সট্র্যাক্ট ক্যাপসুল সেবন করতে পারেন – জাপানের বাজারে আরেকটু উন্নত পর্যায়ে জ্যাল অক্সিজেন ক্যাপসুল বা পাউডার নাম দিয়ে বাজারজাত করা হয়েছে ( Zell Oxygen ) .. ( সেবন ও বিধি নিষেধ ইত্যাদি বিস্তারিত ঔষধের লিফলেট থেকে জেনে নিন )
Licorice root (Glycyrrhiza glabra): ………………………।। ( পরবর্তী আপডেটের অপেক্ষায় )
( উপরের ভেষজ সমুহ আন্তর্জাতিক বায়ো-রিসারচ অনুসারে লিভারের এন্টি-বডি শক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রমাণিত ভেষজ )


৩- হেপাটাইটিস এ ভ্যাকসিন দেওয়ার নিয়মাবলী ঃ ( রক্ত পরিক্ষায় হেপাটাইটিস ভাইরাস পজেটিভ হলে ভ্যাকসিন কাজ করবেনা )
ভ্যাকসিন দেওয়ার নিয়ম- ( Hepatitis B vaccination )
b-012
একজন প্রাপ্ত বয়স্কের জন্য – প্রথম ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৮ দিন পর ২য় ভ্যাকসিন দিতে হয় ( ২য় ভ্যাকসিন টি খুব বেশী গুরুত্বপূর্ণ বিধায় ২৮ দিন অথবা ৩০ দিনের ভিতর দিতেই হয় , তবে কোন অবস্থায় ২৮ দিনের আগেও নয় ) ৩য় ভ্যাকসিন ৬ মাস পর দিলেই হয় তবে তবে কোন অবস্থায় ১৬ সপ্তাহের আগে নয় এবং যদি কাক্ষিত টাইটার অর্জিত না হলে ৩য় ডোজের পর অতিরিক্ত আর একটি ডোজ (বুস্টার ডোজ) নিতে হয় । ( সর্বশেষ তথ্যঅনুসারে জানানো হয়েছে বোস্টার ডোজের প্রয়োজন নেই ) । যদি ভ্যাকসিন গুলো প্রাইভেট দিতে হয় তাহলে চেস্টা করবেন ভ্যাকসিন সমুহ যেন প্রথম শ্রেণীর উচ্চমানের হয় ।
RX/ Recombivax HB (40 mcg/mL): 40 mcg IM OR Engerix-B (20 mcg/mL): 40 mcg IM at

নবজাতক শিশু এবং তার মায়ের জন্য হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীরা যা করতে হয়, তা নিম্নরূপ ( যদি মা HBsAg পজেটিভ থাকেন তাহলে অবশ্যই সন্তান প্রসবের ১২ ঘন্টার ভিতরেই প্রথম ভ্যাকসিন দিতেই হবে )
b-013
Routine vaccination
⦁ First dose: Administer first dose to all newborns before hospital discharge
⦁ Infants born to HBsAg-positive mothers: 0.5 mL IM within 12 hr of birth PLUS hepatitis B immune globulin (HBIG); test for HBsAg and antibody to HBsAg (anti-HBs) 1-2 months after completion of hepatitis B vaccination series, at age 9 through 18 months
⦁ Mother’s HBsAg status unknown: 0.5 mL IM within 12 hr of birth PLUS give HBIG if newborn wt <2 kg; determine mother’s HBsAg status as soon as possible and, if she is HBsAg-positive, also administer HBIG for infants weighing 2 kg or more (no later than age 1 week)
used for doses administered before age 6 weeks
⦁ Infants who did not receive a birth dose should receive 3 doses of a HepB-containing vaccine on a schedule of 0, 1 to 2 months, and 6 months starting as soon as feasible
⦁ Minimum interval between dose 1 and dose 2 is 4 weeks, and between dose 2 and 3 is 8 weeks
⦁ Final (3rd or 4th) dose in the HepB vaccine series should be administered no earlier than age 24 weeks, and at least 16 weeks after the first dose
⦁ A total of 4 doses of HepB vaccine is recommended when a combination vaccine containing HepB is administered after the birth dose
( বাংলাদেশ সরকার সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিনকে ইতিমধ্যেই সংযোজন করেছেন । এই কর্মসূচিতে শিশুকে ০.৫ মিলি ডোজের মোট তিনটি ডোজ দেয়া হয়। প্রথমটি ডিপিটির সাথে ছয় সপ্তাহ বয়সে, দ্বিতীয়টি ডিপিটি ২-এর সাথে ১০ সপ্তাহ বয়সে, তৃতীয়টি ডিপিটি ৩-এর সাথে ১৪ সপ্তাহ বয়সে। হেপাটাইটিস বি ভ্যাক্সিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। তাই সকলেরই এই ভ্যাকসিন নিয়ে রাখা উচিত। )
অথবা ভিজিট করুন নিচের লিঙ্কে ( http://www.immunize.org/catg.d/p HYPERLINK “http://www.immunize.org/catg.d/p2081.pdf”HYPERLINKhttp://www.immunize.org/catg.d/p2081.pdf&#8221; )

হেপাটাইটিস- বি ( HBsAg Positive) পজেটিভ রোগীদের যা অবশ্যই করনীয় ?
b-14
নিরাপদ উপায়ে শারীরিক বা যৌন সম্পর্ক স্থাপন , যার সাথে যৌন মিলন করবেন তাকে অবগত করে প্রতিষেধক ভ্যাকসিন দেওয়া বাধ্যতামূলক । ( যদিও বাংলাদেশে এর জন্য বাধ্যবাধকতা মুলক আইন নেই, তারপর ও ইহা আপনার মানবিক দবায়িত্ত )
আক্রান্ত ব্যাক্তির ব্যবহৃত সুচ/সিরিঞ্জ, রেজার ব্লেড এবং দাঁত মাজার ব্রাশ ইত্যাদি অন্য কাউকে ব্যাবহার করতে না দেওয়া এবং অবশ্যই রক্ত অথবা অন্য কোন অঙ্গ দান করা থেকে বিরত থাকতে হবে ।
যদি তিনি গর্ভবতী মহিলা হন এবং তিনি যদিHBsAg পজেটিভ থাকেন তাহলে তিনির ডেলিভারি ও চিকিৎসার সাথে জড়িত চিকিৎসক কে জানিয়ে রাখতে হবে অথবা জরুরী ভিত্তিতে ইমারজেন্সি ডেলিভারির প্রয়োজন হলে সেখানের চিকিৎসক কে অভহিত করে রাখা বাধ্যতামূলক , নতুবা সেখানের অনেক সুস্থ মা ও শিশু বা তার সাথে সম্পর্কযুক্ত যে কেউ সংক্রামিত হতে পারেন এবং গর্ভবতী মায়ের ও জানতে হবে এতে তার শিশু জন্মের আগ পর্যন্ত কোন ক্ষতি হবেনা বা জন্মের পর পর ভ্যাকসিন দিলে তা ঠিক হয়ে যাবে ।

হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের জটিলতা ?
h-3
যকৃত কলায় ক্ষত বা সিরোসিস ( হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস সংক্রমণে লিভারের কোষগুলো তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে থাকে এবং ক্রমান্বয়ে লিভারের প্রায় সব কোষই নষ্ট হয়ে যায়। এক পর্যায়ে লিভার সংকুচিত হয়ে ছোট হয়ে লিভার অকার্যকর হয়ে পরে ) যকৃতের ক্যানসার – হেপাটাইটিস ডিব’র সংক্রমণ — কিডনীর বিভিন্ন সমস্যা ও রক্তনালীর ধমনীতে প্রদাহ হয়ে শারা শরীর ফোলে যাওয়া ইত্যাদি …………………… ।
চলবে ——- ধন্যবাদ

( Created By Dr.Helal Kamaly ( MPH, UK ) Hon PhD … Last pt ( PHMR )
50 years of liver research: BMC Medicine joins ILC 2016
Ferrucci LM, Bell BP, Dhotre KB, et al. Complementary and alternative medicine use in chronic liver disease patients. J Clin Gastroenterol. 2010;44(2):e40-e45.
Ferenci P, Scherzer TM, Kerschner H, et al. Silibinin is a potent antiviral agent in patients with chronic hepatitis C not responding to pegylated interferon/ribavirin therapy. Gastroenterology. 2008;135(5):1561-7.
Firpi RJ, Nelson DR. Current and future hepatitis C therapies. Arch Med Res. 2007;38(6):678-90.
Gish RG. Improving outcomes for patients with chronic hepatitis B. Hepatol Res. 2007;37(s1):S67-S78.
Goldman. Goldman’s Cecil Medicine. 24th ed. Philadelphia, PA: Elsevier Saunders. 2011.
Gorban EM, Orynchak MA, Virstiuk NG, Kuprash LP, Panteleimonov TM, Sharabura LB. [Clinical and experimental study of spirulina efficacy in chronic diffuse liver diseases.] Lik Sprava. 2000(6):89-93.
Honer zu Siederdissen C, Manns MP, Cornberg M. Which treatment options are validated for chronic viral hepatitis? Internist (Berl). 2013;54(12):1427-8.
Hou JK, Velayos F, Terrault N, Mahadevan U. Viral hepatitis and inflammatory bowel disease. Inflamm Bowel Dis. 2010;16(6):925-32.
Langmead L, Rampton DS. Herbal treatment in gastrointestinal and liver disease–benefits and dangers. Aliment Pharmacol Ther. 2001;15(9):1239-52.
About these ads

হেপাটাইটিস এ ভাইরাস ( যৌন রোগ পর্ব -৭) HAV- STD

হেপাটাইটিস এ ভাইরাস ( যৌন রোগ পর্ব -৭) HAV- STD

 

h-2
 
 
 
 
 
 
10 Votes

–                  হেপাটাইটিস এ  ভাইরাস ( যৌন রোগ পর্ব -৭  ) Hepatitis A virus-HAV
( অসুখটি সম্মন্ধে  সকলের অল্প ধারনা থাকা  উচিৎ ) –
ভুমিকাঃ
h-9
যৌন জীবাণুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিকারক   ভাইরাসের মধ্যে   এইডসের পরেই  হেপাটাইটিস ভাইরাস কে দায়ি করা হয়  – হেপাটাইটিস ভাইরাস প্রধানত ৫ টি হলে ও  হেপাটাইটিস  এ (HAV), বি (  HBV) , এবং  সি (HCV)  যৌনমিলনের মাধ্যমে সংক্রামিত হতে পারে বিধায় এই তিনটি ভাইরাস  যৌন সংক্রামক জীবাণুর অন্তর্ভুক্ত  এবং তার মধ্যে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস হচ্ছে সবচেয়ে বেশী ভয়ঙ্কর  যা এইডস ভাইরাসের চাইতে ১০০ গুন বেশী সহজতর অবস্থায় সংক্রামিত হয়ে থাকে , সে জন্য প্রত্যেকের এই অসুখটি নিয়ে অবশ্যই জানা প্রয়োজন ।
হেপাটাইটিস বা যকৃত প্রদাহ কি তা জানা উচিৎ ?
h-17
হেপাটাইটিস একটি গ্রীক  ল্যাটিন শব্দ , যার অর্থ হেপাট ( liver/ যকৃত  ) +  আইটিস ( inflammation/প্রদাহ  ) = Hepatitis / যকৃত প্রদাহ ।  যে সকল ভাইরাস হেপাটাইটিস ঘটাতে সক্ষম তাদের হেপাটাইটিস ভাইরাস (hepatitis virus) বলে অর্থাৎ এই ভাইরাস গুলো নীরবে  যকৃতের কোষ সমুহ কে ধ্বংস করে ফেলে ( লিভার সিরোসিস )  বিধায়  ৯০% বেলায়  অসুখটির  পূর্ণ লক্ষন দেখা দেওয়ার পর ৯৭%  বেলায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে শেষ বিদায় নিতেই হয় । যদি ও লিভার ট্রান্সপারেন্সি করে রোগীকে কয়েক বছর পর্যন্ত ধরে রাখা সম্বভ কিন্তু তা খুব বেশী ব্যায় বহুল থাকায় সকলের জন্য সম্বব না ও হতে পারে । সে জন্য হেপাটাইটিস অথবা জণ্ডিসের ( হলমি ) মত  যে কোন অসুখের প্রাথমিক লক্ষন দেখা দেওয়া মাত্রই সাথে সাথে তার যথা যত ব্যাবস্তা নেওয়া উচিৎ এবং দুর্ভাগ্য বশত ভাইরাস জনিত হেপাটাইটিস  পজেটিভ হয়ে গেলে ( বিশেষ করে বি অথবা সি ভাইরাস ) উক্ত রুগীর সাথে দৈহিক  সম্পর্ক যুক্ত ব্যাক্তি কে  প্রতিরুধ মুলক ভ্যাকসিন নেওয়া বাধ্যতা মুলক  ( ডাঃ হেলাল ) ।
৫ টি হেপাটাইটিস ভাইরাস ঃ
h-14
হেপাটাইটিস ভাইরাস গুলো হচ্ছে — হেপাটাটিস এ ভাইরাস  Hepatitis A virus (HAV ) ভাইরাসটি  যৌন সংক্রামকের অন্তর্ভুক্ত — বিস্তারিত নিম্নে দেওয়া আছে
হেপাটাইটিস বি ভাইরাস Hepatitis B virus (HBV) , ভাইরাসটি  যৌন সংক্রামকের অন্তর্ভুক্ত — বিস্তারিত পরবর্তী পর্বে  দেওয়া আছে ।
হেপাটাইটিস সি ভাইরাস Hepatitis C virus (HCV) , ভাইরাসটি  যৌন সংক্রামকের অন্তর্ভুক্ত — বিস্তারিত পরবর্তী পর্বে  দেওয়া আছে ।
হেপাটাইটিস ডি ভাইরাস Hepatitis D virus (HDV), হেপাটাইটিস সি ভাইরাস  Hepatitis E virus (HEV)
এই ভাইরাসদ্বয় পানি , খাবার, যৌন মিলন ইত্যাদির  মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশের ১৫-৬০ দিন পর জন্ডিসের মত লক্ষন  দেখা দেয়। আমরা জানি, ভাইরাস কোষের ভেতর প্রবেশ করে কোষের ভেতরের ডিএনএ ও বিভিন্ন এনজাইম ব্যবহার করে বংশবৃদ্ধি করে। হেপাটাইটিস ভাইরাস লিভারের কোষকে আক্রমণ করে। ফলে আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় নিয়োজিত কণিকাগুলোর মধ্যে শ্বেত রক্তকণিকা ও হিস্টিওসাইট লিভারের আক্রান্ত কোষকে নষ্ট করে দেয়ার মাধ্যমে ভাইরাসকে ধ্বংস করে দিয়ে সুস্থ কোষগুলোকে রক্ষা করতে চেষ্টা করে।
লিভারের অনেকগুলো কাজের মধ্যে একটি হলো মেয়াদোত্তীর্ণ হিমোগ্লোবিন ভেঙে বিলিরুবিন তৈরি করা এবং পিত্তনালির মাধ্যমে খাদ্যনালিতে বের করে দেয়া। কিন্তু লিভারের কোষ নষ্ট হলে এ বিলিরুবিন রক্তে প্রবেশ করে থাকে । ফলে রক্তে বিলিরুবিন বেড়ে যায় বিধায় আমাদের শরীরের চামড়া, প্রস্রাব ইত্যাদি  হলুদ রঙ ধারন করে অর্থাৎ  যাকে আমরা সহজ  ভাবে  জন্ডিসের লক্ষন মনে করে থাকি ।
h-11
– তাই  শরীরে জণ্ডিসের লক্ষন ( হলুদ হওয়া ) দেখা দেওয়া বলতে হেপাটাটিস মনে করা হলে ও অনেক ক্ষেত্রেই অন্যান্য কারনে ও রক্তের বিলিরুবিন বৃদ্ধি পেতে  পারে বিধায় সকল জন্ডিস রোগ কিন্তু হেপাটাইটিস জাতীয় অসুখ  নয় বরং যকৃত, অগ্নাশয় বা পিত্ত থলির যে কোন একটা ত্রুটি,  জীবাণু বা বিষক্রিয়ার  ধারা আক্রান্ত হওয়ার পূর্ব সঙ্কেত মনে করতে পারেন  এবং তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য সাথে সাথে রক্ত পরিক্ষা করে নেওয়া উচিৎ ।  মানব দেহে বিলুরুবিনের স্বভাবিক পরিমাণ ১ হতে ১.৫ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার ।
বিপরীত দিকে অনেক ভাইরাল হেপাটাটিস অসুখ আছে ( বিশেষ করে হেপাটিটিস বি এবং সি  আক্রান্তদের বেলায় অনেক কে দেখতে সুস্থ মনে হলেও ) যা জণ্ডিসের মত লক্ষন অনেক দেরিতে দেখা দিয়ে থাকে ( রোগীর ইমিউনিটি শক্তির কারনে  … ) এবং যখন জণ্ডিসের মতে লক্ষন দেখা দেয় তার অনেক আগেই রোগীর লিভার সেকেন্ডারি  প্রদাহে চলে যায়  বিধায় তখন আর কিছুই করার থাকেনা ।  তবে সে ক্ষেত্রে  অবশ্যই জণ্ডিসের লক্ষন ছাড়া ( হলুদ হওয়া ) ও আর অন্যান্য লক্ষন বিদ্যমান থাকবে  যা রোগী বা তার গার্জিয়ানরা প্রাথমিক অবস্থায়  বুজতে পারেন না  ।
উপরের ৫টি ভাইরাস ছাড়াও অন্য আরেক ধরনের ভাইরাস আছে যেগুলো অন্যান্য ভাইরাসের সাথে মিল নেই, তাদের কে  জি ভাইরাস বলে ।
যাই হউক যকৃতের প্রদাহ ৯০% হয়ে থাকে ভাইরাস জনিত কারনে এবং বাদ বাকি ১০% হয়ে থাকে বিষ ক্রিয়া জনিত কারনে ,
যেমন-  অটোইমিউনি  হেপাটাইটিস  ( Autoimmune Hepatitis ) , যার প্রকৃত কারন খুঁজে পাওয়া যায়নি বা অনেক সময় বংশগত  ডি এন এ র মিশ্রিত প্রভাবেই হয়ে থাকে । এ ছাড়া  থ্যালাসেমিয়া ও হিমোগ্লোবিন ই-ডিজিজ ইত্যাদি অসুখ জনিত কারনে ও হেপাটাইটিস দেখা দিতে পারে ।
মদ জনিত হেপাটাইটিস  ( Alcoholic Hepatitis ) যারা অতিরিক্ত মদ পান করেন তাদের মধ্যে ২০% বেলায় লিভার হেপাটাইটিস হওয়ার সম্বাভনা আছে- ( ৪–৬০ বয়সেই বেশী হয়ে থাকে )- যকৃতের চর্বি জনিত অসুখের কারনে   (NAFLD)- ড্রাগস হেপাটাইটিস ( Drug-Induced Hepatitis ) অনেক ঔষধ আছে যা দীর্ঘদিন ব্যাবহারের ফলে যকৃতের  মেটাবোলিজম পক্রিয়াকে ব্যাহত করে লিভার হেপাটাটিস অসুখে রূপান্তরিত করে । যেমন halothane, isoniazid, methyldopa, phenytoin, valproic acid, and the sulfonamide drugs ইত্যাদি ।  । ( একমাত্র ভাইরাস জনিত লিভার হেপাটাটিস ছাড়া অন্য কোন কারনে হেপাটাটিস হলে অসুখটির লক্ষন সাথে সাথেই দেখা দিয়ে  থাকে ) ।( Depth Report #75: Cirrhosis )
যৌনমিলনের মাধ্যমে নিম্নের ৩ টি ভাইরাস  সংক্রামিত হতে পারে ঃ
h-10
হেপাটাইটিস  এ (HAV), বি (  HBV)  এবং  সি (HCV) এবং তার মধ্যে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস হচ্ছে সবচেয়ে বেশী ভয়কর যা এইডস ভাইরাসের চাইতে ১০০ গুন বেশী সহজতর অবস্থায় সুস্থ দেহে  সংক্রামিত হয়ে থাকে ।

                             হেপাটাটিস এ ভাইরাস  Hepatitis A virus (HAV )


h-13
অসুখটি হেপাটাইটিস এ ভাইরাস দ্বারা যকৃত আক্রান্ত হওয়ার ফলে যে  যে  তীব্র সমস্যার সৃষ্টি হয় তাকেই বুজায় , মুলত ৯০% বেলায় এই ভাইরাসের আক্রমণ ও লক্ষন  ৭/৮ সপ্তাহের উপর থাকেনা এবং সে সময় শরীরের ইমিউনিটি শক্তি নিজে নিজেই তার প্রতিরোধ গড়ে তুলে বিধায় অসুখটি এমনিতেই সেরে যায় , সে জন্য একে সেল্ফ লিমিটিং ডিজিজ বলা হয় ।

১০% মধ্যে  ৪% বেলায় ৭/৯  মাস পর্যন্ত গড়াতে দেখা যায় এবং  সে সময় যকৃতে প্রয়াহের সৃষ্টি করে লিভার ফেইলার হওয়ার সম্বাভনাই  খুব বেশী । অন্য দিকে  ৩% বেলায়  অসুখটি কিছুদিন পর কমে যাওয়ার পর আবারও  ফিরে আসলে মনে করতে হবে উক্ত রুগীর শরীরের  ইমিউনিটি শক্তি হেপাটাইটিস ভাইরাস কে প্রতিহত করতে পারেনাই ।   সে সময় সঠিক চিকিৎসা না হলে  এবং বারে বারে এ রকম দেখা দিলে,   বছর ২/১ এর মধ্যেই উক্ত রুগীর  লিভার কার্সিনোমা অথবা লিভার ফেইলার হতে পারে বিধায়  রুগীকে  আর বাঁচানো সম্বভ হয়না । গর্ভবতী মা  এবং ৬০ এর উপরে যাদের বয়স তারা এই   ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জঠিলতা একটু বেশী দেখা দিতে পারে ।

আগেই বলেছি জন্ডিস এবং হেপাটাইটিস দুটি বিষয় – বা জন্ডিস বলতে বুজায় শরীর ও তার রেচন তন্ত্রের নিঃসৃত পদার্থ হলদে হয়ে যাওয়া – অর্থাৎ  যকৃত, পিত্ত থলি বা অন্য যে কোন কারনে রক্তের বিলুরিবিন বেড়ে যাওয়া কেই বুজায় এবং সে জন্য ভাইরাস জনিত যকৃতের প্রদাহে  জণ্ডিসের প্রাথমিক লক্ষন  দেখা দিয়ে থাকে । তাই  জন্ডিসের লক্ষন দেখা দিলে রক্ত ও অন্যান্য  পরিক্ষা নিরীক্ষা  ছাড়া  ভাইরাল হেপাটাইটিস কি না তা নিশ্চিত হওয়া সম্বভ নয় ।  তা ছাড়া অনেকের বেলায় জণ্ডিসের লক্ষন দেখা না দিয়ে ও  নিরবে হেপাটিটিস এ ভাইরাস  যকৃতকে আক্রান্ত করে এবং পরবর্তীতে  গুরতর অবস্থায় জণ্ডিসের লক্ষন দেখা দিতে পারে ।


হেপাটাইটিস এ ভাইরাস  শরীরের বাহিরে কতদিন পর্যন্ত বাঁচতে পারে :-
এই ভাইরাসটি খাদ্য, পানি, পায়খানা , বীর্য অথবা ভাসমান যে কোন  কিছুতে ১ মাস পর্যন্ত এবং ৮৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট তাপমাত্রায়  বেঁচে থাকতে পারে ।

হেপাটাইটিস এ ভাইরাস কীভাবে সংক্রামিত হয় ?

h-12
এ ভাইরাস আক্রান্ত রুগীর ব্যাবহিত কাপড় চোপর, পানি , পায়খানা , খাদ্য ইত্যাদি থেকেই মুলত এর বিস্তৃতি ঘটে থাকে । তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলোতে রুগীর, গোসল ও  পায়খানা থেকেই পুকুর-জলাশয় ইত্যাদিতে এর বেপক বিস্তৃতি ঘটে থাকে । এমন কি আক্রান্ত ব্যাক্তি পায়খানা করার পর হাত ভালভাবে পরিষ্কার না করলে সে যেখানেই হাত দিবে সেখানেই জীবাণুগলো স্থানান্তরিত হয়ে থাকে । এভাবেই জীবাণুটি এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়ে ফ্লু ভাইরাসের মত ।
ইহা একটি যৌন সংক্রাম জাতীয় অসুখ (STDs)  । সে জন্য আক্রান্ত ব্যাক্তির , বীর্য, রক্ত, রক্তরস অথবা  ঠোঁট- মুখের লালা, আক্রান্ত ব্যাক্তির  ব্যবহৃত ব্লেড, কাঁচি, ক্ষুর , টুথ ব্রাশ ইত্যাদি থেকে ও সুস্থ শরীরে ভাইরাসটি স্থানাতরিত হতে পারে ।
এ ভাইরাস আক্রান্ত ব্যাক্তির সাথে দৈহিক মিলনে শত  ভাগ নিশ্চিত,  সুস্থ  ব্যাক্তি আক্রান্ত হওয়ার ।  বিশেষ করে ওড়াল এবং এনাল সেক্সের মাধ্যমে খুব দ্রুত সুস্থ ব্যাক্তির দেহে তা ছড়িয়ে পরে । এ ক্ষেত্রে কনডম ব্যাবহারে ও তা প্রতিরোধ করা সম্বভ হয়না বিধায় এইডসের চাইতে ও বেশী ছোঁয়াচে  । দৈহিক মিলন সঙ্গীর  যে কোন একজন সহবাসের  ২৮   দিনের ভিতরে  জণ্ডিস অথবা হেপাটাইটিসের লক্ষন দেখা দিলে  যিনি সুস্থ থাকবেন তার ও রক্ত পরিক্ষা করে ভাইরাসটি সংক্রামিত হয়েছে কিনা নিশ্চিত হওয়া উচিৎ ।
রিসার্চ অনুসারে প্রমাণিত ,যে কোন কারন ছাড়াই  ইউরোপ-আমেরিকার দেশ সমুহে  যারা পুরুষ সমকামী অথবা  ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ড্রাগস ব্যবহার করে তাদের ২১% এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত  ।

লক্ষন ঃ

h-16
হেপাটাইটিস এ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হবার ১৪ দিন থেকে ৪৫  দিন  পর্যন্ত এর  তেমন কোন লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দেয় না বিশেষ করে ৬ মাস বয়েসের  কম  বয়সী শিশুদের বেলায় লিভার ফেইল হওয়ার আগ পর্যন্ত তেমন লক্ষন দেখা না ও দিতে পারে –
পরবর্তীতে  যেসব লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দেয়— অবসাদ অনুভব করা- বমি বমি ভাব হওয়া এবং বমি করা–পেট ব্যথা (পেটের ডান দিকে বুকের নিচে ব্যথা ও অস্বস্থি জাতীয় সমস্যা দেখা দেয় )  — ক্ষুদা মন্দা–হাল্কা জ্বর– গাঢ় রংয়ের প্রস্রাব– মাংসপেশীতে ও জোড়ায় জোড়ায় ব্যথা– গায়ে চুলকানি দেখা দেওয়া– চোখ এবং শরীরের চামড়া জন্ডিসে মত  হলুদ হয়ে যাওয়া এবং প্রস্রাব হুলদে বা ধুয়াটে বর্ণের হওয়া –ডায়রিয়া অথবা ধূসর বর্ণের পায়খানা হওয়া –ইত্যাদি নানা লক্ষন দেখে দিতে পারে ।
৯০% বেলায় আক্রান্ত ব্যাক্তির ভাইরাস এ শরীরের ইমিউনিটি শক্তি ১২ সপ্তাহের  ভিতরেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম বা কারও কারও বেলায় ৬ মাস পর্যন্ত অতিবাহিত হতে পারে ।
( বিদ্রঃ  মনে  রাখবেন অসুখটির লক্ষন দেখা দেয়ার পর যদি  রোগীর জন্ডিস ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাতে থাকে এবং  সে সময় অস্থিরতা , অস্বাভাবিক আচরণ ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে রোগী  অজ্ঞান হয়ে যায়, তখন বুঝে নিতে হবে যে রোগীর লিভারের অবস্থা তেমন ভাল নয় এবং কাল-বিলম্ব না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে অথবা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করাতেই হবে )

 পরীক্ষা-নিরীক্ষা ঃ

h-18
শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সময় ডান দিকে পাকস্থলীর বিপরীত দিকে একটু চাপ দিলে রোগী ব্যাথা অনুভব করবে সেই সাথে আপনার চিকিৎসক লিভারের অন্যান্য পরিক্ষা নিরীক্ষার কলাকৌশল ব্যাবহার করে কি ধরণের সমস্যা তা বুজার চেস্টা করবেন  । (https://depts.washington.edu/physdx/liver/tech.html )
রক্ত পরিক্ষা ঃ রক্তের ইমিউনগ্লোবিন  এম এন্টিবডির  ( Immunoglobulin M -IgM ) উপস্থিতি বা পজেটিভ মানেই হেপাটাইটিস ভাইরাস এ  নতুন ভাবে সংক্রামিত হয়েছে মনে করা হয় এবং যদি এর উপস্থিতি না থাকে বা নেগেটিভ হয় তাহলে মনে করতে  হেপাটাইটিস ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত নয় ।
সাথে রক্তে ইমিউনিগ্লোবিন  জি  immunoglobulin G – IgG উপস্থিতি বা পজেটিভ  মানেই রোগী বহু আগ থেকেই হেপাটাইটিস এ দ্বারা সংক্রামিত ।
সাথে অবশ্যই এলিভ্যাটেড লিভার এনজাইম বা transaminase enzyme levels টেস্ট করা ভাল । প্রয়োজনে লিভারের সামগ্রিক অবস্থা বুজার জন্য অন্যান্য পরিক্ষা – নিরীক্ষা করার  প্রয়োজন হতে পারে ।

চিকিৎসা

h-19মনে রাখবনে ভাইরাল এ  হেপাটাইটিস চিকিৎসায় ওষুধের কোনো ভূমিকা নেই বললেই চলে। সে জন্য নিজের ইছছা শক্তি দিয়ে যে সকল খাবার খেলে শরীরের ইমিউনিটি শক্তি বৃদ্ধি পায় তা খাওয়ার চেস্টা করা । অর্থাৎ শরীরের ইমিউনিটি শক্তি বৃদ্ধির উপর নিভর করে রোগীর দ্রুত ভাল হওয়ার । সেই  সাথে খুব সতর্কতার সহিত লক্ষ রাখতে হবে খাওয়ার পানি যাতে অবশ্যই ভালো করে ফোটানো ও  টাটকা থাকে   । চাইলে কিছু ভিটামিন জাতীয় ন্যাচারেল ঔষধ এবং গ্লকোজ সেবন করতে পারেন এবং বায়ো  ফার্মা ক্যামস্ট্রির  প্রমান সাপেক্ষ যে সকল ভেষজ লিভারের জন্য ভাল বলে  প্রমাণিত তা সেবন করাতে পারেন। লিভারের ভাইটাল ফোরস বৃদ্ধি করার জন্য  । ( যদি ও ভাইরাস কে  ধ্বংস করা সমবভ নয় )


এ সময় রোগীর পথ্য হিসাবে চর্বিজাতীয় খাবার ছাড়া সব ধরণের  খাবার দিতে পারেন । ( চর্বি জাতীয় খাবার লিভারের মেটাবোলিজম প্রক্রিয়া ব্যাহত করে ) অনেকে মনে করেন, জন্ডিস হয়েছে তাই এখন বেশি বেশি ফলের রস ও পানি খেতে হবে এবং হলুদ মরিচ খাওয়া যাবে না ইত্যাদি  যা  রিসার্চ অনুসারে ও  সম্পূর্ণ ভুল ধারনা বরং  এ সব অপরিষ্কার  ঠান্ডা ফলের রসেই হেপাটাইটিস এ সুপ্ত অবস্থায় জীবিত থাকে – তবে এ সময় অবশ্যই প্রচুর পানি পান সহ সহজপাচ্য ও মুখরোচক খাবার ভাল  ।
 ( প্রশ্ন আসবেই জন্ডিস হলে সবাইতো ভাল হইতেছে গাছের লতা পাতা খেয়ে  ?   না !  তা সম্পূর্ণ ভুল একটা শুনা ধারনা থেকে আইডিয়প্যাথিক চিকিৎসা  — সঙ্কেপে ঃ এসব কাল্পনিক বা স্বপ্নে পাওয়া চিকিৎসা ১% ও সত্য নয় — প্রথমত জন্ডিস লক্ষন দেখা দিলেই যে হেপাটাইটিস ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত তাও বলা মুশকিল, দ্বিতীয়ত – ফ্লু ভাইরাসের মত এ  ভাইরাস সমুহ  সুস্থ মানুষকে আক্রমণ করে থাকে ।
। গবেষণা অনুসারে দেখা যায় যখন একজন সুস্থ মানুষ কে হেপাটাইটিস এ আক্রান্ত করে তখন ৯১% বেলায় শরীরের ইমিউনিটি শক্তি তা প্রতিহত করে এবং শেষ পর্যন্ত উক্ত হেপাটাইটিস এ ভাইরাস শরীরের পক্কের শক্তি হিসাবে কাজ করে থাকে  সারা জীবন  এবং তাও ২৮ দিনের ভিতর রিকভার করে থাকে ।  এরপর  ও যদি দেখা যায় ভাইরাস সমুহ নেগেটিভ হয়নাই তাহলে সে ক্ষেত্রে ৯০% বেলায় মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং এর কয়েক মাসের মধ্যেই লিভারের কোষ সমুহ ধ্বংস করে লিভার ফেইলার বা ক্যান্সারের সৃষ্টি হয় । ড্রাগস রেসিস্ট্যান্স পদ্ধতির নিয়ম অনুসারে যে কোন ঔষধ   ব্যাক্টোরিয়া সম্পূর্ণ ধংস করতে পারলেও  ভাইরাস ধংস করা যায়না বরং ভাইরাস কে ধ্বংস করতে হলে উক্ত শরীরের সেই ভাইরাসের প্রতিরোধ ক্ষ্যামতা গড়ে তুলে প্রতিরোধ করতে হয় , যাকে ভ্যাকসিন বলতে পারেন । তাই  প্রাথমিক ভাবে কেউ ভাইরাল এ পজেটিভ হলে  পরিষ্কার ও মান সম্মত খাবারের মাধ্যমে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষ্যামতা বৃদ্ধি করাই হল সবচেয়ে বুদ্ধি মানের কাজ । অর্থাৎ এ সময় রোগীকে তৈলাক্ত ও চর্বি জাতীয় খাবার বাদে  সব কিছুই  খাওয়ানো যাবে ( তৈলাক্ত চর্বি যুক্ত খাবার লিভার মেটাবলজিম প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে ) , যেমন  ভাত, রুটি, সুজি, বার্লি, শাক-সবজি, গ্লুকোজ, মাখন তোলা দুধ, ছানা, চর্বিহীন মাছ সহ খসহজপাচ্য ও মুখরোচক  বেশী করে খেতে দিন, সেই সাথে অবশ্যই প্রচুর পানি অথবা গ্লকুজ বা ডাবের পানি খেতে দেওয়া ভাল  । জন্ডিস হলে হলুদ বা ঐ জাতীয় স্পাইস খাওয়া যায়না তাও ঠিক নয় বরং হলুদ একটি ভাল এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট । এর পর ও জণ্ডিসের মত লক্ষন ভাল না হলে এবং আক্রান্ত রোগী অস্থিরতা, অস্বাভাবিক আচরণ করলে বা অজ্ঞান হলে মনে করতে হবে মারাত্মক জরুরি অবস্থা ? দেরি না করে অনতিবিলম্বে হাসপাতাল অথবা লিভার বিশেষজ্ঞের পরামর্ষ নেওয়া ভাল । )

১-
৯০% রোগী ২৮ দিনের ভিতর এমনিতেই ভাল হয়ে যান +  ৩% রোগীর বেলায় হেপাটাটিস এ রিকভার করতে ২ ৮৮ দিন থেকে  ৯ মাস  পর্যন্ত সময় লাগতে পারে তবে যদি সঠিক চিকিৎসা হয় তাহলে ভয়ের  কিছু নাই  এবং বাকি ৪% বেলায় রোগী সুস্থ হতে পারেন না বা দীর্ঘ মেয়াদী ভাইরাল হেপাটাইটিসে ভুগে শেষ পর্যন্ত লিভার সিরোসিস বা ঐ জাতীয় কিছু হয়ে মৃত্যু যাত্রী হতেই  হয় , যদিও  রোগীর লিভার ট্রান্সপারেন্সি করে কয়েক বছর পর্যন্ত ঠিকিয়ে রাখা যায় ।
২-
মনে রাখবেন হেপাটাইটিস এ  দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর আক্রান্ত রুগীর ইমিউনিটি শক্তি বৃদ্ধি করা ছাড়া আর অন্য কোন চিকিৎসা নাই বিধায় , চর্বি মুক্ত পরিষ্কার ও পুস্টি বর্ধক খাবার অত্তান্ত জরুরী  ।  পরিবারের যে কেউ হেপাটাইটিস এ  পজেটিভ হলে তিনির সাথে সম্পর্ক যুক্ত সকলের হেপাটাইটিস এ ভাইরাসের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন সাথে সাথে নেওয়া ভাল, কারন হেপাটাইটিস এ পজেটিভ হওয়ার পর ভ্যাকসিন আর কাজ করেনা –  এবং সেই সাথে রোগীর লক্ষন অনুসারে আপনার চিকিৎসক সিম্পটম্যাটিক চিকিৎসা দিতে পারেন , এ ক্ষেত্রে অবশ্যই সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে লিভারের জন্য ক্ষতিকারক যে কোন ভেষজ অথবা ঔষধ ব্যাবহার সম্পূর্ণ নিষেধ । কোনো কোনো অঞ্চলে কবিরাজি ঝাড়ফুঁক, নাকে নস্যি দেয়া, লতাপাতা খাওয়া সহ  নানাবিধ চিকিৎসা পদ্ধতি প্রচলিত যা ভাইরাস জাতীয় অসুখের তীব্রতা বাড়িয়ে দিতে পারে বা চিকিৎসা বিজ্ঞানে ইহা সম্পূর্ণ অ-প্রমাণিত হিসাবেই বিবেচিত । মোট কথায় জণ্ডিসের মত লক্ষন দেখা দেওয়ার পর সাথে সাথেই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সরনাপন্ন হয়ে কেন হইতেছে তা খুঁজে বাহির করা উচিৎ । একি সাথে  সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে, প্রচুর বিশুদ্ধ পানি পান করবেন সে সময় মদ এবং বাজারের নানা ক্যামিকেল জাতীয় পানীয়  পান করা  থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকতে হবে ।

বিদ্রঃ  কিছু নিত্য  প্রয়োজনীয় ঔষধ আছে যা লিভারের জন্য খুবি মারাত্মক ক্ষতিকারক  এবং তা ব্যাবহারের অভ্যাস থাকলে আপনার চিকিৎসকের পরামর্ষ অনুসারে বিকল্প ব্যাবস্থা গ্রহন করতে হবে – যেমন, ব্যাথা নাশক ঔষধ (NSAIDs ) , বাত জাতীয় অসুখের ঔষধ, ভিটামিন এ , Tylenol, Piper methysticum  ইত্যাদি ।

ভেষজ  ( Herbs ) ঃ

h-20
সুত্রঃ  কোন ভেষজ ই  হেপাটাইটিস ভাইরাস কে ধ্বংস করেনা , তারপর ও গবেষণা অনুসারে কিছু ভেষজ আছে যা শরীরের ইমিউনিটি শক্তি বৃদ্ধি কারক ইহা সত্য এবং সে জন্য লিভারের বল বর্ধক হিসাবে বায়ো-মেডিক্যাল রিসার্চ অনুসারে যে সকল ভেষজ কার্যকর আমি তাই নিচে তুলে ধরলাম –
( বাংলাদেশে এই ভেষজ সমুহ না পাওয়া যায় কিনা আমার জানা নেই , যদি না পাওয়া  যায়  তাহলে অনলাইনে চেক করে কিনে নিতে পারেন , ইউকে অ্যামেরিকা বা চায়না ভেষজ সমুহ মান উন্নত ও মান সম্মত  । অনুরুধ থাকবে  তা যেন স্বীকৃত কোম্পানির হয় )
পৃথিবীতে লিভারের প্রতিরোধ ক্ষ্যামতা বৃদ্ধি কারক হিসাবে ঋষি মাশরুম ই সবচেয়ে ভাল একটি হারবাল ভেষজ Reishi mushroom (Ganoderma lucidum), সে জন্য ঋষি মাশরুমের পাউডার বা ক্যাপসুল সেবন করতে পারেন লিভারের ইমিউনিটি শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য ।  জি লোসিডিয়াম একমাত্র ঋষি মাশরুমেই সবচেয়ে বেশী থাকে  ( সেবন ও বিধি নিষেধ ইত্যাদি  বিস্তারিত ঋষি মাশরুম ঔষধের লিফলেট থেকে জেনে নিন ) – যা ক্যানসার প্রতিরোধ করার জন্য বিশেষ একটি বায়বীয় উপাদান —
রিসার্চ পেইজ ( https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmedhealth/PMH0046740/ )
h-21
মিল্ক থিস্লে ঃ Milk thistle (Silybum marianum): এই  ভেষজ টি  রোমান যুগ থেকেই লিভারের প্রতিরোধ ক্ষ্যামতা বৃদ্ধির জন্য ব্যাবহার করা হইতেছে এবং আধুনিক বিজ্ঞানে ও তা স্বীকৃত  by the U.S. Agency for Healthcare Research and Quality (AHRQ), …।। ( সেবন ও বিধি নিষেধ ইত্যাদি  বিস্তারিত ঔষধের লিফলেট থেকে জেনে নিন )
রিসার্চ পেইজ ( http://umm.edu/health/medical/altmed/herb/milk-thistle )
কাল জীরার তৈল ঃ Black Seed Oil – যদি ও ভেষজটি  ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের জন্য বেশ উপকারী তাথে সন্দেহ নেই তবে যে সকল  লিভার হেপাটাইটিস  রোগীর রক্তে কোলেস্টারলের মাত্রা বেশী   তাদের বেলায় , তা সেবনে ভালর চাইতে খারাপ রিজাল্ট বেশী দেখা দিতে পারে । তাই রক্ত পরিক্ষা না করে তা সেবন করা মোটেই উচিৎ নয় ।
h-22
অলিভ লিফ ক্যাপসুল ( Olive Leaf Capsules )- এই ভেষজ টি নিঃসন্দেহে লিভারের জন্য  একটি এন্টি- ব্যাক্টোটোরিয়েল, এন্টি-ফাঙ্গাল এবং এন্টি- ভাইরাল  ভেষজ হিসাবে স্বীকৃত এবং খুবি ভাল একটি এন্টি-অক্সাইডেন্ট এজেন্ট  , তাই ওলিব লিফ এক্সট্র্যাক্ট ক্যাপসুল সেবন করতে পারেন –  জাপানের বাজারে আরেকটু উন্নত পর্যায়ে জ্যাল অক্সিজেন ক্যাপসুল বা পাউডার নাম দিয়ে বাজারজাত করা হয়েছে  ( Zell Oxygen )  .. ( সেবন ও বিধি নিষেধ ইত্যাদি  বিস্তারিত ঔষধের লিফলেট থেকে জেনে নিন )
Licorice root (Glycyrrhiza glabra): ………………………।। ( পরবর্তী আপডেটের অপেক্ষায় )
এ ছাড়া আর অনেক ভেষজ আছে যা লিভারের জন্য ভাল হলে ও উপরের ভেষজ সমুহ আন্তর্জাতিক বায়ো-রিসারচ অনুসারে লিভারের এন্টি-বডি শক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রমনাইত ভেষজ ।
৩-হেপাটাইটিস এ ভ্যাকসিন দেওয়ার নিয়মাবলী ঃ ( রক্ত পরিক্ষায়  হেপাটাইটিস ভাইরাস পজেটিভ হলে  ভ্যাকসিন কাজ করবেনা )
h-23
Hepatitis A vaccines: Recommended dosages and schedules
vaccine age group volume # doses dosing intervals
Havrix
(GlaxoSmithKline)
1 through 18 yrs 0.5 mL 2 0, 6–12 mos
19 yrs and older 1.0 mL 2 0, 6–12 mos
Vaqta
(Merck)
1 through 18 yrs 0.5 mL 2 0, 6–12 mos
19 yrs and older 1.0 mL 2 0, 6–12 mos
অথবা ভিজিট করুন নিচের লিঙ্কে (  http://www.immunize.org/catg.d/pHYPERLINKhttp://www.immunize.org/catg.d/p2081.pdf&#8221; )

প্রতিরোধ ঃ

জীবন যাপন পদ্ধতি ( স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, খাবার ভালো করে সিদ্ধ করা, খালি,বাসী,পঁচা খাবার এবং হোটেলের খাবার না খাওয়া, রান্না করার আগে হাত ধোয়া, খাওয়ার আগে হাত ধোয়া, দূষিত পানি না খাওয়া, পায়খানা ব্যবহারের পর হাত ভালোমত পরিষ্কার করা ইত্যাদি )
যৌন সম্পর্ক ঃ (  আক্রান্ত ব্যাক্তির সাথে সহবাস না করা বা তার ব্যাবহারিক সব কিছু পরিষ্কার করেই ব্যবহার করা , হেপাটাইটিস এ দ্বারা আক্রান্ত ব্যাক্তির রক্ত দান থেকে বিরত থাকা বা তার ব্যাবহারিক বেল্ড, ক্ষুর , সিরিঞ্জ ইত্যাদি ব্যাবহার নাকরা , এমন কি  উক্ত ব্যাক্তির খাবার অন্য কেউ না খাওয়া ইত্যাদি )
সামাজিক ভাবে ঃ আক্রান্ত ব্যাক্তি কোন অবস্থায় যেন বাহিরের পরিবেষে গোসল না করেন বা উক্ত ব্যাক্তির পায়খানা ভাসমান খাল বিলে যেন না ছড়ায় সেই দিকে খেয়াল রাখা…।  ইত্যাদি , কেননা বাঙ্গালদেশ তথা তৃতীয় বিশ্বের দেশ সনুহে হেপাটাইটিস ভাইরাস ৯০% সংক্রামিত হয়ে থাকে দূষিত পানি ও খাবার থেকে এবং ১০% আক্রান্ত হয়ে থাকেন যৌন সহবাস জাতীয় কারনে  —— ধন্যবাদ    —–


( Created By Dr.Helal Kamaly ( MPH, UK ) Hon PhD … Last pt ( PHMR )
ৃSupporting and reference  Help :
https://blogs.biomedcentral.com/on-medicine/2016/05/13/50-years-liver-research-bmc-medicine-joins-ilc-2016/
Ferrucci LM, Bell BP, Dhotre KB, et al. Complementary and alternative medicine use in chronic liver disease patients. J Clin Gastroenterol. 2010;44(2):e40-e45.
Ferenci P, Scherzer TM, Kerschner H, et al. Silibinin is a potent antiviral agent in patients with chronic hepatitis C not responding to pegylated interferon/ribavirin therapy. Gastroenterology. 2008;135(5):1561-7.
Firpi RJ, Nelson DR. Current and future hepatitis C therapies. Arch Med Res. 2007;38(6):678-90.
Gish RG. Improving outcomes for patients with chronic hepatitis B. Hepatol Res. 2007;37(s1):S67-S78.
Goldman. Goldman’s Cecil Medicine. 24th ed. Philadelphia, PA: Elsevier Saunders. 2011.
Gorban EM, Orynchak MA, Virstiuk NG, Kuprash LP, Panteleimonov TM, Sharabura LB. [Clinical and experimental study of spirulina efficacy in chronic diffuse liver diseases.] Lik Sprava. 2000(6):89-93.
Honer zu Siederdissen C, Manns MP, Cornberg M. Which treatment options are validated for chronic viral hepatitis? Internist (Berl). 2013;54(12):1427-8.
Hou JK, Velayos F, Terrault N, Mahadevan U. Viral hepatitis and inflammatory bowel disease. Inflamm Bowel Dis. 2010;16(6):925-32.
Langmead L, Rampton DS. Herbal treatment in gastrointestinal and liver disease–benefits and dangers. Aliment Pharmacol Ther. 2001;15(9):1239-52.
About these ads